জাহিদ হাসান, যশোর
যশোরের ঝিকরগাছার পানিসারা পশ্চিম পাড়ার ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী আব্দুর সাত্তার। দুই দশকের বেশি সময় ফুল চাষাবাদ ও ব্যবসায় জড়িত। বলেন, ‘গদখালী পাইকারি মোকাম থেকে ফুল কিনে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানে পাঠাই। বিএনপির কয়েকজন আমার বাড়িতে এসে হুমকি-ধমকি দিয়ে ওই সব দোকানের ব্যবসায়ীদের ফোন নম্বর নিয়ে গেছে। এখন তারা ওই সব দোকানে ফুল পাঠাচ্ছে। আমি কোনো রাজনীতি করি না। বিএনপি ও যুবদলের লোকজন আমার ফুলের ব্যবসা কেড়ে নিয়েছে।’
শুধু আব্দুর সাত্তারের সঙ্গে এমনটা ঘটেছে তা নয়। পানিসারার অন্তত ১০০ জন ফুল ব্যবসায়ীর ব্যবসা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ব্যবসায়ীদের আওয়ামী লীগে দলীয় কোনো পদপদবি নেই। এরপর চার মাস ধরে এই ব্যবসায়ীরা গদখালী বাজারে যেতে পারছেন না। আব্দুর সাত্তার বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছে আমি ৭-৯ লাখ টাকা পাব। ফুল দিতে না পারায় তারা টাকাও দিচ্ছে না। এতে পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছি।’
স্থানীয় ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিএনপির নেতা আবুল খায়ের ও গদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফরের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবদলের কর্মী সাব্বির, আশিকুর, বাবু, শাওন, মনিরসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন গদখালী ও পানিসারা বাজারের ফুলের ব্যবসা দখল করে নিয়েছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গদখালী বাজারে অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন এই বিএনপি নেতারা। ফুলের দাম নির্ধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় ফুল পাঠানো নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁরা।
পানিসারা ফুলচাষি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘তিন দশকের বেশি ফুল চাষ ও ব্যবসা করি। কিন্তু আমাদের ব্যবসা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সাধারণ কৃষকেরা বাজারে ফুল নিয়ে গেলে বিএনপির নেতারা তাঁদের মতো করে দাম দিচ্ছেন। চাষিরা ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। অনেকটা জিম্মি করে ব্যবসা করছেন তাঁরা।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, গদখালী ফুলের মোকামে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘নবগঠিত গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর, কোষাধ্যক্ষ মিন্টু খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হোসেন।’ কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের গদখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর গদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নবগঠিত গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিএনপির নেতা আবুল খায়ের বলেন, ‘এই সমিতির তেমন কার্যকারিতা ছিল না। তা ছাড়া এত দিন আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে ছিল সমিতির নেতৃত্ব। আমরা নতুন কমিটি গঠন করেছি। এতে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা খুশি’। কারও ব্যবসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলেও তিনি দাবি করেন।
গদখালী ও পানিসারায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ ও ফুল ব্যবসা সম্প্রসারণে ৩৫ বছর ধরে সংগঠকের দায়িত্ব পালন করছেন আবদুর রহিম। বর্তমানে তিনি যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। গদখালী বাজারে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয় রয়েছে। সেখানে তাঁর বীজ ব্যবসার কার্যক্রম চালান তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাজনীতিতে জড়িত। যুবদলের কর্মীরা পানিসারা গ্রামে তাঁকে মারপিট করেন। গদখালী বাজারে উঠলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। চার মাস ধরে তিনি গদখালী বাজারে যেতে পারছেন না। আবদুর রহিম বলেন, ‘হঠাৎ কী হলো বুঝলাম না, বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন আমাদের ব্যবসায়ীদের মারপিট করে ব্যবসা কেড়ে নিয়েছে। ফুলচাষিদের বাজারে হেনস্তা করছে। আমি নিজেই জীবননাশের ঝুঁকিতে আছি। অথচ আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি না।’
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, তাঁরা কোনো কথা বলবেন না। আর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগের বিষয়ে জানা নেই।’
যশোরের ঝিকরগাছার পানিসারা পশ্চিম পাড়ার ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী আব্দুর সাত্তার। দুই দশকের বেশি সময় ফুল চাষাবাদ ও ব্যবসায় জড়িত। বলেন, ‘গদখালী পাইকারি মোকাম থেকে ফুল কিনে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানে পাঠাই। বিএনপির কয়েকজন আমার বাড়িতে এসে হুমকি-ধমকি দিয়ে ওই সব দোকানের ব্যবসায়ীদের ফোন নম্বর নিয়ে গেছে। এখন তারা ওই সব দোকানে ফুল পাঠাচ্ছে। আমি কোনো রাজনীতি করি না। বিএনপি ও যুবদলের লোকজন আমার ফুলের ব্যবসা কেড়ে নিয়েছে।’
শুধু আব্দুর সাত্তারের সঙ্গে এমনটা ঘটেছে তা নয়। পানিসারার অন্তত ১০০ জন ফুল ব্যবসায়ীর ব্যবসা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ব্যবসায়ীদের আওয়ামী লীগে দলীয় কোনো পদপদবি নেই। এরপর চার মাস ধরে এই ব্যবসায়ীরা গদখালী বাজারে যেতে পারছেন না। আব্দুর সাত্তার বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছে আমি ৭-৯ লাখ টাকা পাব। ফুল দিতে না পারায় তারা টাকাও দিচ্ছে না। এতে পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করছি।’
স্থানীয় ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিএনপির নেতা আবুল খায়ের ও গদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফরের নেতৃত্বে স্থানীয় যুবদলের কর্মী সাব্বির, আশিকুর, বাবু, শাওন, মনিরসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন গদখালী ও পানিসারা বাজারের ফুলের ব্যবসা দখল করে নিয়েছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গদখালী বাজারে অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন এই বিএনপি নেতারা। ফুলের দাম নির্ধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় ফুল পাঠানো নিয়ন্ত্রণ করছেন তাঁরা।
পানিসারা ফুলচাষি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘তিন দশকের বেশি ফুল চাষ ও ব্যবসা করি। কিন্তু আমাদের ব্যবসা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সাধারণ কৃষকেরা বাজারে ফুল নিয়ে গেলে বিএনপির নেতারা তাঁদের মতো করে দাম দিচ্ছেন। চাষিরা ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। অনেকটা জিম্মি করে ব্যবসা করছেন তাঁরা।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, গদখালী ফুলের মোকামে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘নবগঠিত গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর, কোষাধ্যক্ষ মিন্টু খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমামুল হোসেন।’ কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের গদখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর গদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নবগঠিত গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিএনপির নেতা আবুল খায়ের বলেন, ‘এই সমিতির তেমন কার্যকারিতা ছিল না। তা ছাড়া এত দিন আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে ছিল সমিতির নেতৃত্ব। আমরা নতুন কমিটি গঠন করেছি। এতে ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা খুশি’। কারও ব্যবসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলেও তিনি দাবি করেন।
গদখালী ও পানিসারায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ ও ফুল ব্যবসা সম্প্রসারণে ৩৫ বছর ধরে সংগঠকের দায়িত্ব পালন করছেন আবদুর রহিম। বর্তমানে তিনি যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। গদখালী বাজারে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয় রয়েছে। সেখানে তাঁর বীজ ব্যবসার কার্যক্রম চালান তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাজনীতিতে জড়িত। যুবদলের কর্মীরা পানিসারা গ্রামে তাঁকে মারপিট করেন। গদখালী বাজারে উঠলে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। চার মাস ধরে তিনি গদখালী বাজারে যেতে পারছেন না। আবদুর রহিম বলেন, ‘হঠাৎ কী হলো বুঝলাম না, বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন আমাদের ব্যবসায়ীদের মারপিট করে ব্যবসা কেড়ে নিয়েছে। ফুলচাষিদের বাজারে হেনস্তা করছে। আমি নিজেই জীবননাশের ঝুঁকিতে আছি। অথচ আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি না।’
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, তাঁরা কোনো কথা বলবেন না। আর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগের বিষয়ে জানা নেই।’
কুড়িগ্রামে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার রাজারহাট ও উলিপুর থানা-পুলিশ পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২২ মিনিট আগেদিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের করিডরে রাখা রোগীদের ব্যবহৃত পরিত্যক্ত মালপত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘ছাত্ররা নতুন দল করতে চাইছে আমরা স্বাগত জানাই। অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়ে, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যদি নতুন দল হয়, ছাত্রদের একাংশ যদি দল গঠন করে তাহলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে দল গঠন বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে নেয় না।’
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনশনে অংশগ্রহণ করছেন ১২ শিক্ষার্থী। অনশনের মধ্যেই দুপুর থেকে আবারও সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগে