Ajker Patrika

কুমারখালীতে আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বোমা, কাফনের কাপড় ও চিঠি জব্দ

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ২৯
কুমারখালীতে আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বোমা, কাফনের কাপড় ও চিঠি জব্দ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক কার্যালয়ের সামনে থেকে কাফনের কাপড়, ককটেল বোমাসদৃশ লাল টেপে জড়ানো একটি কৌটা, ফাটানো বোমের বস্তু ও হাতে লেখা একটি চিঠি জব্দ করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে কয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর বানিয়াপাড়া বাজার কার্যালয় এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়।

কিন্তু কে বা কারা, কাকে উদ্দেশ করে এগুলো রেখে গেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা বলছেন, একদল দুষ্কৃতকারী এলাকার শান্তি নষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এমন অপকর্ম করতে পারে। এ নিয়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জব্দ করা চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘খা...ছেলেরা তোরা যখন এলাকায় ছিলিনি তখন সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু তোরা যা করছিস তা ঠিক না। আজ নমুনা দিয়ে গেলাম। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তোর জন্য বেশি না দুটো গুলিই যথেষ্ট। যা তুই উপহার পাবি। আর কাফনের কাপড়টা ঠিক করে রাখিস। যা তোর কাজে লাগবে। সাবধান, সাবধান, সাবধান।’

দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, সকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বোমা, চিঠি, কাফনের কাপড় দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এগুলো নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে, তা জানা যায়নি।

চিঠি, কাফনের কাপড় ও ককটেল বোমা সাদৃশ্য বস্তু। ছবি: আজকের পত্রিকা 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মী আক্তার হোসেন বলেন, ‘অফিসটিতে আমি এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বসি। কে বা কারা রাতের আঁধারে অফিসের সামনে কাফনের কাপড়, বোমা, চিঠি রেখে গেছে তা জানি না।’

ওই আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশেই বসবাস করেন ভ্যানচালক সিয়াম। তাঁর স্ত্রী আনিছা খাতুন বলেন, ‘রাতে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ভাবলাম ভ্যানের চাকা ফেটে গেছে। পরে সকালে জানতে পারলাম ককটেল বোমা ফুটেছে।’

স্থানীয় কাপড়ের ব্যবসায়ী আবু তালেব বলেন, ‘এলাকাবাসী খুব শান্তিতে আছে। এখানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপিং রয়েছে। হয়তো শান্তি নষ্ট করার জন্য এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ফাঁসাতে এমন কাজ করেছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হওয়া দরকার।’

ধারণা করা হচ্ছে রোববার রাতে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। সে রকম আলামত পাওয়া দেখা যাচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে কয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, ‘আমি শহর আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলাম। আমার কর্মীর কার্যালয়ের সামনে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে একদল দুষ্কৃতকারী। এলাকার শান্তি নষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এমন অপকর্ম করতে পারে তারা।’

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, চর বানিয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে কাফনের কাপড়, ককটেল বোমাসদৃশ লাল টেপে জড়ানো একটি কৌটা ও হাতে লেখা একটি চিঠি জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত