মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলসংলগ্ন দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুমে যাত্রা শুরু করেছেন জেলেরা। আজ শুক্রবার ভোরে মোংলার পশুর নদীসংলগ্ন চিলা খাল থেকে প্রথম দফায় তিন শতাধিক জেলের যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হতে চলেছে দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম। প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলে এ মৌসুম।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলেপল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনের দুবলার চরের জেলেপল্লিতে ইতিমধ্যেই সমবেত হতে শুরু করেছেন মোংলা, রামপাল, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া শুঁটকি মৌসুমে সাগরপাড়ের মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে প্রায় ১০ হাজার জেলে জড়ো হয়। সম্মিলিতভাবে এ চরগুলোকে দুবলার চর বলা হয়। দুবলা জেলেপল্লির জেলেরা নিজেদের থাকা, মাছ ধরার সরঞ্জাম রাখা ও শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করে। জেলেরা সমুদ্র মোহনায় বেহুন্দী জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার ও বাছাই করে জাতওয়ারি মাছসমূহ শুঁটকি করে থাকে।
বন বিভাগ আরও জানায়, ৩ নভেম্বর থেকে দুবলার চরে শুরু হতে যাওয়া শুঁটকি মৌসুমে জেলেদের অস্থায়ী থাকার ঘর, মাছ শুকানো চাতাল ও মাঁচা তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে না সুন্দরবনের কোনো গাছপালা। তাই বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলেদের সব সঙ্গে নিয়েই যেতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী। জেলে-মহাজনদের ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল প্রস্তুতে ব্যস্ত বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঠমিস্ত্রিরাও। দুবলার এ মৌসুমকে ঘিরে কয়েক মাস আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মিস্ত্রিরা চুক্তিভিত্তিক ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল সেলাইয়ে এসেছে উপকূলের গ্রামে গ্রামে। সব প্রস্তুতি শেষে বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে জেলেরা নিজ নিজ এলাকা থেকে রওনা হয়ে সরাসরি চলে যাবেন দুবলার চরে।
মোংলা নদী ও পশুর নদীতে এসে জড়ো হওয়া পাইকগাছার জেলে বসন্ত কুমার মন্ডল ও রামপালের জেলে মিকাইল শেখ জানান, জাল, নৌকা, খাবারসহ ঘর বাঁধার সরঞ্জামাদি নিয়ে মোংলায় দুই দিন ধরে অবস্থান করছেন। বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আজ দুবলার চরে রওনা হয়েছেন। সেখানে ৫ মাস থেকে মাছ ধরে শুঁটকি তৈরি করবে।
পূর্ব সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও জেলেরা যাতে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ ধ্বংস করে থাকার ঘর তৈরি না করে সে জন্যে তাঁদের ঘর তৈরি করার সরঞ্জাম সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চরে জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ১ হাজার ১০৮টি জেলে ঘর, ৭৮টি ডিপো ও ১০৬টি দোকানঘর স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছে বন বিভাগ। গত অর্থবছরে শুঁটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে বন বিভাগের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ছয় কোটি টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সাত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে।
বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলসংলগ্ন দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুমে যাত্রা শুরু করেছেন জেলেরা। আজ শুক্রবার ভোরে মোংলার পশুর নদীসংলগ্ন চিলা খাল থেকে প্রথম দফায় তিন শতাধিক জেলের যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হতে চলেছে দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম। প্রতিবছর নভেম্বরের প্রথম থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চলে এ মৌসুম।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোংলা থেকে নদীপথে দুবলা জেলেপল্লির দূরত্ব প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল। বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনের দুবলার চরের জেলেপল্লিতে ইতিমধ্যেই সমবেত হতে শুরু করেছেন মোংলা, রামপাল, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া শুঁটকি মৌসুমে সাগরপাড়ের মেহের আলীর চর, আলোর কোল, অফিস কিল্লা, মাঝের কিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, ছাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদেখালী চরে প্রায় ১০ হাজার জেলে জড়ো হয়। সম্মিলিতভাবে এ চরগুলোকে দুবলার চর বলা হয়। দুবলা জেলেপল্লির জেলেরা নিজেদের থাকা, মাছ ধরার সরঞ্জাম রাখা ও শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করে। জেলেরা সমুদ্র মোহনায় বেহুন্দী জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার ও বাছাই করে জাতওয়ারি মাছসমূহ শুঁটকি করে থাকে।
বন বিভাগ আরও জানায়, ৩ নভেম্বর থেকে দুবলার চরে শুরু হতে যাওয়া শুঁটকি মৌসুমে জেলেদের অস্থায়ী থাকার ঘর, মাছ শুকানো চাতাল ও মাঁচা তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে না সুন্দরবনের কোনো গাছপালা। তাই বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলেদের সব সঙ্গে নিয়েই যেতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী। জেলে-মহাজনদের ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল প্রস্তুতে ব্যস্ত বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাঠমিস্ত্রিরাও। দুবলার এ মৌসুমকে ঘিরে কয়েক মাস আগেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মিস্ত্রিরা চুক্তিভিত্তিক ট্রলার তৈরি, মেরামত ও জাল সেলাইয়ে এসেছে উপকূলের গ্রামে গ্রামে। সব প্রস্তুতি শেষে বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে জেলেরা নিজ নিজ এলাকা থেকে রওনা হয়ে সরাসরি চলে যাবেন দুবলার চরে।
মোংলা নদী ও পশুর নদীতে এসে জড়ো হওয়া পাইকগাছার জেলে বসন্ত কুমার মন্ডল ও রামপালের জেলে মিকাইল শেখ জানান, জাল, নৌকা, খাবারসহ ঘর বাঁধার সরঞ্জামাদি নিয়ে মোংলায় দুই দিন ধরে অবস্থান করছেন। বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আজ দুবলার চরে রওনা হয়েছেন। সেখানে ৫ মাস থেকে মাছ ধরে শুঁটকি তৈরি করবে।
পূর্ব সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও জেলেরা যাতে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ ধ্বংস করে থাকার ঘর তৈরি না করে সে জন্যে তাঁদের ঘর তৈরি করার সরঞ্জাম সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চরে জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ১ হাজার ১০৮টি জেলে ঘর, ৭৮টি ডিপো ও ১০৬টি দোকানঘর স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছে বন বিভাগ। গত অর্থবছরে শুঁটকির মৌসুমে দুবলার চর থেকে বন বিভাগের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ছয় কোটি টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সাত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে।
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
৩ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
৩ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৪ ঘণ্টা আগে