Ajker Patrika

বিবাহবিচ্ছেদের জেরে শ্বশুরের দোকানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ, পুড়ল ৬ দোকান

আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, ১৩: ১০
বিবাহবিচ্ছেদের জেরে শ্বশুরের দোকানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ, পুড়ল ৬ দোকান

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কাঠপট্টিতে আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই আগুন লাগে। এ ঘটনায় বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের একজন মো. শহিদ। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, পাশের দোকানদার খোরশেদের জামাই একতারপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে সোনা মিয়া (২৭) তাদের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন। 

অগ্নিকাণ্ডে ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। ক্ষতিগ্রস্ত ছয় দোকানদার হলেন খোরশেদ আলম, আরিফ, মহর আলী, আলা, মো. শহিদ ও ডালিম।

লিখিত অভিযোগে মো. শহিদ বলেন, ‘খোরশেদের মেয়ের সঙ্গে তার জামাই সোনা মিয়ার দুই দিন আগে ছাড়াছাড়ি হয়। পরে সে ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার রাতে খোরশেদের বাড়িতে আগুন দেয়। এরপর জীবননগরে এসে খোরশেদের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে আগুন আমারসহ মোট ছয়টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

খোরশেদের স্ত্রী আকলিমা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের দুই দিন আগে তালাক হয়। মঙ্গলবার রাতে আমার জামাই আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির আগুন নেভাতে নেভাতে খবর পাই, আমাদের বাজারের দোকানে আগুন লেগেছে ৷ ধারণা করছি, রাগে আমার জামাই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।’

জীবননগর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার শামসুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে রাত ১টার ৩২ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। অতিরিক্ত আগুন হওয়ায় পাশের দর্শনা ও মহেশপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। রাত ২টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আমরা ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে উদ্ধারকাজ শেষ করে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর আমরা প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছি। ’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১টার পর খোরশেদের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন পাশের আরও পাঁচটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।

কাঠমিস্ত্রি ইদ্রিস বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে পাশের দোকানের একজন ফোন করে বলেন কাঠপট্টিতে আগুন লেগেছে। পরে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। তেমন কোনো মালামাল বের করা যায়নি।’ 

সোনা মিয়া পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জীবননগর পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে না। আমি ব্যক্তিগত কিছু করতে পারি। তবে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে বসে কী সহযোগিতা করা যায়, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান বলেন, ‘রাতে এবং সকালে আমাদের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত