Ajker Patrika

কুয়েটে ৪ দিন ধরে শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত শিক্ষকেরা

খুলনা প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আড়াই মাস পর একাডেমিক কার্যক্রম গত রোববার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ওই দিন থেকে শ্রেণিকক্ষে যাচ্ছেন না খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকেরা। তাঁদের এই কর্মবিরতি আজ বুধবার চতুর্থ দিন পার করেছে।

১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনাসহ পরে শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়ে তাঁরা শ্রেণিকক্ষে যোগদান থেকে বিরত রয়েছেন। এই আলটিমেটাম শেষ হবে আগামী বুধবার। এর মধ্যে বিচার না হলে পরদিন বৃহস্পতিবার থেকে শুধু পাঠদান নয়, প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা থেকেও বিরত থাকবেন শিক্ষকেরা। এমন ঘোষণার ফলে ক্রমান্বয়ে জটিলতার দিকে এগোচ্ছে কুয়েটের পরিস্থিতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত রোববার থেকে পাঠদানে যোগ দিতে শিক্ষার্থীরা হলসহ আশপাশের ভাড়া বাড়িতে এসে অবস্থান নেন। এখন ক্লাস না হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের কাছে খোলাচিঠি দিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারিসহ পরবর্তী সব ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হলেও শিক্ষকেরা বিচারের দাবিতে আটল রয়েছেন।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. সাহিদুল ইসলাম জানান, আজ চতুর্থ দিনের মতো শ্রেণিকক্ষে যাননি শিক্ষকেরা। তিনি বলেন, ৫ মে সাধারণ সভা করে শিক্ষক সমিতির পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত কুয়েট প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী দিন থেকে প্রশাসনিক সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী না থাকায় শ্রেণিকক্ষগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। ভেঙে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পর এবার শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরই। দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কা করছেন কুয়েটের ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী। তাঁরা দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর অনুরোধ জানিয়েছেন। আবার শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় অভিভাবকেরাও উদ্বিগ্ন।

উল্লেখ, ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর কুয়েট বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে অতিবাহিত হয় রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের ছুটি। সর্বশেষ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল জোর করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দুই রাত খোলা জায়গায় অবস্থান শেষে ১৫ এপ্রিল তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন কিছু শিক্ষার্থী। এরপর উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে তিন দিনের অনশন শেষে ২৫ এপ্রিল রাতে উপাচার্য-সহউপাচার্য দুজনকেই অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয় ১ মে। ২ মে রাতে নতুন উপাচার্য মো. হযরত আলী কুয়েটে পৌঁছান। পরদিন তিনি দায়িত্ব নেন। এভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষে যখন পাঠদান শুরু হতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

নিজ কার্যালয়ে র‍্যাব কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ, পাশে চিরকুট

আকাশ প্রতিরক্ষায় কে এগিয়ে, পাকিস্তান কি ভারতের আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম

ভাগনের বিয়েতে ১ কেজি সোনা, ৪ বস্তা টাকা, ২১০ বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প উপহার দিল মাড়োয়ারি পরিবার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে কর্মীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত