Ajker Patrika

রঙিন ফুলকপি কিনছে সৌন্দর্যের জন্য

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫: ২৭
Thumbnail image

কোনোটা হলুদ, আবার বেগুনি, রক্তের মতো গাঢ় লাল, আছে বাদামি রঙেরও। এমন কয়েকটি রঙের ফুলকপি ধরেছে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাজরাতলা গ্রামে এক কৃষকের খেতে। রংবেরঙের ফুলকপি দেখতে ভিড় করছে মানুষ। কিনছেন প্রিয় মানুষকে উপহার দেওয়ার জন্য। 

সুশেন বালা ও তাঁর স্ত্রী দিপা বালার ঝুঁকি নিয়ে রঙিন ফুলকপি চাষ এখন সফল। কৃষি কার্যালয় থেকে শুরু করে সমাজের নানা পর্যায়ের মানুষ দেখতে আসে তাঁদের রঙিন ফুলকপি। প্রশংসায় ভাসছেন তাঁরা। 

সুশেন বালা বলেন, ‘আমাদের খেতে বেগুনি, লাল, হলুদ ও বাদামি ফুলকপি চাষ হয়েছে। হালকা লাল ও গাঢ় লাল ধরেছে মাত্র। বড় হলে রং আরও স্পষ্ট হবে।’ 

সুশেন বালার জমিতে গিয়ে দেখা গেছে থরে থরে রঙিন ফুলকপি ধরে আছে। তবে পাতাগুলো বেশি বড় হওয়ায় ফুলকপিগুলো দূর থেকে দেখা যায় না। ফুলকপির পাশেই রয়েছে বাঁধাকপির চাষ। সেগুলোও রঙিন। খয়েরি ও গোলাপি রঙের বাঁধাকপি কেবল বড় হচ্ছে। 

সুশেন বালা জানান, ফেসবুকে প্রথম দেখন রঙিন ফুলকপির চাষ। দেখতে ভালো লাগায় ইন্টারনেটে বীজ খোঁজেন। একজনের পরামর্শে কৃষি কার্যালয়ে যোগাযোগ করে সেখান থেকে কিছু বীজ পান। তাদের দেখাশোনা ও সহযোগিতায় তিনি প্রথমে ৪০ শতক জমিতে এই রঙিন ফুলকপির চাষ শুরু করেন। 

হলুদ রঙের ফুলকপিসুশেন বালা বলেন, ‘কৃষি কার্যালয় থেকে সার ও বীজ দেওয়া হয় আমাকে। এরপর নিজের থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে শুরু করলাম এই সবজির চাষ। শুরুতে খুব ঝুঁকি ছিল চাষাবাদ করতে পারব কি না। কিন্তু আমি বিফল হইনি। সাধারণ ফুলকপির মতোই এর পরিচর্যা করলে হয়। এখন ফুলকপি বিক্রি শুরু করেছি। পিস হিসেবে অনেকে ফুলকপি কিনছেন। অনেকে একে অপরকে এই রঙিন ফুলকপি কিনে গিফট করছেন দেখে ভালো লাগছে। অনেকে খেতে এসে ছবি তুলছে।’ 

সুশেন বালার স্ত্রী দিপা বালা বলেন, ‘রঙিন ফুলকপি কিনতে অনেকে বায়না দিয়ে গেছে। প্রতিটি ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। কয়েকজন অগ্রিম টাকা দিয়ে গেছে। ফুলকপি বড় হলে তারা চাহিদামতো নিয়ে যাবে। বাজারে এখন সাধারণ ফুলকপির কেজি ১ থেকে ১৮ টাকা। সেখানে আমরা রঙিন ফুলকপিতে পাচ্ছি তিন গুণ টাকা। এতে আমরা বেজায় খুশি।’ 

রঙিন বাঁধাকপিফুলকপির খেত দেখতে শাহীন আলম তুহিন এসেছেন মাগুরা শহর থেকে। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখলাম এই রঙিন ফুলকপির কথা। দেখে ভালো লাগল। এমন রঙের কপি আমরা দেখি না। কিনে নিয়ে বাড়িতে সবাইকে দেখাব। খেতে কেমন হবে জানি না। তবে দেখতে ভালো লাগছে।’ 

এই ফুলকপির পুষ্টিগুণ নিয়ে বললেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, রঙিন ফুলকপিতে রয়েছে নানা রকম ভিটামিন। বিটা কেরোটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এমনকি ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত