ইবি প্রতিনিধি
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের রাজত্ব ভাঙবে’, ‘আমাদের এই সমাজে, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘বিচার চাই, আজই চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘আইন যদি না দেয় শাস্তি, জনতাই দেবে প্রতিবাদ গাঁথি’, ‘তনু, নুসরাত, নীলা, মৌমিতা, আর কত হবে নীরবতা’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুকান্ত দাস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের মেয়েরা সর্বপ্রথম আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগকে মুক্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসমুক্ত করতে এই প্রক্রিয়া প্রথম নারীরাই শুরু করেছিল। আমরা আমাদের বোনদের অবদান ভুলে গেছি। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের খবর দেখছি, কিন্তু আমরা তার প্রতিবাদ জানাইনি। এটি আমাদের ব্যর্থতার জায়গা।’
আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সায়েম আহমেদ বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতনের দিনকার একটি ঘটনা আমার মনে পড়ে; গণভবন ও জাতীয় সংসদ থেকে যখন সবাই বের হয়, তখন এক নারী সহযোদ্ধা লিখেছিলেন—বিজয় মিছিলের মধ্যে কিছু যুবক ওই নারীকে বারবার উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করছিল। তিনি যখন এটি ফেসবুকে লিখলেন, সেখানে যেসব মন্তব্য এসেছিল, তা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। আমি দেখেছিলাম, কত সহস্র নারী সেখানে নিজেদের হেনস্তার গল্প শেয়ার করছিলেন! যুগ যুগ ধরে আমাদের নারী সহযোদ্ধা, নারী বন্ধু, মা-বোনেরা এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন।’
সায়েম আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা কতটা অপদার্থ, কতটা নির্লজ্জ! আমরা এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে মাত্র কয়েকজন মিলে প্রতিবাদ করছি! অথচ হওয়া উচিত ছিল, একজন নারীর শ্লীলতাহানি হলে, তার বিরুদ্ধে ন্যূনতম প্রতিবাদ হওয়ার আগেই যথাযথ বিচার করা।’
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া মাহমুদ মিম বলেন, ‘আমি শুধু নারীদের জন্য বিচার চাই না, আমি শিশু ধর্ষণের বিচারও চাই। আমি এসব ঘৃণ্য অপরাধের সহায়কদেরও বিচার চাই। যারা নারী ও শিশুদের হেনস্তা করে, যারা পুরুষদের বিরুদ্ধেও এমন জঘন্য কাজ করে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। শিশুরা খেলাধুলা করবে, হাসবে-খেলবে। কিন্তু কেউ যদি কোনো শিশুকে ফুসলিয়ে এমন অমানবিক কাজে যুক্ত করে, তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। আমরা এর বাইরে কিছু দেখি না।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ধর্ষকের রাজত্ব ভাঙবে’, ‘আমাদের এই সমাজে, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘বিচার চাই, আজই চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, ‘আইন যদি না দেয় শাস্তি, জনতাই দেবে প্রতিবাদ গাঁথি’, ‘তনু, নুসরাত, নীলা, মৌমিতা, আর কত হবে নীরবতা’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুকান্ত দাস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের মেয়েরা সর্বপ্রথম আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগকে মুক্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয়কে সন্ত্রাসমুক্ত করতে এই প্রক্রিয়া প্রথম নারীরাই শুরু করেছিল। আমরা আমাদের বোনদের অবদান ভুলে গেছি। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের খবর দেখছি, কিন্তু আমরা তার প্রতিবাদ জানাইনি। এটি আমাদের ব্যর্থতার জায়গা।’
আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সায়েম আহমেদ বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতনের দিনকার একটি ঘটনা আমার মনে পড়ে; গণভবন ও জাতীয় সংসদ থেকে যখন সবাই বের হয়, তখন এক নারী সহযোদ্ধা লিখেছিলেন—বিজয় মিছিলের মধ্যে কিছু যুবক ওই নারীকে বারবার উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করছিল। তিনি যখন এটি ফেসবুকে লিখলেন, সেখানে যেসব মন্তব্য এসেছিল, তা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো। আমি দেখেছিলাম, কত সহস্র নারী সেখানে নিজেদের হেনস্তার গল্প শেয়ার করছিলেন! যুগ যুগ ধরে আমাদের নারী সহযোদ্ধা, নারী বন্ধু, মা-বোনেরা এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন।’
সায়েম আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা কতটা অপদার্থ, কতটা নির্লজ্জ! আমরা এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে মাত্র কয়েকজন মিলে প্রতিবাদ করছি! অথচ হওয়া উচিত ছিল, একজন নারীর শ্লীলতাহানি হলে, তার বিরুদ্ধে ন্যূনতম প্রতিবাদ হওয়ার আগেই যথাযথ বিচার করা।’
বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া মাহমুদ মিম বলেন, ‘আমি শুধু নারীদের জন্য বিচার চাই না, আমি শিশু ধর্ষণের বিচারও চাই। আমি এসব ঘৃণ্য অপরাধের সহায়কদেরও বিচার চাই। যারা নারী ও শিশুদের হেনস্তা করে, যারা পুরুষদের বিরুদ্ধেও এমন জঘন্য কাজ করে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। শিশুরা খেলাধুলা করবে, হাসবে-খেলবে। কিন্তু কেউ যদি কোনো শিশুকে ফুসলিয়ে এমন অমানবিক কাজে যুক্ত করে, তার একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। আমরা এর বাইরে কিছু দেখি না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে পদ্মার পাড়ে। অনেকে ঝুঁকিতে থাকা ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরিয়া নাশরাফ নাফি (৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। দগ্ধ বোনের পর ৯ বছরের নাফিও মৃত্যুর কাছে হেরে গেল।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বহু শিশু হতাহতের মধ্যেও বন্ধ হয়নি বিএনপির জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাবনার চাটমোহরে বিএনপি নেতারা সোমবার (২১ জুলাই) রাতে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে ঘিরে এখন সামাজিক...
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তাপাড় পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চায়না দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিং। মঙ্গলবার উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়নে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুসংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তিস্তাপারের মানুষের সঙ্গে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা ও নদীভাঙনে তিস্তাপারের জনমানুষের...
২ ঘণ্টা আগে