খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৯ আত্মীয় ও ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া একই ব্যক্তিদের দিয়ে বাছাই বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এই চিঠি ডাকযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৫ মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় ঘটবে বলে দাবি করছে তারা।
গতকাল সোমবার বিকেলে এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ২০১৫ সালের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী হয়েছে। ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ উপাচার্য কর্তৃক অনুমোদনে বাছাই কমিটি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ বাছাই কমিটিতে রাখার নির্দেশনা নেই। সেখানে শুধু একজন বিশেষজ্ঞ রাখার কথা বলা হয়েছে। তার পরও ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞের বিষয় এনে ৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা এখানে আইনের যে ব্যত্যয় ঘটছে, এটা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাব।
উপাচার্যের ৯ জন আত্মীয়ের নিয়োগের ব্যাপারেও তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনেই তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তাঁরা চাকরিতে স্থায়ী হয়েছেন। এমতাবস্থায় তাঁদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে।
তিনি আরও জানান, উপাচার্যের স্ত্রীর সরাসরি প্রভাষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় প্রভাষক পদে নিয়োগ চাওয়ার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিষয়গুলোকে মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাতীয় সংসদে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপাচার্য হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুর রহমানকে নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। কমিটি গঠনের এক বছরের বেশি সময় পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৯ আত্মীয় ও ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া একই ব্যক্তিদের দিয়ে বাছাই বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এই চিঠি ডাকযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৫ মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ব্যত্যয় ঘটবে বলে দাবি করছে তারা।
গতকাল সোমবার বিকেলে এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ ২০১৫ সালের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী হয়েছে। ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ উপাচার্য কর্তৃক অনুমোদনে বাছাই কমিটি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ বাছাই কমিটিতে রাখার নির্দেশনা নেই। সেখানে শুধু একজন বিশেষজ্ঞ রাখার কথা বলা হয়েছে। তার পরও ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞের বিষয় এনে ৭৩ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা এখানে আইনের যে ব্যত্যয় ঘটছে, এটা মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানাব।
উপাচার্যের ৯ জন আত্মীয়ের নিয়োগের ব্যাপারেও তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন মেনেই তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং তাঁরা চাকরিতে স্থায়ী হয়েছেন। এমতাবস্থায় তাঁদের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে।
তিনি আরও জানান, উপাচার্যের স্ত্রীর সরাসরি প্রভাষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় প্রভাষক পদে নিয়োগ চাওয়ার প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিষয়গুলোকে মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে জাতীয় সংসদে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপাচার্য হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুর রহমানকে নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। কমিটি গঠনের এক বছরের বেশি সময় পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
রাজবাড়ীতে সাংবাদিক আহসান হাবীব টুটুলকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিববার। আজ শুক্রবার সাংবাদিক টুটুলের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
১০ মিনিট আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় আহত অটোরিকশার চালক মুক্তার হোসেন (৬০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে স্বামী, স্ত্রী, ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজন এবং অপর এক যাত্রী নিহত
১৩ মিনিট আগেময়মনসিংহের ভালুকায় বজ্রপাতে আরব আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার জামিরাপাড়া গ্রামে আজ বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আরব আলী ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের কংশেরকুল গ্রামের মরহুম ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
২৭ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালিতে একটি বহুতল ভবনের ৯তলা থেকে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক শ্রমিক গুরুতর আহত হন। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে কোতোয়ালি থানার আদালত এলাকাসংলগ্ন সড়কের পাশের রঙ্গম কনভেনশন হল ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে