Ajker Patrika

‘সকালে ঢাকায় গিয়ে সন্ধ্যায় ফেরা যাবে কুষ্টিয়ায়’

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ২২: ৫৯
Thumbnail image

অবশেষে দ্বার খুলেছে পদ্মা সেতুর রেলের। আজ মঙ্গলবার ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ট্রেন চলবে আগামী নভেম্বর মাস থেকে।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অচিরেই কুষ্টিয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। এ খবরে আনন্দিত কুষ্টিয়ার মানুষ।

তাঁরা বলছেন, পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত শুরু হলে সময় ও খরচ দুটিই বাঁচবে। এতে খুলে যাবে নতুন দিগন্ত।

তবে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, কুষ্টিয়া হয়ে ট্রেন ঢাকা যাওয়ার বিষয়ে কোনো শিডিউল বা আলোচনা হয়নি।

বর্তমানে কুষ্টিয়ার মানুষকে রেলপথে ঢাকা যেতে হলে শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের পোড়াদহ জংশনে যেতে হয়। সেখান থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পেরিয়ে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতু পেরিয়ে ট্রেনে ঢাকা যেতে পাড়ি দিতে প্রায় ২২০ কিলোমিটার। সময় লেগে যায় ৬-৭ ঘণ্টা। এ পথে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন খুলনা থেকে ঢাকা চলাচল করে।

পদ্মাসেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনের বুকিং ইনচার্জ সাইদুজ্জামান বলেন, এ দুটি ট্রেন পোড়াদহ থেকে কুষ্টিয়া শহর, ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করে মধুমতি এক্সপ্রেস।

এই ট্রেনটিও সরাসরি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া শহরের কোর্ট স্টেশন থেকে রেলপথে ঢাকার দূরত্ব হবে মাত্র দেড়শ কিলোমিটারের মতো। সময় লাগতে পারে ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিটের মতো। এতে সময় বাঁচবে ২ ঘণ্টা খরচ কমবে অন্তত ২০০ টাকা।

এ বিষয়ে বুকিং ইনচার্জ সাইদুজ্জামান বলেন, ভাড়া হিসাব করলে ৪০০ টাকার মতো লাগতে পারে। তিনি বলেন, মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগামী ১৭ তারিখ থেকে ঢাকা যেতে পারে, এমন আলোচনা শোনা যাচ্ছে। তবে শিডিউল বা টিকিট বরাদ্দের কোনো অফিশিয়াল অর্ডার পাওয়া যায়নি।

কুষ্টিয়া শহরের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কুষ্টিয়া শহর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যেতে পারলে সকালে গিয়ে ঢাকায় জরুরি কাজ শেষে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ফিরে আসা যাবে। যা এ অঞ্চলের মানুষের জন্য যুগান্তকারী হবে।’

ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে ঢাকা যাতায়াত শুরু হলে সময় ও খরচ দুটিই বাঁচবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতিশীলতা আসবে। খুলে যাবে নতুন দিগন্ত।

পদ্মাসেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়েছে। ফাইল ছবিকুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘সব রেডিই আছে। ট্রেন যেহেতু ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করছে। আমরা ইচ্ছা করলে ওখান থেকে ট্রেন বদলে ঢাকার ট্রেনে উঠতে পারব।’

তিনি বলেন, ওই ট্রেনই পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকা নিয়ে গেলেই হলো। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে বলে প্রচার থাকলেও রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো।

রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, কুষ্টিয়া হয়ে ট্রেন ঢাকা যাওয়ার বিষয়ে কোনো শিডিউল বা আলোচনা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত