যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ১৯ পরিবারের অন্তত ৪৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সুশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী কল্পনা বিশ্বাস গত সোমবার অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন হামলাকারীর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে আজ বুধবার তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সরখোলা গ্রামের ইমন হোসেন (৩০), একই গ্রামের রিফাতুল ইসলাম রাতুল (২৩) ও বুইকারা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৭)।
গত বৃহস্পতিবার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দল সভাপতি তরিকুল ইসলাম হত্যাকে কেন্দ্র করে মতুয়া সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধাপাড়ায় এই হামলা হয়।
কল্পনা বিশ্বাস বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন দেশীয় অস্ত্র, পেট্রলসহ আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বসতঘরের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হামলাকারীরা আমার প্রতিবেশী শংকর বিশ্বাস, মহিতোষ বিশ্বাস, দিলীপ বিশ্বাস, বিষ্ণু বিশ্বাস, বিপ্রজিৎ বিশ্বাস, অজিত বিশ্বাস, বিকাশ বিশ্বাস, প্রতাপ বিশ্বাস, প্রণব বিশ্বাস, বাসুদেব বিশ্বাস, সুকৃতি বিশ্বাস, পরিতোষ বিশ্বাস, বারিন বিশ্বাস, মনিশান্ত বিশ্বাস, পবন বিশ্বাস, অমর বিশ্বাস, সমর বিশ্বাস ও দিনেষ বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে ১৯টি পরিবারের প্রায় ৪৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হামলাকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত পবিরগুলোকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। মামলা করা হলে বাদীকে হত্যা করা হবে বলে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়।’ কল্পনা বিশ্বাস বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে গত সোমবার রাতে বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলাটি করেছি। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে।’
এ ব্যাপারে আজ অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম জানান, ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে মতুয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভুক্তভোগী কল্পনা বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের আজ আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠান। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের পাশাপাশি আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি আরও জানান, তরিকুল হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ফিরোজ খান, সাগর বিশ্বাস, দিনেশ ও সুমন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধাপাড়ায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে খুন হন নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম। মৎস্যঘেরের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে অজ্ঞাতনামা ছয থেকে সাতজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৯টি পরিবারের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
যশোরের অভয়নগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় ১৯ পরিবারের অন্তত ৪৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সুশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী কল্পনা বিশ্বাস গত সোমবার অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন হামলাকারীর বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মামলাটি করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে আজ বুধবার তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সরখোলা গ্রামের ইমন হোসেন (৩০), একই গ্রামের রিফাতুল ইসলাম রাতুল (২৩) ও বুইকারা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৭)।
গত বৃহস্পতিবার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দল সভাপতি তরিকুল ইসলাম হত্যাকে কেন্দ্র করে মতুয়া সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধাপাড়ায় এই হামলা হয়।
কল্পনা বিশ্বাস বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন দেশীয় অস্ত্র, পেট্রলসহ আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বসতঘরের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হামলাকারীরা আমার প্রতিবেশী শংকর বিশ্বাস, মহিতোষ বিশ্বাস, দিলীপ বিশ্বাস, বিষ্ণু বিশ্বাস, বিপ্রজিৎ বিশ্বাস, অজিত বিশ্বাস, বিকাশ বিশ্বাস, প্রতাপ বিশ্বাস, প্রণব বিশ্বাস, বাসুদেব বিশ্বাস, সুকৃতি বিশ্বাস, পরিতোষ বিশ্বাস, বারিন বিশ্বাস, মনিশান্ত বিশ্বাস, পবন বিশ্বাস, অমর বিশ্বাস, সমর বিশ্বাস ও দিনেষ বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে ১৯টি পরিবারের প্রায় ৪৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হামলাকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত পবিরগুলোকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। মামলা করা হলে বাদীকে হত্যা করা হবে বলে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়।’ কল্পনা বিশ্বাস বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে গত সোমবার রাতে বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলাটি করেছি। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে।’
এ ব্যাপারে আজ অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম জানান, ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে মতুয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভুক্তভোগী কল্পনা বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাদের আজ আদালতে পাঠালে বিচারক কারাগারে পাঠান। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের পাশাপাশি আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি আরও জানান, তরিকুল হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ফিরোজ খান, সাগর বিশ্বাস, দিনেশ ও সুমন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধাপাড়ায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে খুন হন নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম। মৎস্যঘেরের জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে অজ্ঞাতনামা ছয থেকে সাতজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৯টি পরিবারের ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে সুপরিচিত হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত দুইটার দিকে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে মা মাছ ডিম ছাড়তে শুরু করে। হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া
১০ মিনিট আগেএবার এত পশু থাকলেও হাটে ক্রেতার ভিড় তুলনামূলক কম। ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের দাম বেশি। অনেকেই আশা করছেন, শেষ সময়ে দাম কিছুটা কমবে। তবে খামারিরা বলছেন, খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
১৭ মিনিট আগেগাজীপুর ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া, নিজমাওনা, আক্তাপাড়া ও মাওনা ইউনিয়নের বদনীভাঙ্গা গ্রামের বুকচিরে প্রবাহিত খালটি সালদহ নদীতে গিয়ে মিশেছে। তবে বর্তমানে শুধুমাত্র চিংড়ি ব্রিজ সংলগ্ন ৫০০ মিটার অংশই খালের আকারে রয়ে গেছে। বাকি অংশে যতদূর চোখ যায়, শুধুই সবুজ ফসলের মাঠ।
২০ মিনিট আগেস্থানীয় সফল কৃষক কালো বিকাশ চাকমা বলেন, “আমার বাগানে প্রযুক্তিগতভাবে সেচ ব্যবস্থা, উন্নত পরিচর্যা ও আধুনিক প্যাকিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ফলের গুণগত মান অনেক ভালো হয়েছে। বিশেষ করে আমের বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং সংরক্ষণের সময়কাল বেড়েছে। ফলে বাজারে ভালো দাম পাচ্ছি।”
২৫ মিনিট আগে