আজিজুর রহমান, চৌগাছা
যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের নানাভাবে হয়রানি ও অনৈতিকভাবে বিপুল অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ইউনিয়নের বাঘারদাড়ী গ্রামের সোহরাব হোসেন শ্রাবণ এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সোহরাব হোসেনের লিখিত অভিযোগে থেকে জানা গেছে, তিনি পার্শ্ববর্তী আন্দারকোটা ইঞ্জু মিয়ার ছেলে মফিজুর রহমানের কাছ থেকে কিছু জমি কিনতে চান। ওই জমির খাজনা পরিশোধ না থাকায় জমির মালিক স্বরূপদাহ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত প্রায় তিন মাস ধরে ৭৫ বছর বয়সী মফিজুর রহমান খাজনা পরিশোধের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। এরপর, সোহরাব নিজে গত রমজান মাসসহ মোট তিনবার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নিকট যান। সে সময়, জাহাঙ্গীর সোহরাবকে বলেন, দুটি দাখিলার জন্য ৯ হাজার টাকা দিতে হবে।
সোহরাব তাঁর লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘একপর্যায়ে গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে আমি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে তিনি জানতে, “কত টাকা এনেছেন”। আমি বলি কত দিতে হবে। তিনি বলেন, আগেই তো বলে দিয়েছি। আমার কি মনে থাকে না? ৯ হাজার টাকা বলে দিয়েছিলাম। একপর্যায়ে আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করে তিনি দুটি দাখিলা প্রদান করেন। ৫ হাজার টাকা নিলেও তিনি আমাকে একটি দাখিলার ৬৬৬ টাকা এবং অন্য দাখিলার ১৮২ টাকার অনলাইন দাখিলা সনদ প্রদান করেন। আমি জাহাঙ্গীর আলমের এহেন অপকর্মের বিচারসহ আমার অতিরিক্ত নেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সোহরাব হোসেন আরও বলেন, ‘একই সময়ে অন্য এক ব্যক্তির নিকট থেকে এক/দেড় হাজার টাকার খাজনা দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন।’
ইউনিয়নের বাঘারদাড়ী গ্রামের কৃষক অহেদ আলী বলেন, ‘এই নায়েব টাকা ছাড়া কিছু চেনে না। তাঁর কাছে জমির খাজনা দিতে গেলেই বলেন “কত টাকা এনেছেন”।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অনেকক্ষণ চুপ থেকে বলেন, এমন ঘটনা তাঁর স্মরণে নেই। ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে এ রকম আরও অভিযোগ রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তাঁকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে অভিযোগকারীর মুখোমুখি করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।’
যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতাদের নানাভাবে হয়রানি ও অনৈতিকভাবে বিপুল অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ইউনিয়নের বাঘারদাড়ী গ্রামের সোহরাব হোসেন শ্রাবণ এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সোহরাব হোসেনের লিখিত অভিযোগে থেকে জানা গেছে, তিনি পার্শ্ববর্তী আন্দারকোটা ইঞ্জু মিয়ার ছেলে মফিজুর রহমানের কাছ থেকে কিছু জমি কিনতে চান। ওই জমির খাজনা পরিশোধ না থাকায় জমির মালিক স্বরূপদাহ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত প্রায় তিন মাস ধরে ৭৫ বছর বয়সী মফিজুর রহমান খাজনা পরিশোধের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে চেষ্টা করেও সফল হননি। এরপর, সোহরাব নিজে গত রমজান মাসসহ মোট তিনবার ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নিকট যান। সে সময়, জাহাঙ্গীর সোহরাবকে বলেন, দুটি দাখিলার জন্য ৯ হাজার টাকা দিতে হবে।
সোহরাব তাঁর লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘একপর্যায়ে গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে আমি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে তিনি জানতে, “কত টাকা এনেছেন”। আমি বলি কত দিতে হবে। তিনি বলেন, আগেই তো বলে দিয়েছি। আমার কি মনে থাকে না? ৯ হাজার টাকা বলে দিয়েছিলাম। একপর্যায়ে আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করে তিনি দুটি দাখিলা প্রদান করেন। ৫ হাজার টাকা নিলেও তিনি আমাকে একটি দাখিলার ৬৬৬ টাকা এবং অন্য দাখিলার ১৮২ টাকার অনলাইন দাখিলা সনদ প্রদান করেন। আমি জাহাঙ্গীর আলমের এহেন অপকর্মের বিচারসহ আমার অতিরিক্ত নেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সোহরাব হোসেন আরও বলেন, ‘একই সময়ে অন্য এক ব্যক্তির নিকট থেকে এক/দেড় হাজার টাকার খাজনা দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন।’
ইউনিয়নের বাঘারদাড়ী গ্রামের কৃষক অহেদ আলী বলেন, ‘এই নায়েব টাকা ছাড়া কিছু চেনে না। তাঁর কাছে জমির খাজনা দিতে গেলেই বলেন “কত টাকা এনেছেন”।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অনেকক্ষণ চুপ থেকে বলেন, এমন ঘটনা তাঁর স্মরণে নেই। ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে এ রকম আরও অভিযোগ রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তাঁকে ডেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে অভিযোগকারীর মুখোমুখি করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।’
নগরবাসীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৯০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। দুই কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে স্থাপিত এসব ক্যামেরায় ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), স্বয়ংক্রিয় গাড়ির নম্বর শনাক্তকরণ...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনটির কাঠামোই দৃশ্যত সোমবারের বিপর্যয়কে এতটা প্রাণঘাতী করে তুলেছে। সরেজমিন ঘুরে এবং ভুক্তভোগী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি শহরের কিফাইতনগর এলাকায় দেড় কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নির্মিত আরসিসি সড়ক উদ্বোধনের মাত্র দুই মাসের মাথায় ধসে পড়েছে। খালের পাড়ঘেঁষা গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ায় সড়কের একটি বড় অংশ এখন কার্যত শূন্যে ঝুলছে। ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুরো রাস্তা ধসে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
৫ ঘণ্টা আগেস্বপ্নের দেশ ইতালি। সেখানে গিয়ে নিজেরসহ পরিবারের সব স্বপ্ন পূরণ করবেন। এই আশায় লিবিয়া হয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশটিতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ আছেন মাদারীপুরের রাজৈরের ১৪ যুবক। পাঁচ মাস ধরে তাঁদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না স্বজনেরা।
৬ ঘণ্টা আগে