Ajker Patrika

বেনাপোল স্থলবন্দরে এক বছরে যাত্রী কমে অর্ধেক

  • গত অর্থবছরে যাতায়াত ১১ লাখ ৯০ হাজার ৮২১; আগের অর্থবছরে ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৮ জন।
  • রাজস্ব কমেছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
  • ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় ভিসা পেতে জটিলতা।
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৩০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথ বেনাপোল স্থলবন্দরে এক বছরে পাসপোর্টধারী যাত্রী কমেছে ১০ লাখের বেশি। এতে ভ্রমণ খাতের রাজস্ব কমেছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই পথে যাতায়াত করেছেন ১১ লাখ ৯০ হাজার ৮২১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ৬ লাখ ৬ হাজার ৪১০, ফিরেছেন ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪১১ জন। সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই রুটে যাতায়াত করেছেন ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৮ জন। রাজস্ব এসেছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে যাত্রী কমেছে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭ জন, আর রাজস্ব কমেছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সী বলেন, আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করতেন। এখন এ সংখ্যা ৩০০-৪০০-তে নেমে এসেছে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিকেরা সহজে বাংলাদেশি ভিসা পেলেও বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের ব্যবসায়ীরা।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ ভারতের ভিসা জটিলতা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া একরকম বন্ধ করে দেয় ভারত। প্রায় এক বছর হতে চললেও এখন পর্যন্ত এটি স্বাভাবিক হয়নি। ফলে স্বভাবতই ভারতমুখী যাত্রীদের চাপ কমেছে।

এ ছাড়া সীমান্তের দুই পাড়ের ইমিগ্রেশন, কাস্টম ও বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে যাত্রীদের। দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে ছিনতাই ও প্রতারণার শিকার হওয়ার মতো নেতিবাচক অভিজ্ঞতাও আছে অনেকের। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি।

বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। সহজ যোগাযোগের কারণে চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা ও পর্যটনের জন্য বহু বাংলাদেশি এ রুটে যাতায়াত করেন।

বন্দর এলাকায় নেই পর্যাপ্ত যাত্রীছাউনিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। শৌচাগার, বিশ্রামাগার, নিরাপত্তাব্যবস্থা—সবকিছু নিয়েই অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। ভুক্তভোগী পাসপোর্টধারী অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবা বাড়েনি। রোদবৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’ আরেক পাসপোর্টধারী পলাশ বলেন, ‘ঢাকা থেকে ৫ ঘণ্টায় বেনাপোলে আসা গেলেও বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাড়ে ৬টার পর। আগের মতোই দুর্ভোগ রয়ে গেছে।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন জানান, যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বন্দরে নতুন যাত্রীছাউনির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ভারতীয় অংশেও সেবা বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার

পারটেক্স এমডি রুবেল আজিজের ১১৬ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে তুলছে ব্যাংক এশিয়া

‘নৌকা আউট, শাপলা ইন’, সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির চাওয়া

যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের পর বললেন, ‘আমি যুবদলের সভাপতি, জানস?’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত