Ajker Patrika

শেষ মুহূর্তে এসে ক্রেতাশূন্য গাংনীর ঈদের বাজার

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ১৭
Thumbnail image

রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঈদ ফিতরকে সামনে রেখে শপিং মলের দোকানগুলোতে হরেক রকম পোশাকের পসরা সাজিয়েছে দোকানমালিকেরা। তবে শেষের দুই দিন দোকানগুলোতে তেমন দেখা যায়নি ক্রেতাদের আনাগোনা। শেষ মুহূর্তে এসে একেবারে বেচাকেনা কম। দুই দিন আগে ভালো ব্যবসা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে পোশাকের দাম নিয়ে ক্রেতাদেরও রয়েছে অসন্তুষ্টি।
 
ক্রেতারা বলছেন, পোশাকের দাম অনেক বেশি। সবকিছুর দামের সঙ্গে যেন পোশাকেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও ঈদকে সামনে রেখে নতুন পোশাক ক্রয় করতে হবে। শেষের দুই দিন একেবারেই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। কিছু লোক আসছে, যারা এখনো ঈদের কেনাকাটা করতে পারেনি।

বাজার করতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জামা, প্যান্ট ও শার্ট কিনেছি। দাম অনেক বেশি। দিন যত যাচ্ছে সবকিছুর দাম যেন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো পোশাক পছন্দ হলে ব্যবসায়ীরা সে পোশাকের দাম বাড়িয়ে দেয়। তবে বাজারে আজ লোক একেবারেই কম।’

বাজার করতে আসা তাবাসসুম খাতুন বলেন, ‘বাজারে এসেছি, যে পোশাক পছন্দ হবে সেটাই নেব। আগে বাজারে আসা হয়নি, তাই শেষের দিন আসলাম। পছন্দমতো পোশাক কিনে বাড়ি যাব।’ 

বামন্দী বাজারের পোশাক ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী বলেন, শেষের দুই দিন বেচাকেনা একেবারেই কম। ক্রেতারাও কম আসছে। কোরবানির চেয়ে ঈদুল ফিতরে ব্যবসা ভালো হয়। এবার ঈদে সারারা, লেহেঙ্গা, গাউনসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক তোলা হয়েছে। 

বামন্দী বাজারের আরেক ব্যবসায়ী বকুল হোসেন বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে এসে বেচাকেনা একেবারেই নেই। এখন কিছু ছেলে শার্ট-প্যান্ট নিচ্ছে আর কিছু মেয়েরা আসছে। এবার ঈদে ভালো ব্যবসা হয়েছে।’

কসমেটিকস ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বেচাকেনা ভালো হয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ডিজাইনের মালামাল তুলেছিলাম। তবে ঈদুল আজহার চেয়ে ঈদুল ফিতরে ব্যবসা ভালো হয়। 

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, ‘আমরা বাজার মনিটরিং করছি। কোনো সিন্ডিকেট তৈরি করতে দেওয়া হবে না। আর প্রত্যেকটা পোশাকেরই ভাউচার দেখানো লাগবে। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত