Ajker Patrika

গুলি উদ্ধারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি, পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর

বগুড়া প্রতিনিধি
গুলি উদ্ধারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে কনস্টেবল রুহুল আমিনকে আটকে রেখে মারধর করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
গুলি উদ্ধারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে কনস্টেবল রুহুল আমিনকে আটকে রেখে মারধর করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গুলি উদ্ধারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটকে রেখে মারধর করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিতপুর এলাকার পল্লিচিকিৎসক আব্দুল বাকীর বাড়িতে তাঁকে আটক করে মারধর করা হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সসদ্যরা তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম রুহুল আমিন। তিনি বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরে আব্দুল বাকীর বাড়িতে আসেন। এ সময় আব্দুল বাকীর ছেলে সবুজকে ডেকে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘তোদের বাড়ির কোনায় গুলি রয়েছে।’ পরে সবুজকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের বাড়ি থেকে পাঁচটি শটগানের গুলি উদ্ধার করেন। এরপর সবুজের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন কনস্টেবল রুহুল আমিন। ঘটনাটি জানাজানি হলে আশপাশের লোকজন এসে কনস্টেবল রুহুল আমিনকে আটকে রেখে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কনস্টেবল রুহুল আমিন একসময় শাজাহানপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। শাজাহানপুর থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুনের ক্যাশিয়ার হিসেবে তিনি সর্বত্র পরিচিত ছিলেন। ওসি বদলি হয়ে যাওয়ার পর কনস্টেবল রুহুল আমিনকে বদলি করা হয় সারিয়াকান্দি থানার চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে। সেখানে জুয়ার আসরে হামলা চালিয়ে জুয়াড়িদের মারধর করে টাকা এবং মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তাঁকে চন্দনবাইশা তদন্তকেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। সেই ঘটনায় তাঁর নামে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল রুহুল আমিন জানিয়েছেন তিনি পল্লিচিকিৎসক আব্দুল বাকীর কাছে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নেন। বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিতে গেলে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে আটকে মারধর করা হয়।’

শটগানের পাঁচটি গুলি প্রসঙ্গে ওসি বলেন, রুহুল আমিন জানিয়েছেন বুধবার রাতে ডিউটি শেষ করে তাঁর নামে ইস্যুকৃত শটগান জমা দিলেও গুলি জমা দিতে ভুলে যান। এ কারণে গুলি তাঁর সঙ্গেই ছিল। প্রকৃত ঘটনা জানতে অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মুরাদনগরে বাড়ি ঘেরাও করে মা-ছেলেসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার নারীরা সব ক্ষেত্রে সরাসরি মামলা করতে পারবেন না

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যাচ্ছে ভারত: পেন্টাগন

চাচাকে বিয়ে করতে না পেরে ৪৫ দিনের মাথায় স্বামীকে খুন করলেন নববধূ

ফরিদগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত