Ajker Patrika

মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে নারীর মৃত্যু, পরিবারের সন্দেহ হত্যা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও অন্যান্য লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সামনে পুলিশ ও অন্যান্য লোকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকালে কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। বন্যা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। তিনি শৈলকুপা উপজেলার পদমদী গ্রামের সোহান ইসলামের স্ত্রী। বন্যা খাতুনের বাবার পরিবারের সন্দেহ, তাঁদের মেয়েকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে পদমদী গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে স্বামীর ফুফার মোটরসাইকেলে চড়ে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন বন্যা খাতুন। পথে কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান তিনি। ওই সময় অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

বন্যা খাতুনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই নানাভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন করত। আমার মনে হয়, তারা মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।’

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, সকালে শৈলকুপার পদমদী গ্রাম থেকে স্বামীর ফুফার মোটরসাইকেলে চড়ে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন বন্যা খাতুন। পথিমধ্যে কানাপুকুরিয়া নামের স্থানে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান বন্যা। সে সময় অজ্ঞাতনামা যানবাহনের চাপায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে মোটরসাইকেলচালক পলাতক রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বন্যা খাতুনের বাবার বাড়ির লোকজনের মৃত্যু নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত