Ajker Patrika

ভিজিএফ কার্ড নিয়ে যুবক খুনের ঘটনায় বিএনপির কর্মী আটক

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
মাহাবুল মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
মাহাবুল মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সরকারি সহায়তার (ভিজিএফ) কার্ডের অনলাইন আবেদন ও চাঁদা আদায় নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিএনপির কর্মী আব্দুল আজিজ (৩৫) হত্যার ঘটনায় দলের আরেক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তির নাম মাহাবুল মাস্টার (৫২)। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও পুলিশ তাঁকে আটক করে।

গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের স্কুল বাজার এলাকায় আব্দুল আজিজকে হত্যা করা হয়। তিনি স্থানীয় খেলাফত উদ্দীনের ছেলে এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মথুরাপুর কলেজপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে পলাশের (৩২) সঙ্গে আব্দুল আজিজের দীর্ঘদিন ধরে ভিজিএফ কার্ডের অনলাইন আবেদন ও চাঁদা আদায়কে ঘিরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার রাতে আজিজ স্কুল বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় পলাশের ছুরিকাঘাতে আজিজ গুরুতর আহত হন। ছুরিকাঘাতে তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত পলাশ আটক মাহাবুল মাস্টারের ভাতিজা।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় আটক মাহাবুল মাস্টার মথুরাপুর কলেজপাড়া এলাকার মৃত মৌলা বক্সের ছেলে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। গত ১১ জুন অনুষ্ঠিত মথুরাপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে ‘মোরগ’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি হেরে যান।

মথুরাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুরাত আলী সেন্টু বলেন, ‘মাহাবুল মাস্টার আমাদের রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি কমিটির কোনো পদে নেই। তবে তাঁকে আটক করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নই।’

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিজিএফের কার্ডের অনলাইন আবেদন নিয়ে বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার পরপরই র‍্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মাহাবুল মাস্টারকে আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক ব্যক্তিকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’

অন্যদিকে, কুষ্টিয়া র‍্যাব-১২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। আটক মাহাবুল মাস্টারকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত