Ajker Patrika

যৌতুকের মামলা তুলে নিতে এসআই স্ত্রীকে নির্যাতন পুলিশ পরিদর্শকের

যশোর প্রতিনিধি
যৌতুকের মামলা তুলে নিতে এসআই স্ত্রীকে নির্যাতন পুলিশ পরিদর্শকের

যশোরে শাহাজাদী আক্তার (৪০) নামের পুলিশের একজন নারী উপপরিদর্শককে (এসআই) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ পরিদর্শক স্বামী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে যশোর শহরের খড়কি এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শাহাজাদী আক্তারকে ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আছেন। যৌতুকের মামলা তুলে নিতে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শাহাজাদী আক্তার। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান। এসআই শাহাজাদী আক্তার যশোর সদরের কোর্ট জিআরওতে এবং পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান ঝিনাইদহ পিবিআইয়ে কর্মরত আছেন।

এ নিয়ে জানতে চাইলে শাহাজাদী আক্তার বলেন, ‘কামরুজ্জামানের সঙ্গে ২০০০ সালে আমার বিয়ে হয়। আমাদের দুই ছেলে স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী কামরুজ্জামান মাঝেমধ্যেই আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। ছুটিতে বাড়ি এসে কামরুজ্জামান ওই মামলা তুলে নিতে আমাকে চাপ দেন।’

শাহজাহী আক্তার আরও বলেন, ‘যৌতুকের মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় গতকাল শুক্রবার রাতে কামরুজ্জামান ছুরি দিয়ে আমাকে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। ঠেকাতে গেলে আমার মাথায়, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। পরে মেঝেতে ফেলে আমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেন। পরে ছেলেরা আমাকে রক্ষা করেন। এর পর পরিবারের সদস্যরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিন বছর আগে তিনি দ্বিতীয় বিয়েও করেছেন।’ 

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, এসআই শাহাজাদীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জনতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এসআই শাহাজাদীকে নির্যাতনের বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি ‘ডিপার্টমেন্টাল’। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন।’ স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেছেন, ‘যে সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তখন আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম।’ যৌতুকের মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো মামলার খবর আমার কাছে ছিল না। এই ঘটনার পর আমি জানতে পেরেছি।’ তবে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত