Ajker Patrika

দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবস উদযাপনে সপরিবারে যোগ দিয়েছেন সাবেক দস্যুরা

মোংলা প্রতিনিধি 
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ০২
দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবস উদযাপনে সপরিবারে যোগ দিয়েছেন সাবেক দস্যুরা

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন’ ঘোষণা করেন। আজ ‘দস্যুমুক্ত সুন্দরবন’ এর তৃতীয় বর্ষপূর্তি। প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা, দিকনির্দেশনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও র‍্যাবের কর্মতৎপরতায় দস্যুমুক্ত হয় সুন্দরবন। এই সাফল্য অর্জনে র‍্যাব পেয়েছে দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা। এরপর থেকে প্রতিবছর নানা আয়োজনে দিনটিকে উদ্‌যাপন করে র‍্যাব। আর আয়োজনের মূল কেন্দ্রে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সাবেক জলদস্যু সদস্যরা। এবারের আয়োজনে সাবেক দস্যুরা স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে উদ্‌যাপন করছেন। 

আজ সোমবার (১ নভেম্বর) দস্যুমুক্ত সুন্দরবন দিবসের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাগেরহাটের রামপালে আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু পুনর্বাসন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।   

অনুষ্ঠানে র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের মাঝে ঘর, মুদিদোকান (মালামালসহ), জাল, মাছ ধরার নৌকা ও গবাদিপশু উপহার দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।   

বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। 

এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য পীর ফজলুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ। 

ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ খ্যাত পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন উপকূলের বনজীবী ও মৎস্যজীবীরা আশির দশকে জিম্মি হয়ে পড়ে জলদস্যু ও বনদস্যুদের তাণ্ডবে। 

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে র‍্যাব মহাপরিচালককে প্রধান সমন্বয়কারী করে সুন্দরবনে জলদস্যু দমনে টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে গোড়াপত্তন ঘটে জলদস্যু মুক্তকরণ প্রক্রিয়ার। ২০১২ সাল থেকে লিড এজেন্সি হিসেবে র‍্যাবের জোরালো অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জলদস্যুরা। উপর্যুপরি অভিযানে ফেরারি জীবনের অবসান ঘটিয়ে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নেয় জলদস্যুরা। 

প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও র‍্যাবের ব্যবস্থাপনায় ২০১৬ সালের ৩১ মে থেকে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি দস্যু বাহিনীর ৩২৮ জন সদস্য ৪৬২টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেন। ফলে সম্পূর্ণরূপে জলদস্যুমুক্ত হয় সুন্দরবন। 

এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী এই সাফল্যের ঘোষণা দেন। গত তিন বছর র‍্যাব এই সাফল্য ধরে রেখেছে।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত