নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য শুভর নামে যশোরের মনিরামপুরের রোহিতায় যে দুই একর জমি কেনা হয়, তার প্রায় অর্ধেক জায়গার মালিকানা নিয়ে ১৩ বছর ধরে মামলা চলছে। মনিরামপুর সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন এ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ অক্টোবর। মামলা চলা অবস্থায় কীভাবে জমির রেজিস্ট্রেশন হলো, চার দিনের মধ্যে সেই জায়গায় নামজারিই বা কীভাবে হয়, সেটা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে সর্বত্র। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিমন্ত্রীর প্রভাবে অস্বাভাবিক দ্রুত কাজগুলো হয়েছে।
এলাকার লোকজন বলছেন, সব দলিলপত্র দিয়ে ও ভূমি নামজারির প্রায় দুই হাজার আবেদনপত্র মনিরামপুরের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে পড়ে আছে দেড় বছর। আর প্রতিমন্ত্রী-পুত্রের বিরোধপূর্ণ জমি রেজিস্ট্রেশনের মাত্র চার দিনের মধ্যে হয় নামজারি!
জানা গেছে, নতুন কেনা জমি বুঝে নিতে প্রতিমন্ত্রীসহ কয়েকজন গত শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় যান। কিন্তু জমির মূল মালিক বলে দাবিদার সিদ্দিকুর রহমানের প্রতিবাদের মুখে সেই জায়গা বুঝে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর প্রতিমন্ত্রী জমির বিক্রেতা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে মালিকানার বিরোধ মিটিয়ে ফেলার জন্য স্থানীয় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিরোধ মীমাংসার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের বিশ্বাস। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কাল (আজ) বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসব।
টেলিফোনে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নিজেও স্বীকার করেন, এই জায়গায় মালিকানা নিয়ে যে মামলা চলছিল সেটা তাঁদের জানা ছিল না, জমি কেনার পর জেনেছেন। মামলা চলা জায়গার রেজিস্ট্রেশন এবং দ্রুত নামজারিতে প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, এসব তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রটনা, যার কোনো ভিত্তি নেই। খাজনা, মালিকানা-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করেই জমি কেনা হয়েছে।
রোহিতায় নতুন কেনা জমি দখলে নিতে নয়, সেখানে একটি রাস্তার কাজ দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেনা জমির মালিকানার বিরোধের শিগগিরই মিটে যাবে।
সম্প্রতি রোহিতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের নামে এক কোটি ২০ লাখ টাকা দামে দুই একর জমি কেনেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। সেখানে চারে দাগে (৭৬, ৭৭, ৭৮ ও ৮৯) ২০০ শতক জমি কেনা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, এই চার দাগের মধ্যে ৭৮ দাগের মালিক মিজানুর নন। আসল মালিক মিজানুরের দূর আত্মীয় সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর অপর পাঁচ ভাইবোন এই দাগে ১২৭ শতক জমির মালিক, যার ৮৮ শতক মিজান বিক্রি করেন প্রতিমন্ত্রীর পুত্রকে। অথচ এই জমি নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে আদালতে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা চলছে। ছিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর অন্য ভাইবোন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
সিদ্দিকুরের অভিযোগ, আমাদের ৭৮ দাগ থেকে ৮৮ শতক জমি জালিয়াতি করে মন্ত্রীর ছেলের নামে লিখে দেন মিজানুর।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মনিরামপুর উপজেলা চত্বরে আয়োজিত জনতার সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করেন। বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছেলের নামে জমি রেজিস্ট্রি করাতে গিয়ে আমার কাছেও তারা ঘুষ চেয়েছে। আমি লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি। প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ভাইরাল হলে অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজহান আলী ও অফিস সহকারী শেখর চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন মহাপরিচালক (আইজিআর) শহিদুল ইসলাম ঝিনুক। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেন অভিযুক্তরা।
এদিকে প্রতিমন্ত্রীর ছেলের কাছে বিক্রি করা জমির দলিলে দাতা মিজানুর রহমানের ঠিকানা ভুল লেখা হয়েছে। তাঁর বাড়ি মনিরামপুর উপজেলায় হলেও দলিলে যশোর সদর উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্যের ভুল ও আদালতে মামলা চলা অবস্থায় কীভাবে জমির রেজিস্ট্রি হলো জানতে চাইলে ভূমি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী বলেন, দাতার ঠিকানা পরে সংশোধন করা হয়েছে। আর জমিটি বিরোধপূর্ণ কি না সেটা আমাদের জানা ছিল না। দাতার নামে নামপত্তনের কাগজ ছিল। সেটা দেখে জমি দলিল করা হয়েছে। এখন শুনছি ওই জমি নিয়ে মামলা আছে।
মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে রাজি হননি। রোববার একাধিকবার তাঁর অফিসে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য শুভর নামে যশোরের মনিরামপুরের রোহিতায় যে দুই একর জমি কেনা হয়, তার প্রায় অর্ধেক জায়গার মালিকানা নিয়ে ১৩ বছর ধরে মামলা চলছে। মনিরামপুর সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন এ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৩ অক্টোবর। মামলা চলা অবস্থায় কীভাবে জমির রেজিস্ট্রেশন হলো, চার দিনের মধ্যে সেই জায়গায় নামজারিই বা কীভাবে হয়, সেটা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে সর্বত্র। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিমন্ত্রীর প্রভাবে অস্বাভাবিক দ্রুত কাজগুলো হয়েছে।
এলাকার লোকজন বলছেন, সব দলিলপত্র দিয়ে ও ভূমি নামজারির প্রায় দুই হাজার আবেদনপত্র মনিরামপুরের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে পড়ে আছে দেড় বছর। আর প্রতিমন্ত্রী-পুত্রের বিরোধপূর্ণ জমি রেজিস্ট্রেশনের মাত্র চার দিনের মধ্যে হয় নামজারি!
জানা গেছে, নতুন কেনা জমি বুঝে নিতে প্রতিমন্ত্রীসহ কয়েকজন গত শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় যান। কিন্তু জমির মূল মালিক বলে দাবিদার সিদ্দিকুর রহমানের প্রতিবাদের মুখে সেই জায়গা বুঝে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর প্রতিমন্ত্রী জমির বিক্রেতা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে মালিকানার বিরোধ মিটিয়ে ফেলার জন্য স্থানীয় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিরোধ মীমাংসার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের বিশ্বাস। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কাল (আজ) বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকে বসব।
টেলিফোনে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নিজেও স্বীকার করেন, এই জায়গায় মালিকানা নিয়ে যে মামলা চলছিল সেটা তাঁদের জানা ছিল না, জমি কেনার পর জেনেছেন। মামলা চলা জায়গার রেজিস্ট্রেশন এবং দ্রুত নামজারিতে প্রতিমন্ত্রীর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। আজকের পত্রিকাকে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, এসব তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রটনা, যার কোনো ভিত্তি নেই। খাজনা, মালিকানা-সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ঠিকঠাক করেই জমি কেনা হয়েছে।
রোহিতায় নতুন কেনা জমি দখলে নিতে নয়, সেখানে একটি রাস্তার কাজ দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেনা জমির মালিকানার বিরোধের শিগগিরই মিটে যাবে।
সম্প্রতি রোহিতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের নামে এক কোটি ২০ লাখ টাকা দামে দুই একর জমি কেনেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য। সেখানে চারে দাগে (৭৬, ৭৭, ৭৮ ও ৮৯) ২০০ শতক জমি কেনা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, এই চার দাগের মধ্যে ৭৮ দাগের মালিক মিজানুর নন। আসল মালিক মিজানুরের দূর আত্মীয় সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর অপর পাঁচ ভাইবোন এই দাগে ১২৭ শতক জমির মালিক, যার ৮৮ শতক মিজান বিক্রি করেন প্রতিমন্ত্রীর পুত্রকে। অথচ এই জমি নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে আদালতে রেকর্ড সংশোধনীর মামলা চলছে। ছিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর অন্য ভাইবোন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
সিদ্দিকুরের অভিযোগ, আমাদের ৭৮ দাগ থেকে ৮৮ শতক জমি জালিয়াতি করে মন্ত্রীর ছেলের নামে লিখে দেন মিজানুর।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মনিরামপুর উপজেলা চত্বরে আয়োজিত জনতার সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ করেন। বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছেলের নামে জমি রেজিস্ট্রি করাতে গিয়ে আমার কাছেও তারা ঘুষ চেয়েছে। আমি লজ্জায় কাউকে বলতে পারিনি। প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ভাইরাল হলে অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার শাহাজহান আলী ও অফিস সহকারী শেখর চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন মহাপরিচালক (আইজিআর) শহিদুল ইসলাম ঝিনুক। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেন অভিযুক্তরা।
এদিকে প্রতিমন্ত্রীর ছেলের কাছে বিক্রি করা জমির দলিলে দাতা মিজানুর রহমানের ঠিকানা ভুল লেখা হয়েছে। তাঁর বাড়ি মনিরামপুর উপজেলায় হলেও দলিলে যশোর সদর উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্যের ভুল ও আদালতে মামলা চলা অবস্থায় কীভাবে জমির রেজিস্ট্রি হলো জানতে চাইলে ভূমি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী বলেন, দাতার ঠিকানা পরে সংশোধন করা হয়েছে। আর জমিটি বিরোধপূর্ণ কি না সেটা আমাদের জানা ছিল না। দাতার নামে নামপত্তনের কাগজ ছিল। সেটা দেখে জমি দলিল করা হয়েছে। এখন শুনছি ওই জমি নিয়ে মামলা আছে।
মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে রাজি হননি। রোববার একাধিকবার তাঁর অফিসে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
রাজাপুর গ্রামের সামসুদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ি থেকে দুইদিন আগে পানির মোটর চুরি হয়। সামসুদ্দিনের বাড়ির লোকজন রুপল শেখকে চোর সন্দেহ করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শালিসের কথা বলে রুপলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সামসুদ্দিনের ছেলেরা। এরপর ঘরে বন্দি করে পিটিয়ে আহত করে। রুপলের অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার..
৪২ মিনিট আগেচাঁদপুরে তালিকাভুক্ত খামারির সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭০ জন। তাদের খামারে উৎপাদিত হয়েছে ৪২ হাজার ৪৯৭টি গরু এবং ১৯ হাজার ৬০১টি ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য পশু। এর মধ্যে ষাঁড় ২৪ হাজার ২৪৭ টি, বলদ ৭ হাজার ৭৮১ টি, গাভী ১০ হাজার ৪৬৯ টি, মহিষ ২১৭ টি, ছাগল ১৮ হাজার ৪৫৮ টি, ভেড়া ৮৩০টি ও অন্যান্য পশু ৯৬ টি।
৪৪ মিনিট আগেশিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ৫ মাস ধরে বেতন-ভাতা পান না। বিভিন্ন সময় দাবি করেও বেতন ভাতা মেলেনি। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন স্বল্প বেতনভুক্ত এসব শিক্ষক...
১ ঘণ্টা আগেঅসাধু ব্যবসায়ীরা পাচার করতে ট্রলারে করে চিংড়ির রেণু নিয়ে যাচ্ছিলো। খবর পেয়ে মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্টগার্ড মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুর্গাপুর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ট্রলারটি আটক করে। ট্রলারে ৩৪টি ড্রামে প্রায় ৫০ লাখ ১০ হাজার গলদা চিংড়ির রেণু পোনা পাওয়া যায়। যার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। পরে চিংড়ির...
১ ঘণ্টা আগে