খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল বলেছে, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে এই হামলা উসকে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছাত্রদলের পরিণতি ছাত্রলীগের মতোই হবে।
এদিকে কুয়েটে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এ ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক আহত হন। এরপর মঙ্গলবার রাতেই শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের রাখা, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসন থেকে বহন করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। এসব দাবি গতকাল বেলা ১টার মধ্যে পূরণের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। তবে গতকাল এই সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন।
সিন্ডিকেট সভায় যেসব সিদ্ধান্ত
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভা বসে। এই সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয়, কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গতকালের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে হামলার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কুয়েটের সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলম জানান, কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
হামলার মনিটরিং হাসনাতের
কুয়েটে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শোডাউন দিয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল বরিশালের সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। যশোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্রীড়াকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে কুয়েট সংঘর্ষ মনিটরিং করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুক নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নাছির বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো সংগঠনের রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কীভাবে ছাত্রদলের তিনজন নেতার ওপর হামলা করে, সে প্রশ্ন আমরা রাখতে চাই। শিবিরের কাছে আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, কুয়েটে তাদের কমিটি আছে কি না, গতকাল যে হামলা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর কোনো ক্যাম্পাসে যদি বিনা কারণে হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দায় নিতে হবে।’
কুয়েটের সংঘর্ষে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ ও মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাতে রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে গতকাল রাতে এ নিয়ে বক্তব্য জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ছাড়া গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই দেশে যারা ছাত্রলীগ হয়ে উঠতে চাইবে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তাদের পরিণতি ছাত্রলীগের মতোই হবে।’ ছাত্রদলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করে থাকেন চাপাতির রাজনীতি, হকিস্টিকের রাজনীতি আপনারা ক্যাম্পাসে আবার ইনস্টল করবেন, তাহলে আপনারাও ছাত্রলীগের পথে যাবেন।’
কুয়েটে আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, ‘ভিসি স্যারকে পদত্যাগ করতে হবে। উনি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
যেমন আছে ক্যাম্পাস
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে শিক্ষার্থী গতকাল সকাল থেকে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে যাঁরা ভাড়া রয়েছেন, তাঁদের অনেকে আতঙ্কিত। এদিকে হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে। জানতে চাইলে খানজাহান আলী থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে থানায় মামলা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (নর্থ) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গত রাতে ৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। ক্যাম্পাসের গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি ভালো।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের পর মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল বলেছে, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে এই হামলা উসকে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছাত্রদলের পরিণতি ছাত্রলীগের মতোই হবে।
এদিকে কুয়েটে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এ ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক আহত হন। এরপর মঙ্গলবার রাতেই শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাসের বাইরে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের রাখা, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় প্রশাসন থেকে বহন করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। এসব দাবি গতকাল বেলা ১টার মধ্যে পূরণের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। তবে গতকাল এই সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নেওয়ায় গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন।
সিন্ডিকেট সভায় যেসব সিদ্ধান্ত
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকালের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভা বসে। এই সভা থেকে সিদ্ধান্ত হয়, কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, গতকালের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে হামলার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কুয়েটের সহ-উপাচার্য শেখ শরীফুল আলম জানান, কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
হামলার মনিটরিং হাসনাতের
কুয়েটে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শোডাউন দিয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল বরিশালের সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। যশোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্রীড়াকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে কুয়েট সংঘর্ষ মনিটরিং করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুক নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নাছির বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো সংগঠনের রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কীভাবে ছাত্রদলের তিনজন নেতার ওপর হামলা করে, সে প্রশ্ন আমরা রাখতে চাই। শিবিরের কাছে আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, কুয়েটে তাদের কমিটি আছে কি না, গতকাল যে হামলা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর কোনো ক্যাম্পাসে যদি বিনা কারণে হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দায় নিতে হবে।’
কুয়েটের সংঘর্ষে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ ও মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাতে রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে গতকাল রাতে এ নিয়ে বক্তব্য জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত ৯টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ছাড়া গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই দেশে যারা ছাত্রলীগ হয়ে উঠতে চাইবে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তাদের পরিণতি ছাত্রলীগের মতোই হবে।’ ছাত্রদলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করে থাকেন চাপাতির রাজনীতি, হকিস্টিকের রাজনীতি আপনারা ক্যাম্পাসে আবার ইনস্টল করবেন, তাহলে আপনারাও ছাত্রলীগের পথে যাবেন।’
কুয়েটে আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, ‘ভিসি স্যারকে পদত্যাগ করতে হবে। উনি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
যেমন আছে ক্যাম্পাস
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে শিক্ষার্থী গতকাল সকাল থেকে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে যাঁরা ভাড়া রয়েছেন, তাঁদের অনেকে আতঙ্কিত। এদিকে হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে। জানতে চাইলে খানজাহান আলী থানার ওসি মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে থানায় মামলা হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (নর্থ) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় গত রাতে ৫ জনকে আটক করা হয়েছিল। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। ক্যাম্পাসের গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি ভালো।
‘নববর্ষে সবাই মিলে একসমানে একসঙ্গে জলকেলিতে যায়, ও ও ভাইয়েরা ও ও বোনেরা, খুশিতে মিলিত হয়।’ গতকাল বুধবার সকালে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই জল উৎসবের অন্যতম জনপ্রিয় গানটি গেয়ে যখন মারমাশিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন, ঠিক সেই সময়ে হাজারো লোকের কলরবে মুখর হয়ে ওঠে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী...
১ মিনিট আগেশিল্পায়নের আগ্রাসনে বিলুপ্তির পথে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ত্রেখাইল্লা খাল। এর উৎসমুখ ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এতে একসময়ের প্রবহমান খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, খালটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক, না হলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা বাড়বে।
৬ মিনিট আগেকুমিল্লার লাকসাম উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নয় বছর বয়সী শিশু রায়হান হোসেন। আজ থেকে আড়াই বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিল সে। হন্যে হয়ে খুঁজে পায়নি তার পরিবার। অবশেষে রেলওয়ে পুলিশের সহযোগীতায় মা খুঁজে পেয়ে রায়হান।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে যুবদলের কর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের রায়পুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে