গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এর মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিকসহ অন্য দোকানির কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। আয় কমে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
দিনে কখনো চার-পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। আবার কোনো দিন সাত-আট ঘণ্টায়ও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। ২২ দিন ধরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এ চিত্র দেখা যাচ্ছে।
অভিভাবকেরা বলছেন, সারা দিনে একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমের কারণে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। এভাবে চলতে থাকলে তাদের রেজাল্ট খারাপ হবে। গরমের মধ্যে রাতে আরাম করে ঘুমানোও যায় না।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকলায়েন আহমেদ বলে, ‘বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে পড়া যায় না। এতে পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে আমাদের রেজাল্ট অনেক খারাপ হয়ে যাবে।’
দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. রিপন হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়েটি পড়াশোনায় আগ্রহী, কিন্তু যখন বিদ্যুৎ থাকে না, তখন সে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর গরমে পড়তেও পারে না। লোডশেডিংয়ের সমস্যা দীর্ঘ হলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হবে।’
সাইকেল মেকানিক স্বপন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজ করতে করতেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে; তাই বসে থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন এভাবে লোডশেডিংয়ের কারণে আয় কমে গেছে।’
দেবীপুর বাজারের ইলেকট্রিশিয়ান মো. সুজা আলী বলেন, ‘অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের আয় কমেছে, কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। আগে যেখানে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ টাকা আয় হতো, এখন সেখানে ৩০০-৪০০ টাকা আয় হয়। কোনো দিন এর চেয়েও কম। এদিকে সংসারের খরচ বেড়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। সন্তানদের লেখাপড়া আর সংসারের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। এভাবে চলতে থাকলে চরম কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে।’
সুজা আলী আরও বলেন, তাঁর অধীনে চারজন কর্মচারী আছেন। তাঁরা বাইরে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন। এতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে আয়ের পথ কমে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বামন্দী সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ও এন্ড এম) মো. হানিফ রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে বিদ্যুতের চাহিদা ১২ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট। অনেক সময় চাহিদার পরিপূর্ণ পাচ্ছি। আবার মাঝেমধ্যে ৭, ৮, ৯ অথবা ১০ মেগাওয়াটও দিচ্ছে। সে জন্য আমাদের এখানে কখনো ২৪ ঘণ্টায় ২০ থেকে ২১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে। আবার লোড বেশি পড়লে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। তা ছাড়া অনেক সময় বিদ্যুতের লাইনে গাছ কাটার কাজ করা হলে তখন লোডশেডিং থাকে।’
উপজেলায় গত ২০ থেকে ২২ দিন যাবৎ এ সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আর বেশি দিন এলাকাবাসীকে কষ্ট ভোগ করতে হবে না। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’
গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। এর মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। যখন-তখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিকসহ অন্য দোকানির কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। আয় কমে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
দিনে কখনো চার-পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। আবার কোনো দিন সাত-আট ঘণ্টায়ও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। ২২ দিন ধরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় এ চিত্র দেখা যাচ্ছে।
অভিভাবকেরা বলছেন, সারা দিনে একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমের কারণে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। এভাবে চলতে থাকলে তাদের রেজাল্ট খারাপ হবে। গরমের মধ্যে রাতে আরাম করে ঘুমানোও যায় না।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকলায়েন আহমেদ বলে, ‘বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে পড়া যায় না। এতে পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে আমাদের রেজাল্ট অনেক খারাপ হয়ে যাবে।’
দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. রিপন হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়েটি পড়াশোনায় আগ্রহী, কিন্তু যখন বিদ্যুৎ থাকে না, তখন সে মোবাইলে গেম খেলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর গরমে পড়তেও পারে না। লোডশেডিংয়ের সমস্যা দীর্ঘ হলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হবে।’
সাইকেল মেকানিক স্বপন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজ করতে করতেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে; তাই বসে থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন এভাবে লোডশেডিংয়ের কারণে আয় কমে গেছে।’
দেবীপুর বাজারের ইলেকট্রিশিয়ান মো. সুজা আলী বলেন, ‘অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের আয় কমেছে, কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। আগে যেখানে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ টাকা আয় হতো, এখন সেখানে ৩০০-৪০০ টাকা আয় হয়। কোনো দিন এর চেয়েও কম। এদিকে সংসারের খরচ বেড়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। সন্তানদের লেখাপড়া আর সংসারের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। এভাবে চলতে থাকলে চরম কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে।’
সুজা আলী আরও বলেন, তাঁর অধীনে চারজন কর্মচারী আছেন। তাঁরা বাইরে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকেন। এতে একদিকে যেমন সময়ের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে আয়ের পথ কমে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বামন্দী সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ও এন্ড এম) মো. হানিফ রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে বিদ্যুতের চাহিদা ১২ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট। অনেক সময় চাহিদার পরিপূর্ণ পাচ্ছি। আবার মাঝেমধ্যে ৭, ৮, ৯ অথবা ১০ মেগাওয়াটও দিচ্ছে। সে জন্য আমাদের এখানে কখনো ২৪ ঘণ্টায় ২০ থেকে ২১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে। আবার লোড বেশি পড়লে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। তা ছাড়া অনেক সময় বিদ্যুতের লাইনে গাছ কাটার কাজ করা হলে তখন লোডশেডিং থাকে।’
উপজেলায় গত ২০ থেকে ২২ দিন যাবৎ এ সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আর বেশি দিন এলাকাবাসীকে কষ্ট ভোগ করতে হবে না। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’
নগরবাসীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৯০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। দুই কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে স্থাপিত এসব ক্যামেরায় ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), স্বয়ংক্রিয় গাড়ির নম্বর শনাক্তকরণ, মানুষের মুখাবয়ব চেনার স
৪৪ মিনিট আগেরাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনটির কাঠামোই দৃশ্যত সোমবারের বিপর্যয়কে এতটা প্রাণঘাতী করে তুলেছে। সরেজমিন ঘুরে এবং ভুক্তভোগী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায় দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি সড়ক উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। খালের পাড়ঘেঁষা গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ায় সড়কের একটি বড় অংশ এখন কার্যত শূন্যে ঝুলছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৪ ঘণ্টা আগেস্বপ্নের দেশ ইতালি। সেখানে গিয়ে নিজেরসহ পরিবারের সব স্বপ্ন পূরণ করবেন। এই আশায় লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ আছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ১৪ যুবক। পাঁচ মাস ধরে তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা।
৪ ঘণ্টা আগে