ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি দল। একই সময়ে আশপাশের কম্পিউটারের দোকানেও অভিযান চালানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা ঝিনাইদহ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শুরুতে পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন স্বর্ণা কম্পিউটারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। ব্যাংক ড্রাফটের নামে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া, দালালের মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করা ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ রাখাসহ নানা অভিযোগে দোকান মালিক মুস্তাফিজুর রহমান মিশুকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায় দুদক কর্মকর্তারা।
এ সময় অফিসে পাসপোর্টের জন্য আসা অসংখ্য মানুষ দুদক কর্মকর্তাদের কাছে একে একে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন।
দাউদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসে আসলেই একটা লোক বলে কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে গিয়ে ৮ হাজার ৩০০ টাকা দিতে হবে। তাহলে আপনার কোনো কাজ করা লাগবে না। এমনিতেই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি বলি, আমারতো একটু কম হলে ভালো হয়, তখন সে বলে তাহলে ৬ হাজার টাকা দিতে হবে আর টাকাটা আপনাকে জমা দিতে হবে। কিছুক্ষণ আগে আপনাদের (দুদকের) অভিযান দেখে বলে কাগজে একটু সমস্যা আছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘গেল এক সপ্তাহ ধরে আমাকে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন খালি ঘোরাচ্ছে। প্রথমে ফ্রন্ট ডেস্কে আসলেই পাসপোর্ট অফিসের লোকজন ঠিকমতো কথা বলতেই চায় না। পরে বারবার কাগজপত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অফিসের লোক আমার সঙ্গে বিশ্রী ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি খুবই খারাপ ব্যবহার করে।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘এরপর থেকেই এই কাগজ সমস্যা, ওই কাগজ ঠিক নেই। এভাবে আমাকে হয়রানি করেই আসছে। আমরা যে সরকারি অফিসে সেবা নিতে আসছি সেটা আসলে মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে পাসপোর্ট অফিসে এসে খুবই বড় পাপ করে ফেলছি।’ পরে দুদক কর্মকর্তাদের সামনেই ভুক্তভোগী ওই নারীর পাসপোর্টের কাগজপত্র ঠিক করে দেন কর্মকর্তারা।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদ কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সব সময়ই অভিযান পরিচালনা করে আসছে দুদক। পাসপোর্ট অফিসের সবাইকে ও কম্পিউটারের দোকান মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম নুরুন্নবী ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি দল। একই সময়ে আশপাশের কম্পিউটারের দোকানেও অভিযান চালানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা ঝিনাইদহ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শুরুতে পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন স্বর্ণা কম্পিউটারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। ব্যাংক ড্রাফটের নামে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া, দালালের মাধ্যমে মানুষকে হয়রানি করা ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ রাখাসহ নানা অভিযোগে দোকান মালিক মুস্তাফিজুর রহমান মিশুকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায় দুদক কর্মকর্তারা।
এ সময় অফিসে পাসপোর্টের জন্য আসা অসংখ্য মানুষ দুদক কর্মকর্তাদের কাছে একে একে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন।
দাউদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘পাসপোর্ট অফিসে আসলেই একটা লোক বলে কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে গিয়ে ৮ হাজার ৩০০ টাকা দিতে হবে। তাহলে আপনার কোনো কাজ করা লাগবে না। এমনিতেই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে আমি বলি, আমারতো একটু কম হলে ভালো হয়, তখন সে বলে তাহলে ৬ হাজার টাকা দিতে হবে আর টাকাটা আপনাকে জমা দিতে হবে। কিছুক্ষণ আগে আপনাদের (দুদকের) অভিযান দেখে বলে কাগজে একটু সমস্যা আছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘গেল এক সপ্তাহ ধরে আমাকে পাসপোর্ট অফিসের লোকজন খালি ঘোরাচ্ছে। প্রথমে ফ্রন্ট ডেস্কে আসলেই পাসপোর্ট অফিসের লোকজন ঠিকমতো কথা বলতেই চায় না। পরে বারবার কাগজপত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অফিসের লোক আমার সঙ্গে বিশ্রী ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি খুবই খারাপ ব্যবহার করে।’
ওই নারী আরও বলেন, ‘এরপর থেকেই এই কাগজ সমস্যা, ওই কাগজ ঠিক নেই। এভাবে আমাকে হয়রানি করেই আসছে। আমরা যে সরকারি অফিসে সেবা নিতে আসছি সেটা আসলে মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে পাসপোর্ট অফিসে এসে খুবই বড় পাপ করে ফেলছি।’ পরে দুদক কর্মকর্তাদের সামনেই ভুক্তভোগী ওই নারীর পাসপোর্টের কাগজপত্র ঠিক করে দেন কর্মকর্তারা।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদ কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সব সময়ই অভিযান পরিচালনা করে আসছে দুদক। পাসপোর্ট অফিসের সবাইকে ও কম্পিউটারের দোকান মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম নুরুন্নবী ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
২ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সরাসরি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অনুগত স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, নৈশপ্রহরীর স্বামী, নলকূপ বিক্রেতাসহ এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে...
৩২ মিনিট আগেদিনাজপুর সদর ও চিরিরবন্দর উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার লক্ষ্যে দুটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০১ সালে চিরিরবন্দর উপজেলার কাঁকড়া নদীতে সাঁইতাড়া এলাকায় একটি এবং অন্যটি ২০১৩ সালে আত্রাই নদে মোহনপুর এলাকায় নির্মাণ করে। সম্প্রতি মোহনপুর রাবার...
৩৭ মিনিট আগেনানা সমস্যার কারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না সরকার। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে বস্তায় ভরে ধান খাদ্যগুদামে নিয়ে যাওয়া, ধান শুকিয়ে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনা, চিটার জন্য প্রতিমণে এক-দুই কেজি বেশি ধান নেওয়ার মতো নানা শর্ত এবং ব্যাংকে দৌড়াদৌড়ি করা। চলতি বছর আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার.
১ ঘণ্টা আগে