Ajker Patrika

কাঁচামালের সংকটে যশোরে খাওয়ার স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭: ৩৯
Thumbnail image

কাঁচামালের সংকটে যশোরে ১০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিনা মূল্যে বিতরণ করা সরকারি খাওয়ার স্যালাইন (ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট বা ওআরএস) উৎপাদন। এতে খুলনা বিভাগের পাশাপাশি ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে স্যালাইন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, এক মাসের স্যালাইন মজুত আছে, আর উৎপাদন শুরু করতে এরই মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে খাওয়ার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিষ্ঠান যশোর ইউনিটের ব্যবস্থাপক ডা. রেওনেওয়াজ রনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২৯ নভেম্বর থেকে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে প্রায় পাঁচ লাখ ব্যাগ স্যালাইন মজুত রয়েছে; যা দিয়ে আগামী এক মাস যাবে। যদি এর মধ্যে কাঁচামাল সরবরাহ না পাওয়া যায়, তাহলে সংকট দেখা দিতে পারে। তবে শুনেছি, সরকার শিগগির বিদেশ থেকে কাঁচামাল আনছে। আশা করছি, স্বাস্থ্যসেবায় এর প্রভাব পড়বে না।’

সারা দেশে শীতকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে, দরকার পড়ে খাওয়ার স্যালাইনের। এ জন্য সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনা মূল্যে খাওয়ার স্যালাইন সরবরাহ করে জনস্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু গত ২৯ নভেম্বর থেকে খুলনা বিভাগের যশোর ইউনিটের কারখানায় ওআরএস স্যালাইনের কাঁচামাল গ্লুকোজ, সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও ট্রাইসোডিয়ামের সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, দেশে খাওয়ার স্যালাইন উৎপাদনের পাঁচটি আঞ্চলিক ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে যশোরের ইউনিটটি অন্যতম। এখান থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং ফরিদপুর, রাজবাড়ী জেলায় খাওয়ার স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। কারখানাটিতে প্রতিদিন ১৫ হাজার প্যাকেট স্যালাইন উৎপাদিত হতো। 

যশোর সরকারি খাওয়ার স্যালাইন উৎপাদন কারখানাযশোর ইউনিটের স্টোরকিপার মো. আওরঙ্গজেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্যালাইন তৈরিতে যে চারটি কাঁচামাল দরকার, তার মধ্যে গ্লুকোজ একেবারেই স্টক শূন্য। এর বাইরে সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও ট্রাইসোডিয়াম আছে ৫০ বস্তার মতো। যে কারণে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।’ 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে বর্তমানে পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুত রয়েছে। কিন্তু এক মাসের মধ্যে চালু না হলে স্যালাইন সংকট দেখা দিতে পারে।’ 

জেলা সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা দ্রুত কাঁচামালের চাহিদা প্রেরণ করেছি। আশা করছি, দ্রুত কাঁচামাল আসবে। এলেই আবার উৎপাদন শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত