Ajker Patrika

খুলনায় ভাঙচুর লুটপাট: আটক ৩১ জন কারাগারে, নিরাপত্তার শঙ্কায় বন্ধ বাটার ৬ শোরুম

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ২৪
হামলার পর আজ মঙ্গলবার বন্ধ রয়েছে নগরীর ডাল মিল মোড়ের কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা
হামলার পর আজ মঙ্গলবার বন্ধ রয়েছে নগরীর ডাল মিল মোড়ের কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার দোকান। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়ে বাটার শোরুমসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক ৩১ জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আটক ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় নগরের বাটা কোম্পানির ছয়টি শোরুমের সব কটি বন্ধ রাখা হয়েছে। হামলা, লুটপাটে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়ে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাটার শোরুম কাপড় দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। ছবিটি আজ মঙ্গলবার দুপুরে তোলা। আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর শিববাড়ী মোড়ে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাটার শোরুম কাপড় দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। ছবিটি আজ মঙ্গলবার দুপুরে তোলা। আজকের পত্রিকা

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় মিছিল নিয়ে একাংশ কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার ব্রাঞ্চে হামলা চালায়। পাশাপাশি তারা পর্যায়ক্রমে শিববাড়ী মোড়ের সেনা কল্যাণ ভবনে ঢুকে বাটার শোরুম ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট করে। এসব প্রতিষ্ঠানে হামলার সময় বাইরের গ্লাস এবং ভেতরের আসবাব ভাঙচুর করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক খুলনা শিববাড়ী মোড়ে সেনা কল্যাণ ভবনের নিচতলায় গিয়ে দেখা যায়, বাটার শোরুমটি একটি ত্রিপল দিয়ে ঢাকা রয়েছে। সেখানে ভেতরে একজন নিরাপত্তাকর্মী অবস্থান করছেন।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ক্ষতিগ্রস্ত বাটা শোরুমের ব্যবস্থাপক তাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হামলাকারীরা ১ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের জুতা লুটপাট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে। তারা যাওয়ার সময় ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৮৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। শোরুমের ডেকোরেশন ভাঙচুর করা হয়। ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।’

নগরীর ডাকবাংলো মোড়ের বাটা শোরুমে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মচারী অরবিন্দ বলেন, ‘আমাদের পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো মোড়, শিববাড়ী সেনা কল্যাণ ভবন, দৌলতপুর, সোনাডাঙ্গা ও নিউমার্কেট এলাকায় ছয়টি শোরুম রয়েছে। হামলার পর থেকে সবগুলো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি।’

শিববাড়ী মোড়ের শোরুমে হামলা, লুটপাটের পর অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কায় বন্ধ বাটার অন্য শোরুম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিববাড়ী মোড়ের শোরুমে হামলা, লুটপাটের পর অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কায় বন্ধ বাটার অন্য শোরুম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নগরীর ডাল মিল মোড়ে অবস্থিত কেএফসি এবং ডমিনোস পিৎজা হাউস। সেখানে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। প্রতিষ্ঠান দুটিতে কর্মচারীরা বেঞ্চে ও সিঁড়ির ওপর বসে পাহারা দিচ্ছেন। এ সময় কথা হয় ডমিনোস পিৎজার কর্মচারী অনীকের সঙ্গে। তিনি হামলা বা ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কথা বলতে অসম্মতি জানান।

জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই জানান, ডমিনোস পিৎজার পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কেএফসির দোকানের সামনে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনায় তিনটি প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। হামলার ঘটনায় রাতভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩১ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। তাই তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। তিনি নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করেছেন।

আদালত বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁরা হলেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন কর্মকর্তার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালুর রহমান সায়েম, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, জাহিদ, মেহেদী হাসান প্রিন্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী ও সোনিয়া আক্তার লুবনা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গত বছরের ১৮ জুলাই কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হন। জুলাই ফাউন্ডেশন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৭ মে দুপুর ১২টার দিকে বাদী জাহাঙ্গীর আলম জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জুলাই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনুদান চেয়ে তিনি কিছু দালিলিক প্রমাণ জমা দেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পরে আসামিরা জুলাই ফাউন্ডেশনে একটি আলোবিহীন কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। এ সময় এলোপাতাড়িভাবে জিআই পাইপ দিয়ে সজোরে তাঁর মাথা বরাবর আঘাত করা হয়। এতে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর অজ্ঞান হয়ে যান। দীর্ঘ সময় পর জ্ঞান ফিরে এলে আসামিরা ফের তাঁকে মারধর শুরু করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরকে ভুয়া জুলাই যোদ্ধা—একথা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তাঁর ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি দেখে আবার এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। তাঁরা জানতে চান, বিএনপি নেতার সঙ্গে তাঁর ছবি কেন। পরে আসামিরা জোরপূর্বক তাঁর ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এ ছাড়া আসামিরা তাঁকে রাস্তায় অচেতন অবস্থা ফেলে দেন। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ খানপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

উল্লেখ্য, জুলাই যোদ্ধা দাবি করা বুলবুল শিকদার নামের আরেক ব্যক্তিকে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে গত ১৪ অক্টোবর জুলাই ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উক্ত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন ঢাকার আরেকটি আদালত। আজকের মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশদের ১৪ অক্টোবরের মামলায়ও আসামি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঝালকাঠিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮

ঝালকাঠি, প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮

ঝালকাঠিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলায় দুজন মারা গেছে। নতুন আরও সাতজনসহ বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৮ জন রোগী।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের ফরিদ হোসেন (৩০) ও তোকাব আলী (৬২)।

বুধবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন এবং হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই একজন মারা যান।

ঝালকাঠি জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন মারা গেছেন। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজাপুর উপজেলায়।

তিনি আরও বলেন, এ বছর বর্ষার স্থায়িত্ব বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলেও দ্রুত হারে রোগী বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের (সিভিল সার্জন কার্যালয়ের) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঁচজন, নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, রাজাপুরে ১৬ জন এবং কাঠালিয়ায় ছয়জনসহ মোট ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্ত্রী-ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী মায়ার ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ফাইল ছবি
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী এবং ছেলে রাশেদুল ইসলামের ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা গেছে, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ১৬টি, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর ৩৬টি ও ছেলে রাশেদুল ইসলামের ২৯টি রয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক মোজাম্মিল হোসেন তাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী ও ছেলে রাশেদুল ইসলাম বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজেরা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দখল করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানকালে মায়া, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নামে ৮১ ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এই সম্পদ হস্তান্তর অথবা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে বা হস্তান্তর করে দেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় যাতে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত না হতে পারে, তার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন ছিল সাদিয়ার

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
সাদিয়া হক পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
সাদিয়া হক পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকে চাকরি নিয়ে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল সাদিয়া হক পাটোয়ারীর (২৪)। কিন্তু তাঁর শেষ দুটি ইচ্ছা আর পূরণ হয়নি। তার আগেই কক্সবাজারের চকরিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সাদিয়া, তাঁর মা-ভাবিসহ একই পরিবারের ৫ জন নিহত হন।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জানাজা শেষে সাদিয়াসহ ৫ জনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে বুধবার বেলা ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া এলাকায় সাদিয়াদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে তিনিসহ পরিবারের ৫ সদস্য ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁদের মৃত্যুর সংবাদে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় দুটি গ্রাম।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় সাদিসহ ৫ জনের লাশ বহনকারী ৫টি অ্যাম্বুলেন্স যখন গ্রামে প্রবেশ করে, তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত সাদিয়ের চাচাতো বোন সাহিদা সুলতানা ঊর্মি বলেন, ‘তাঁর (সাদিয়া) ইচ্ছা ছিল এমবিএ শেষে করে ব্যাংকে চাকরি নেবে। এরপর সে বিয়ে করবে। কিন্তু তাঁর শেষ ইচ্ছাগুলো আর পূরণ হলো না। সাদিয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় বেপরোয়া গতিতে বিপরীত থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের চান্দিশকরা গ্রামের উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী (২৪), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) ও শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫) নিহত হন। এ সময় আহত হন উদয় পাটোয়ারী (৪৩), ভাইয়ের ছেলে সামাদ পাটোয়ারী (৪) ও শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান। তাঁদের মধ্যে লিশানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সাদিয়ার বড় ভাই মো. মনিরুল হক বলেন, ‘১৫ দিন আগে কক্সবাজারে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সামাদের মাথায় আঘাতের কারণে পিছিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার ভোরে সাদিয়া, আম্মা, ভাইয়ের শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে চৌদ্দগ্রাম থেকে গাড়িতে তোলা হয়। গাড়িটি ভাই নিজেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সাদিয়া ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিল। তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ব্যাংকার হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে সে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত