Ajker Patrika

মোংলায় ভিড়েছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার জাহাজ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৩৬
মোংলায় ভিড়েছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার জাহাজ

আবার চালু হচ্ছে কয়লাসংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। আজ বুধবার তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা জাহাজ এমভি স্পাইনেল ভিড়েছে মোংলা বন্দরে। ১৬ ফেব্রুয়ারি আরও একটি জাহাজ ৫১ হাজার টন কয়লা নিয়ে বন্দরে আসার কথা রয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সপ্তাহখানেকের পর পুনরায় উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানান রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম।

উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘কয়লার সংকটে গত ১৪ জানুয়ারির প্ল্যান্টটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আজ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা একটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। এখন সেখান থেকে লাইটারেজে করে কয়লা আনা হবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে। এরপর জেটি থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তা যাবে কয়লার গোডাউনে।

‘মজুত গোডাউন থেকে কয়লা নিয়ে জ্বালানির ব্যবহার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু করা হবে। যদিও এ প্রক্রিয়াও সময়সাপেক্ষ। তাই এসব প্রক্রিয়া শেষে আগামী সপ্তাহখানেকের পর পুনরায় উৎপাদনে যেতে সক্ষম হবে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।’

আনোয়ারুল আজিম আরও বলেন, ‘আশা করছি, এখন থেকে নিয়মিত কয়লা আসতে থাকবে, ফলে প্ল্যান্টটির উৎপাদন ব্যাহত কিংবা বন্ধের আর তেমন কোনো আশঙ্কা ও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে না।’ 

কয়লাবাহী জাহাজ এমভি স্পাইনেলের স্থানীয় শিপিং এজেন্টের ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৩ হাজার টন জ্বালানি কয়লা নিয়ে পানামা পতাকাবাহী জাহাজ এমভি স্পাইনেল আজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে। রাত থেকেই এ কয়লা খালাস ও পরিবহনের কাজ শুরু হবে। এরপর বিদেশি ওই জাহাজ থেকে খালাস হওয়া কয়লা লাইটারেজে (কার্গো-কোস্টার) করে নেওয়া হবে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে।’ 

খন্দকার রিয়াজুল হক আরও বলেন, ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫১ হাজার টন কয়লা নিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরে ভিড়বে আরও একটি বিদেশি জাহাজ।’ রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সব জ্বালানি কয়লা আসবে ইন্দোনেশিয়া থেকে বলে জানান তিনি। 

উল্লেখ্য, রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালু হয় গত বছরের আগস্টে। এরপর ডিসেম্বর পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় জাতীয় গ্রিডে। আর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত