Ajker Patrika

অপহরণের ৩৪ দিন পর সাতক্ষীরা থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

­যশোর প্রতিনিধি
রেজাউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
রেজাউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অপহরণের ৩৪ দিন পর যশোরের কাপড় ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ, তবে জীবিত নয়, মৃত। আজ রোববার সাতক্ষীরার আশাশুনি দক্ষিণ একসরা গ্রামের একটি বাগানে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় খোকন মোল্লা নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের একটি দল লাশ নিয়ে যশোরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের শনাক্ত করে। এরপর অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা রেজাউলকে অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন, সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে ঘটনার মূল রহস্য।

ওসি আরও বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্রিফ করবেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রেজাউল অপহরণ মামলায় পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি সবুজকে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁর সহযোগী রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, আজ সাতক্ষীরায় আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রেজাউল ইসলামের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, সবুজ ও রিপন যশোর শহরেই রেজাউলকে হত্যা করেন। পরে তাঁর লাশ বস্তাবন্দী করে ইজিবাইকে করে কিছু দূর নিয়ে যান। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ও পরে বাসে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যান। এরপর সবুজ লাশটি তাঁর শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাগানে পুঁতে রাখেন। কয়েক দিন পর বিষয়টি জানতে পারেন সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লা।

খোকন মোল্লা লাশটি উত্তোলন করে পাশের আরেকটি বাগানে পুনরায় পুঁতে রাখেন। পুলিশের অভিযানে আজ দুপুরে ওই বাগান থেকেই রেজাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকে আটক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের বাসিন্দা ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম নিজ এলাকাতেই কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা চালাতেন। দোকানের পাশে কামরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁর পাশের ঘরে বসবাস করতেন একই এলাকার রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার সবুজ ওরফে রবিউল।

একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে তাঁদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে রেজাউল ব্যবসার জন্য পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়িসহ দুই শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এরপর সবুজ ও রিপনের সহায়তায় জমিসহ বাড়িটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ওই টাকা হস্তান্তরের কথা বলে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউলকে মোবাইলে ডেকে নেন সবুজ ও রিপন। এরপর থেকে রেজাউল ইসলাম আর বাড়ি ফেরেননি।

এ ঘটনায় তাঁর পরিবার জিডি করে। খোঁজ না পেয়ে এক সপ্তাহ পর অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপনসহ অজ্ঞাতনামা দুই–িতিনজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত