মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরার সেই ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের মামলায় এক মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, দ্রুত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। ডিএনএ পরীক্ষা করে ঘটনার সঙ্গে প্রধান আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
শিশুটি মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে গত ৬ মার্চ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে ৮ মার্চ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার হয়ে চারজনই কারাগারে রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার শিশুটি ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
প্রধান আসামি ১৫ মার্চ মাগুরার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এতে তিনি স্বীকার করেন, মেয়েটিকে ধর্ষণের সময় চিৎকার আটকাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টেনে ধরেছিলেন।
শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এক মাস হয়ে গেলেও তাঁরা কোনো বিচার পাচ্ছেন না। কবে বিচার হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন বলেন, মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত আদালতে জমা দেওয়া হবে। কিছু প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক আজ সোমবার আজকে পত্রিকাকে জানান, মামলায় প্রধান আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ডিএনএ প্রতিবেদনে এটি প্রমাণিত হয়েছে। অন্য যাঁরা আসামি রয়েছেন, তাঁদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন ছুটির কারণে দেড় মাস পর আজ শিশুটির বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। ক্লাসে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তার অভাব বোধ করার কথা জানিয়েছেন।
এক সহপাঠী বলে, ‘ও খুব হাসিখুশি ছিল, প্রতিদিন স্কুলে আসত। এত দিন স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা ওর অভাব তেমন বুঝিনি। এখন স্কুল খুলেছে; কিন্তু ও আর আসবে না কোনো দিন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।’
বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘শিশুটি খুব মেধাবী ছিল। প্রায় অঙ্কই সে করতে পারত। দরিদ্র ঘরের সন্তান হয়েও পড়াশোনায় ভালো ছিল। তার চিরবিদায় মেনে নেওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টের। এই বিদ্যালয়ে সে ঘুরে বেড়াত। আর কোনো দিন সে আসবে না এখানে। কোথাও তাকে আমরা খুঁজে পাব না। তার সঙ্গে ঘটা এই পাশবিক ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি চাই দ্রুত।’
শ্রীপুর উপজেলায় শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা হয় বড় বোনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ওর স্কুল খুলেছে। ওর নীল ব্যাগ ও নতুন বইগুলো পড়ে রয়েছে। সবাই স্কুলে যাচ্ছে অথচ আমার বোন বেঁচে নেই। সে আর কখনো স্কুলে যাবে না। এটা কষ্ট দিচ্ছে আমাদের। আমরা দ্রুততম সময়ে দোষীদের ফাঁসি চাই। আমরা সঠিক বিচার চাই।’
মাগুরার সেই ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের মামলায় এক মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, দ্রুত অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। ডিএনএ পরীক্ষা করে ঘটনার সঙ্গে প্রধান আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
শিশুটি মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে গত ৬ মার্চ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। এ ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে ৮ মার্চ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এতে শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তার হয়ে চারজনই কারাগারে রয়েছেন। নির্যাতনের শিকার শিশুটি ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
প্রধান আসামি ১৫ মার্চ মাগুরার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এতে তিনি স্বীকার করেন, মেয়েটিকে ধর্ষণের সময় চিৎকার আটকাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টেনে ধরেছিলেন।
শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এক মাস হয়ে গেলেও তাঁরা কোনো বিচার পাচ্ছেন না। কবে বিচার হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন বলেন, মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত আদালতে জমা দেওয়া হবে। কিছু প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ পর্যায়ে।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক আজ সোমবার আজকে পত্রিকাকে জানান, মামলায় প্রধান আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ডিএনএ প্রতিবেদনে এটি প্রমাণিত হয়েছে। অন্য যাঁরা আসামি রয়েছেন, তাঁদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন ছুটির কারণে দেড় মাস পর আজ শিশুটির বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। ক্লাসে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তার অভাব বোধ করার কথা জানিয়েছেন।
এক সহপাঠী বলে, ‘ও খুব হাসিখুশি ছিল, প্রতিদিন স্কুলে আসত। এত দিন স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা ওর অভাব তেমন বুঝিনি। এখন স্কুল খুলেছে; কিন্তু ও আর আসবে না কোনো দিন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।’
বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘শিশুটি খুব মেধাবী ছিল। প্রায় অঙ্কই সে করতে পারত। দরিদ্র ঘরের সন্তান হয়েও পড়াশোনায় ভালো ছিল। তার চিরবিদায় মেনে নেওয়া আমাদের জন্য খুবই কষ্টের। এই বিদ্যালয়ে সে ঘুরে বেড়াত। আর কোনো দিন সে আসবে না এখানে। কোথাও তাকে আমরা খুঁজে পাব না। তার সঙ্গে ঘটা এই পাশবিক ঘটনায় দোষীদের ফাঁসি চাই দ্রুত।’
শ্রীপুর উপজেলায় শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা হয় বড় বোনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ওর স্কুল খুলেছে। ওর নীল ব্যাগ ও নতুন বইগুলো পড়ে রয়েছে। সবাই স্কুলে যাচ্ছে অথচ আমার বোন বেঁচে নেই। সে আর কখনো স্কুলে যাবে না। এটা কষ্ট দিচ্ছে আমাদের। আমরা দ্রুততম সময়ে দোষীদের ফাঁসি চাই। আমরা সঠিক বিচার চাই।’
রাজধানীর বংশাল থানাধীন তাঁতীবাজার মোড় এলাকা থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ৩৩ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বংশাল থানা। গতকাল রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ পণ্য উদ্ধার করা হয়।
৫ মিনিট আগেখুলনার ময়লাপোতা মোড়ে অবস্থিত কেএফসি ও ডমিনোস পিৎজার শাখা এবং সেনাকল্যাণ ভবনে বাটা শোরুম ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে পর্যায়ক্রমে এ ভাঙচুর চালানো হয়।
২৬ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সকারের মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। মিল্টন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।
৩১ মিনিট আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানি এলাকায় প্রাচীন নিদর্শন বলিহার রাজার কাছারিবাড়ি থেকে লোহার ১৭টি গ্রিল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ফেরদৌস আলমকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনগণ।
৩২ মিনিট আগে