Ajker Patrika

সাগর-নদীর ১৫০ কিমি এলাকায় তল্লাশি, সন্ধান মেলেনি চবি ছাত্র অরিত্রের

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ চবির শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ চবির শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের চার দিনেও সন্ধান মেলেনি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগরের মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে টেকনাফের নাফ নদী মোহনা পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার এলাকায় তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়।

গত মঙ্গলবার সকালে অরিত্র হাসান ও তাঁর দুই সহপাঠী সাগরে গোসলে নেমে ভেসে যান। আড়াই ঘণ্টার মধ্যে কে এম সাদমান রহমান সাবাব (২১) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে। পরদিন বুধবার সকালে ২৫ কিলোমিটার উত্তরে শহরের নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল সৈকতে ভাসমান অবস্থায় আসিফ আহমেদ (২২) নামের আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ পাওয়া যায়।

এর মধ্যে আসিফ বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সাবাব ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। নিখোঁজ অরিত্র হাসান বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের সাকিব হাসানের ছেলে।

নিখোঁজ অরিত্র হাসানের সন্ধানে সাগরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তিনি জানান, অরিত্র হাসান নিখোঁজের চার দিন হলো। তাঁর সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, লাইফ গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কর্মীদের সমন্বয়ে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মহেশখালীর সোনাদিয়া প্যারাবন এলাকায় তল্লাশি অভিযানে অংশ নেন জেলা প্রশাসনের সৈকত কর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুব আলম। তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় অরিত্র হাসান নিখোঁজের ৮৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের মহেশখালী থেকে টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার এলাকায় কোথাও তাঁর হদিস মেলেনি। উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।

অরিত্র হাসানের বাবা সাকিব হাসান বলেন, ‘আমি একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত হতভাগা ও অসহায় বাবা। আমার কিছু বলার নেই, বলার মতো মানসিক অবস্থাও নেই। কিন্তু এ জন্য তো তাঁরা যে রিসোর্টে উঠেছিল, সেই রিসোর্ট কর্তৃপক্ষও দায় এড়াতে পারে না। কারণ, সেখানে সৈকত যে বিপজ্জনক, তা নিয়ে তাঁরা সতর্ক করেননি।’ একই সঙ্গে তিনি এই অব্যবস্থাপনার জন্য রাষ্ট্রকেও অভিযুক্ত করেন।

উদ্ধার অভিযান চালানো বেসরকারি সংস্থা সি-সেফের আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি কক্সবাজার শহর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত সৈকতে একাধিক গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে শহরের লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সৈকতে কেবল গোসলে নেমে বিপদে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারা দেশে আরও ১০ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

‘আজ বুঝলাম, সময়ের কাছে মানুষ কত অসহায়’—মৃত্যুর আগে স্ট্যাটাস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

রামদা হাতে ভাইরাল সেই সাবেক যুবদল নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

জগন্নাথপুরে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া রাইদা হতে চায় চিকিৎসক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত