Ajker Patrika

বাগেরহাটে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মারামারি, আহত ২ 

বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ২২: ০০
বাগেরহাটে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মারামারি, আহত ২ 

বাগেরহাটের চিতলমারীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার জমিতে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার কুড়ালতলা উত্তরপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হলেন ওই গ্রামের মৃত রাজেন্দ্রনাথ মণ্ডলের স্ত্রী বাসন্তী মণ্ডল (৬৫) ও মনোরঞ্জন মণ্ডলের স্ত্রী মঞ্জু রানী মণ্ডল (৫০)। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

চিতলমারী থানার পরিদর্শক এ এই চএম কামরুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আহতদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী অনিমেষ মণ্ডল ও মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘আজ শনিবার দুপুরে তাঁদের পূর্বপুরুষের প্রায় ১ একর ৬০ শতক জমিতে ধান লাগানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় চর কুড়ালতলা গ্রামের মাসুদ গাজী, আনোয়ার গাজী ও সাখাওয়াৎ শিকদারের নেতৃত্বে কিছু লোক হাতুড়ি, রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে ধান লাগাচ্ছিল। পুরুষেরা তাঁদের সামনে না গিয়ে নারীরা যান এবং ধান লাগাতে বাধা দেন।’ 

তাঁরা আরও বলেন, ‘তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাঁরা নারীদের ওপর হামলা ও মারধর করেন। তাঁদের হামলার শিকার হন ইতি মণ্ডল (৩৫), অঞ্জলি মণ্ডল (৩৪), কবিতা মণ্ডল (৪০), চঞ্চলা মণ্ডল (৪৫), কামনা মণ্ডল (৩৪), মিনি মণ্ডল (৪৫), মাধু মণ্ডল (২২), শোভা মণ্ডল (৫০), সীমা মণ্ডল (২২), রীতা মণ্ডল (৩২) ও চম্পা মণ্ডল (৩০)।’ 

অন্যদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মাসুদ গাজী বলেন, ‘ওই জায়গা আমার দাদা মৃত আব্দুল মজিদের ক্রয় করা। অন্য অংশীদারদের পক্ষ থেকে আমি আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা করি। আদালত ওই জায়গায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। তা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ আজ ধান লাগাতে যায়। এ সময় আমরা তাঁদের বাধা দিয়েছি। এখন তাঁরা নারীদের ওপর হামলার নাটক সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’ 

চিতলমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি আমি উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেছি।’ 

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আহত নারীরা আমার কাছে এসেছিল। আমি আগে তাঁদের চিকিৎসা নিতে বলেছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত