Ajker Patrika

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান মা

মাগুরা প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ২৪
আজ রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রথম দিনের শুনানি হয়। এ সময় জেলা কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রথম দিনের শুনানি হয়। এ সময় জেলা কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ রোববার মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলার প্রথম দিনের শুনানি হয়। এ সময় চার আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী ও ভাশুরকে হাজির করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের উপস্থিতিতে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীদের জেরা করেন। কাল সোমবার অপর তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা রয়েছে।

মাগুরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে আইনজীবী সোহেল আহম্মেদকে আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেতে দেখা যায়। এত দিন আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

গত ২৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী দুজন সাক্ষীকে পর্যাপ্ত জেরা করেছেন। যেহেতু মামলায় এত দিন আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না, তাই আজ আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতেই শুনানি হয়। আদালত সোমবার ৩, ৪ ও ৫ নম্বর সাক্ষীর শুনানি সাক্ষ্য নেবেন। এখন থেকে প্রতিদিনই এই মামলার শুনানি হবে বলে আমরা আশা করছি। তাহলে দ্রুত সময়ে মধ্যে মামলার রায় হতে পারে।

অন্যদিকে সাক্ষ্য শেষে শিশুটির মা ও মামলার বাদী জানান, তিনি দ্রুত এই বিচারের আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান। শিশুটির মা বলেন, ‘আসামিরা সবাই দোষী। তাঁদের জন্য আমার পরিবার তছনছ হয়ে গেছে।’

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী বিশেষ নিরাপত্তার কারণে সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দেননি।

জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত