মাগুরা প্রতিনিধি
১৩ বছর আগে মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ার বরইচরায় অভয়াচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন শিশির সরকার। বিদ্যালয়টিতে ক্লাস নেননি একদিনও। শিক্ষার্থীরাও চেনে না তাকে। কিন্তু মাসশেষে বেতন তুলেছেন ঠিকই। আবার বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়েও করেছেন অবৈধ বাণিজ্য। এমন বিস্তর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
একযুগেরও বেশি সময় ধরে এমন অনিয়ম চললেও শিশির সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস করেননি কেউ। কারণ তিনি মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)।
২০১১ সালের ১২ মার্চ বিদ্যালয়টিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এমপি বীরেন শিকদারের এপিএস হিসেবে কাজ শুরু করেন শিশির। ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান বীরেন শিকদার। তখন থেকে শিশির সরকারের ক্ষমতার দাপট বাড়তে থাকে বলে স্থানীয়রা জানায়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় সই দেখা যায় শিশির সরকারের। সেসময় অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে দুই মাসের ছুটি নেন তিনি। তারপর থেকে অনুপস্থিত এই শিক্ষক।
টানা ১৩ বছর এপিএসের ক্ষমতাবলে বিদ্যালয়ে যাননি শিশির সরকার। প্রতি মাসে একবার বিদ্যালয়ে গিয়ে উপস্থিতির খাতায় হাজিরা সই দিয়ে এসেছেন। আর বেতন তুলেছেন নিয়মিত। এসবে সাহায্য করার অভিযোগ এসেছে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নারায়ণ বরের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নারায়ণ বরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টায় বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি তাকে। কয়েকদিন আগে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গিয়েছেন বলে স্বজনরা জানায়। তবে বিদ্যালয়ের অনেকের অভিযোগ, সব অনিয়মের হোতা এই সভাপতি। শিশির সরকারের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। এখন তিনি পালিয়ে দেশেই আছেন বলে দাবি অনেকের।
গত বৃহস্পতিবার শিশির সরকারের বিষয়ে জানতে চাইরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, শিশির সরকার কোনোদিন ক্লাস নেননি। ক্লাস সিক্স থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই তাকে শ্রেণিকক্ষে পায়নি।
আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানায়, তিনি ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছেন। এখন কলেজে পড়ছেন। তিনি কখনো বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে শিশির সরকারকে দেখেননি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মমতা মজুমদার বলেন, শিশির সরকার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ পেলেও ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পান। বিদ্যালয়ের সভাপতি নারায়ণ বরকে সঙ্গে নিয়ে মাঝেমাঝে স্কুলে আসতেন তিনি। তারপর এক মাসের হাজিরা সই করে চলে যেতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এমপির এপিএস বলে কখনো কিছু বলতে সাহস পাইনি। ম্যানেজিং কমিটিকে জানালে তারা বলেছে, কোনো সমস্যা হবে না। গত আগস্টের বেতনও তিনি পেয়েছেন। তার কোনো মাসের বেতন আটকে থাকেনি।’
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মমতা মজুমদারও এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তার নিয়োগও এই শিশির সরকারের প্রভাবে হয়েছে। এই নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ বিনিময় হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মমতা মজুমদার প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। তাকে নিজ ক্ষমতাবলে নিয়োগ দিয়েছে শিশির সরকার। যেখানে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন হয় বলে দাবি করেন এই শিক্ষক।’
মাগুরা জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশির সরকার ক্লাস না করিয়ে বেতন তুলেছেন। বিষয়টিতে প্রধান শিক্ষক দায় এড়াতে পারেন না। গত বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক মমতা মজুমদার লিখিত আকারে আমার কাছে স্বীকার করেছেন।’
তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এরকম অনিয়মের তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে এ সপ্তাহে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত শিশির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
১৩ বছর আগে মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়ার বরইচরায় অভয়াচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন শিশির সরকার। বিদ্যালয়টিতে ক্লাস নেননি একদিনও। শিক্ষার্থীরাও চেনে না তাকে। কিন্তু মাসশেষে বেতন তুলেছেন ঠিকই। আবার বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়েও করেছেন অবৈধ বাণিজ্য। এমন বিস্তর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
একযুগেরও বেশি সময় ধরে এমন অনিয়ম চললেও শিশির সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস করেননি কেউ। কারণ তিনি মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)।
২০১১ সালের ১২ মার্চ বিদ্যালয়টিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এমপি বীরেন শিকদারের এপিএস হিসেবে কাজ শুরু করেন শিশির। ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান বীরেন শিকদার। তখন থেকে শিশির সরকারের ক্ষমতার দাপট বাড়তে থাকে বলে স্থানীয়রা জানায়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় সই দেখা যায় শিশির সরকারের। সেসময় অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে দুই মাসের ছুটি নেন তিনি। তারপর থেকে অনুপস্থিত এই শিক্ষক।
টানা ১৩ বছর এপিএসের ক্ষমতাবলে বিদ্যালয়ে যাননি শিশির সরকার। প্রতি মাসে একবার বিদ্যালয়ে গিয়ে উপস্থিতির খাতায় হাজিরা সই দিয়ে এসেছেন। আর বেতন তুলেছেন নিয়মিত। এসবে সাহায্য করার অভিযোগ এসেছে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নারায়ণ বরের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নারায়ণ বরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টায় বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি তাকে। কয়েকদিন আগে চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গিয়েছেন বলে স্বজনরা জানায়। তবে বিদ্যালয়ের অনেকের অভিযোগ, সব অনিয়মের হোতা এই সভাপতি। শিশির সরকারের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। এখন তিনি পালিয়ে দেশেই আছেন বলে দাবি অনেকের।
গত বৃহস্পতিবার শিশির সরকারের বিষয়ে জানতে চাইরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, শিশির সরকার কোনোদিন ক্লাস নেননি। ক্লাস সিক্স থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই তাকে শ্রেণিকক্ষে পায়নি।
আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানায়, তিনি ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেছেন। এখন কলেজে পড়ছেন। তিনি কখনো বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে শিশির সরকারকে দেখেননি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মমতা মজুমদার বলেন, শিশির সরকার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ পেলেও ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পান। বিদ্যালয়ের সভাপতি নারায়ণ বরকে সঙ্গে নিয়ে মাঝেমাঝে স্কুলে আসতেন তিনি। তারপর এক মাসের হাজিরা সই করে চলে যেতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এমপির এপিএস বলে কখনো কিছু বলতে সাহস পাইনি। ম্যানেজিং কমিটিকে জানালে তারা বলেছে, কোনো সমস্যা হবে না। গত আগস্টের বেতনও তিনি পেয়েছেন। তার কোনো মাসের বেতন আটকে থাকেনি।’
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মমতা মজুমদারও এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তার নিয়োগও এই শিশির সরকারের প্রভাবে হয়েছে। এই নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ বিনিময় হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মমতা মজুমদার প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। তাকে নিজ ক্ষমতাবলে নিয়োগ দিয়েছে শিশির সরকার। যেখানে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন হয় বলে দাবি করেন এই শিক্ষক।’
মাগুরা জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবীর মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশির সরকার ক্লাস না করিয়ে বেতন তুলেছেন। বিষয়টিতে প্রধান শিক্ষক দায় এড়াতে পারেন না। গত বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক মমতা মজুমদার লিখিত আকারে আমার কাছে স্বীকার করেছেন।’
তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এরকম অনিয়মের তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে এ সপ্তাহে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত শিশির সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রাজশাহীর একটি সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর করা মামলায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বছরের ১১ জুলাই অভিযুক্ত মুন্না ইমেইলে ওই ছাত্রীর কাছে তাঁর একটি সম্পাদিত (এডিট) নগ্ন ছবি পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন।
৪০ মিনিট আগেঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
১ ঘণ্টা আগেকাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল পায় তদন্ত কমিটি। সর্বশেষ দুদক বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পিরোজপুর এলজিইডি কার্যালয় ও জেলা হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের...
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে বৃষ্টিতে ভিজে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকার এইচডিএফ অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকেরা এই অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন...
৩ ঘণ্টা আগে