কুষ্টিয়া ও নওগাঁ প্রতিনিধি
১৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পরদিন থেকে সব ধরনের চাল মানভেদে এক টাকা করে কমানো হবে। সভায় বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিলমালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার নেতারাসহ খাজানগর এলাকার বড় বড় অটো রাইস মিলের মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সপ্তাহ চলে গেল, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, কমার বদলে দাম আগের চেয়ে বেড়েছে।
এদিকে ভরা মৌসুমেও নওগাঁয় চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সীমাহীন কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুই জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই তাঁরা অভিযানে নামবেন।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত ৩ সপ্তাহে মিলগেটে মোটা চাল কেজিপ্রতি ২ টাকা, কাজললতা ৩ টাকা ও মিনিকেট চাল ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একাধিক মিলমালিক জানান, ১০ ডিসেম্বর মিলগেটে প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ১ হাজার ৭০০ টাকা। তাতে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৬৮ টাকা। পরদিন এই চালের প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০ টাকা। তার দুদিন পর বিক্রি হয়েছে ৭২ টাকায়।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের আলামিন ট্রেডার্সের মালিক আলামিন হোসেন বলেন, ‘মিল থেকে আমরা সব ধরনের চাল বেশি দামেই কিনেছি। খুচরা বাজারে মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি করছি ১ হাজার ৮৫০ টাকা, কাজললতা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ টাকায়।’
কুষ্টিয়া বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দত্ত জানান, ‘মিলগেট থেকে ২৫ কেজির বস্তার মিনিকেট চাল কিনেছি ১ হাজার ৮০০ টাকায়। তাতে প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে ৭২ টাকা। কমানো দূরে থাক, চালের বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলগেটে তদারকি দুর্বলতার কারণে মিলমালিকেরা আগের দামেই চাল বিক্রয় করছেন। তবে সাধারণ জনগণ আমনের এই ভরা মৌসুমে এভাবে চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করলেও ধানের মূল্যবৃদ্ধিকে দোষারোপ করছেন মিলমালিকেরা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চাল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ধানের দাম মণপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে ধানের দাম ছিল মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা, তা এখন ১ হাজার ৮০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে গত চার দিনে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিলমালিক সমিতি কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন প্রধান বলেন, চালের দাম বাড়ছে, এটা ঠিক। কারণ, ধানের দাম অনেক বেড়েছে। ধানের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনে চালের দাম আরও বাড়বে।
কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, ‘সকালেও খাজানগরের বেশ কিছু চালের মিলে অভিযান চালিয়েছি। সেসব জায়গায় খাতাপত্রে ৭১ টাকা করেই মিনিকেট চাল বিক্রির প্রমাণ পেয়েছি। তবে গুটিকয়েক দুষ্ট মিলমালিক রয়েছে; যারা আগের দামেই বিক্রয় করছে। তাদের বিষয়ে কড়া অভিযানের কথা ওপর মহলকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
নওগাঁয় ভরা মৌসুমেও চালের দাম চড়া
ভরা মৌসুমেও নওগাঁয় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন জাতের কাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকা কেজি, জিরাশাইল চাল ৭০-৭৫ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও এসব চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা কম ছিল।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিলমালিকেরা দায়ী। তাঁরা বলছেন, মিলমালিকেরা চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা বেশি নিচ্ছেন, যার ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
এদিকে চালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। তাদের পক্ষে প্রতিনিয়ত চালের বাড়তি দামের সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ওমর ফারুক নামের এক ভোক্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতিবার বাজারে গেলে শুনি চালের দাম বেড়েছে। জানি না, ব্যবসায়ীরা কত দাম বাড়ালে খুশি হবে।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, চালের দাম বাড়ার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পরদিন থেকে সব ধরনের চাল মানভেদে এক টাকা করে কমানো হবে। সভায় বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিলমালিক সমিতি কুষ্টিয়া শাখার নেতারাসহ খাজানগর এলাকার বড় বড় অটো রাইস মিলের মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সপ্তাহ চলে গেল, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, কমার বদলে দাম আগের চেয়ে বেড়েছে।
এদিকে ভরা মৌসুমেও নওগাঁয় চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সীমাহীন কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুই জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই তাঁরা অভিযানে নামবেন।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত ৩ সপ্তাহে মিলগেটে মোটা চাল কেজিপ্রতি ২ টাকা, কাজললতা ৩ টাকা ও মিনিকেট চাল ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একাধিক মিলমালিক জানান, ১০ ডিসেম্বর মিলগেটে প্রতি বস্তা (২৫ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ১ হাজার ৭০০ টাকা। তাতে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৬৮ টাকা। পরদিন এই চালের প্রতি কেজির দাম ছিল ৭০ টাকা। তার দুদিন পর বিক্রি হয়েছে ৭২ টাকায়।
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের আলামিন ট্রেডার্সের মালিক আলামিন হোসেন বলেন, ‘মিল থেকে আমরা সব ধরনের চাল বেশি দামেই কিনেছি। খুচরা বাজারে মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি করছি ১ হাজার ৮৫০ টাকা, কাজললতা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ টাকায়।’
কুষ্টিয়া বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দত্ত জানান, ‘মিলগেট থেকে ২৫ কেজির বস্তার মিনিকেট চাল কিনেছি ১ হাজার ৮০০ টাকায়। তাতে প্রতি কেজি চালের দাম পড়েছে ৭২ টাকা। কমানো দূরে থাক, চালের বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিলগেটে তদারকি দুর্বলতার কারণে মিলমালিকেরা আগের দামেই চাল বিক্রয় করছেন। তবে সাধারণ জনগণ আমনের এই ভরা মৌসুমে এভাবে চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করলেও ধানের মূল্যবৃদ্ধিকে দোষারোপ করছেন মিলমালিকেরা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চাল উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ধানের দাম মণপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে ধানের দাম ছিল মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা, তা এখন ১ হাজার ৮০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে গত চার দিনে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিলমালিক সমিতি কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন প্রধান বলেন, চালের দাম বাড়ছে, এটা ঠিক। কারণ, ধানের দাম অনেক বেড়েছে। ধানের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক দিনে চালের দাম আরও বাড়বে।
কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, ‘সকালেও খাজানগরের বেশ কিছু চালের মিলে অভিযান চালিয়েছি। সেসব জায়গায় খাতাপত্রে ৭১ টাকা করেই মিনিকেট চাল বিক্রির প্রমাণ পেয়েছি। তবে গুটিকয়েক দুষ্ট মিলমালিক রয়েছে; যারা আগের দামেই বিক্রয় করছে। তাদের বিষয়ে কড়া অভিযানের কথা ওপর মহলকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
নওগাঁয় ভরা মৌসুমেও চালের দাম চড়া
ভরা মৌসুমেও নওগাঁয় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন জাতের কাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকা কেজি, জিরাশাইল চাল ৭০-৭৫ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও এসব চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা কম ছিল।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মিলমালিকেরা দায়ী। তাঁরা বলছেন, মিলমালিকেরা চালের দাম বস্তাপ্রতি ২০০-২৫০ টাকা বেশি নিচ্ছেন, যার ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
এদিকে চালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। তাদের পক্ষে প্রতিনিয়ত চালের বাড়তি দামের সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ওমর ফারুক নামের এক ভোক্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতিবার বাজারে গেলে শুনি চালের দাম বেড়েছে। জানি না, ব্যবসায়ীরা কত দাম বাড়ালে খুশি হবে।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, চালের দাম বাড়ার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে আজ রোববার সকাল ৭টা পর্যন্ত অভিযান চলে।
৩৭ মিনিট আগেসমন্বিত উদ্যোগে মাত্র ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে রাজধানী ঢাকার বিস্তৃত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যারা ঘামের বিনিময়ে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখেন, তাঁরা আমাদের নীরব নায়ক।
১ ঘণ্টা আগেখুলনার রূপসায় একটি ঘর থেকে সুমাইয়া খাতুন জান্নাত (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার আইচগাতীর উত্তর পাড়া এলাকায় প্রবাসী শাওন শেখের বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়। তিনি শাওন শেখের স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগেজোরেশোরে ঘোষণার পরেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করতে পারেনি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। এতে বিভিন্ন এলাকার মানুষকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের দিন রাত ৮টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কথা থাকলেও পরদিন রোববার দুপুর পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণে কাজ করতে দেখা যায় সিটি
১ ঘণ্টা আগে