Ajker Patrika

কুমারখালীতে রাবি ছাত্রী রিক্তার দাফন সম্পন্ন

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, ১৪: ২৩
কুমারখালীতে রাবি ছাত্রী রিক্তার দাফন সম্পন্ন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ছাত্রী রিক্তা আক্তারের (২১) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে ময়নাতদন্ত শেষে রাত ৮টার দিকে রিক্তার লাশবাহী গাড়িটি নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। 

রিক্তা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছছিল। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। তাঁর স্বামী আব্দুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে। 

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইশতিয়াকের সঙ্গে রিক্তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বছরখানেক ধরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ধরমপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সেই বাসা থেকে রিক্তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগ তুলে মতিহার থানায় মামলা করেন বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার। পরে পুলিশ নিহতের স্বামী ও এক সহযোগীকে আটক করে। 

মৃতের ভাই এনামুল হক বলেন, ‘ওরা দুজন দুজনকে পছন্দ করত। প্রায় দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে ওদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুজনের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে সন্দেহের জাল বিস্তার লাভ করে। সন্দেহের জেরেই রাব্বি আমার বোনকে মারধর করে হত্যা করেছে। তাঁর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি আমার বোন হত্যার সঠিক বিচার চাই।’ 

এ বিষয়ে মৃতের বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার অভিযোগ করে বলেন, ‘মা আমার গত চার-পাঁচ মাস কারও সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলত না, সব সময় মন খারাপ করে থাকত। কী যে হয়েছিল তা আল্লাহ ভালো জানে। তবে এ কথা সত্যি, রাব্বি আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। থানায় মামলা করেছি। সুষ্ঠু বিচার চাই।’ 

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দাফনের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে কুমারখালীতে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই সত্য উন্মোচিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত