মো. রবিউল ইসলাম, অভয়নগর (যশোর)
মৃৎশিল্পের জন্য একসময় যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুনাম ছিল। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় বর্তমানে অভয়নগরের ঐতিহ্যবাহী চলিশিয়া গ্রামের পালবাড়িতে মৃৎশিল্প বিপন্ন হতে না হতেই ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এই শিল্প। তাই বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত কুমার বা পালরা এ পেশা নিয়ে বেশ চিন্তিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভয়নগরের ঐতিহ্যবাহী চলিশিয়া গ্রামের পালবাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মৃৎশিল্প ছিল। মৃৎশিল্পীরা মাটির হাঁড়ি-পাতিল, বাসন-কোসন, ঢাকনা, কলসি, ছোট বাচ্চাদের খেলনাসামগ্রী, পেয়ালাসহ প্রভৃতি তৈরি করত। তাঁদের তৈরি পুতুল যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে নানা প্রতিকূলতা ও অভাব অনটনের কারণে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের পালবাড়ির মৃৎশিল্পীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বাপ-দাদার আদি পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরেজমিনে গ্রামটি ঘুরে দেখা যায়, গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার রয়েছে। পাড়ার সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। অর্চনা পাল, শামিত্রি পাল, ববিতা পাল এরা কেউ প্রতিমা আবার কেউ ছোট হাঁড়ি তৈরি করছেন। তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান অনুন্নত। এখন মাত্র কয়েকটি পরিবারের কারিগরেরা বাপ-দাদার আদি পেশা কোনোমতে আঁকড়ে ধরে আছেন।
তাঁদের পেশার দৈন্যদশার সঙ্গে সঙ্গে সংসার জীবনে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাটির তৈরি তৈজসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্রের দাম বেশি হলেও অধিক টেকসই হয়। এজন্য সেটি বাজার দখল করে নিয়েছে।
উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের অর্চনা পাল বলেন, ‘আমরা মাটি দিয়ে যেসব জিনিস বানায়, সেগুলো আর আগের মত বেচতে পারিনে। কি করব? অন্য কাম (কাজ) করতে পারিনে। তাই বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরেই আছি। এখন আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। সেডা দেখার কেউ নেই।’
চলিশিয়া গ্রামের মৃৎশিল্পের কারিগর বিষ্ণুপাল বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি জিনিসপত্রের দাম কম থাকায় এখন ধীরে ধীরে এই শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিলুপ্তির পথ থেকে রক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি, এনজিওসহ সকল দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ‘এ শিল্পের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য আমার সহায়তা চাই, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রেনিংসহ (প্রশিক্ষণ) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মৃৎশিল্পের জন্য একসময় যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুনাম ছিল। কিন্তু নানা প্রতিকূলতায় বর্তমানে অভয়নগরের ঐতিহ্যবাহী চলিশিয়া গ্রামের পালবাড়িতে মৃৎশিল্প বিপন্ন হতে না হতেই ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এই শিল্প। তাই বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত কুমার বা পালরা এ পেশা নিয়ে বেশ চিন্তিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভয়নগরের ঐতিহ্যবাহী চলিশিয়া গ্রামের পালবাড়িসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মৃৎশিল্প ছিল। মৃৎশিল্পীরা মাটির হাঁড়ি-পাতিল, বাসন-কোসন, ঢাকনা, কলসি, ছোট বাচ্চাদের খেলনাসামগ্রী, পেয়ালাসহ প্রভৃতি তৈরি করত। তাঁদের তৈরি পুতুল যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে নানা প্রতিকূলতা ও অভাব অনটনের কারণে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের পালবাড়ির মৃৎশিল্পীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী বাপ-দাদার আদি পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরেজমিনে গ্রামটি ঘুরে দেখা যায়, গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার রয়েছে। পাড়ার সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। অর্চনা পাল, শামিত্রি পাল, ববিতা পাল এরা কেউ প্রতিমা আবার কেউ ছোট হাঁড়ি তৈরি করছেন। তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান অনুন্নত। এখন মাত্র কয়েকটি পরিবারের কারিগরেরা বাপ-দাদার আদি পেশা কোনোমতে আঁকড়ে ধরে আছেন।
তাঁদের পেশার দৈন্যদশার সঙ্গে সঙ্গে সংসার জীবনে বিরাট বিপর্যয় নেমে এসেছে। মাটির তৈরি তৈজসপত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্র। অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজসপত্রের দাম বেশি হলেও অধিক টেকসই হয়। এজন্য সেটি বাজার দখল করে নিয়েছে।
উপজেলার চলিশিয়া গ্রামের অর্চনা পাল বলেন, ‘আমরা মাটি দিয়ে যেসব জিনিস বানায়, সেগুলো আর আগের মত বেচতে পারিনে। কি করব? অন্য কাম (কাজ) করতে পারিনে। তাই বাপ-দাদার পেশা আঁকড়ে ধরেই আছি। এখন আমাদের অবস্থা খুব খারাপ। সেডা দেখার কেউ নেই।’
চলিশিয়া গ্রামের মৃৎশিল্পের কারিগর বিষ্ণুপাল বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি জিনিসপত্রের দাম কম থাকায় এখন ধীরে ধীরে এই শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিলুপ্তির পথ থেকে রক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি, এনজিওসহ সকল দপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, ‘এ শিল্পের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য আমার সহায়তা চাই, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রেনিংসহ (প্রশিক্ষণ) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) পদ থেকে বদলি করা হয়েছিল শফিকুল ইসলামকে। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে বরং ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছেন তিনি। বিএমডিএর বিএনপিপন্থী ও দীর্ঘ সময় বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ...
৪ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের জুনিয়র আইটি অফিসার হিসেবে ২০১২ সালের নভেম্বরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান শহিদুর রহমান। এর পর থেকে প্রায় ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন তিনি। একই পদে শহিদুরের মতো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন আরও ২৭ জন।
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের দ্বিতল একাডেমিক ভবনের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে গেছে রড। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঠদানও বন্ধ। অথচ সেই ভবন এবং পাশের প্রশাসনিক ভবনের সংস্কারসহ বেশ কিছু মালামাল ক্রয়ের টেন্ডার আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কলেজটির প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন-১ মেরামতের..
৪ ঘণ্টা আগেগত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত মোখলেসুর রহমান সুমন (৩৬)। তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিজ এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
৪ ঘণ্টা আগে