নরসিংদী প্রতিনিধি
বাবার রেখে যাওয়া জীর্ণ ঘরে অশীতিপর মা আর এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন মর্তুজা খাতুন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে একটু একটু করে টাকা জমিয়েছিলেন। ইচ্ছে ছিল এই টাকায় ভালো করে একটা ঘর বানাবেন। কিন্তু সেই টাকা কেটে ফেলে ইঁদুর। সারা জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে ভেঙে পড়েন মর্তুজা খাতুন। এই খবর পেয়ে এগিয়ে আসে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন। সেই সংগঠন তাঁকে একটি আধপাকা ঘর বানিয়ে দিয়েছে।
রোববার বিকেলে সংগঠনের দায়িত্বশীল সদস্যরা নরসিংদী বেলাব উপজেলার মর্তুজা খাতুনের কাছে ঘর বুঝিয়ে দিয়েছেন। চার চালা বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর, একটি বাথরুম, একটি টিউবওয়েল ও একটি রান্না ঘর পেয়েছেন তিনি।
মর্তুজা খাতুনের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মুগায়। তাঁর বাবার মৃত মানিক চান এবং মা আবেদা খাতুন। প্রায় পনেরো বছর আগে বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছামতী গ্রামের নুরে আলমের সঙ্গে। তাঁদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু সংসার বেশি দিন টিকেনি। এক পর্যায় বিয়ে ভেঙে যায়। স্থায়ীভাবে বাবার বাড়ি চলে আসেন মর্তুজা খাতুন। এসে ৮০ বছরের বেশি বয়সী মাকে নিয়ে সংসারের ঘানি টানতে থাকেন। টিনের একচালা ছাপড়া ঘরে থাকেন তাঁরা। বৃষ্টি এলেই ভিজে যায় ঘরের সব জিনিসপত্র।
মর্তুজা খাতুন জানান, বাবা দুই শতাংশ জমি রেখে যান। অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় ও একটি ঘর নির্মাণের জন্য টাকা জমাতে থাকেন তিনি। সেই টাকা রেখেছিলেন ঘরের মেঝে গর্ত করে। একদিন জমানো ৭০ হাজার টাকা গর্ত থেকে বের করতে গিয়ে দেখেন ইঁদুরে সব টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেছে। মর্তুজা খাতুনের আহাজারিতে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা সমবেদনা জানান। সেখানে সাইলেন্ট হ্যান্ডস সাপোর্ট সোসাইটির স্থানীয় প্রতিনিধি মঞ্জু আহম্মেদও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তাঁর সংগঠনের ঊর্ধ্বতনকে ঘটনা জানালে তাঁরা ওই নারীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। উদ্যোগ নেন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার। দীর্ঘ দিন কাজ শেষে আজ মর্তুজাকে চার চালা বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর, একটি বাথরুম, একটি টিউবওয়েল ও একটি রান্না ঘর বুঝিয়ে দেন।
নতুন ঘর পেয়ে অত্যন্ত খুশি মর্তুজা খাতুন। তিনি বলেন, সঞ্চয়ের টাকা নষ্ট হওয়ার পর আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এমন সময় আমার পাশের বাড়ির মঞ্জু এসে আমাকে সহযোগিতার কথা বলে। তার সহযোগিতায় আজ আমি এ ঘর পেয়েছি। আমি দোয়া করি আল্লাহ তাদের যেন ভালো করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইরফানুল হক ভুইয়া জামান বলেন, উদ্যোগটি খুবই মহৎ এবং প্রশংসার যোগ্য। আমি দোয়া করি, তারা যেন সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে পরে।
সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাহিদ আহমেদ বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে দেশের অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা। যার ধারাবাহিকতায় আজকের এ ঘর নির্মাণ।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শফিল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বাবার রেখে যাওয়া জীর্ণ ঘরে অশীতিপর মা আর এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন মর্তুজা খাতুন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে একটু একটু করে টাকা জমিয়েছিলেন। ইচ্ছে ছিল এই টাকায় ভালো করে একটা ঘর বানাবেন। কিন্তু সেই টাকা কেটে ফেলে ইঁদুর। সারা জীবনের সঞ্চয় হারিয়ে ভেঙে পড়েন মর্তুজা খাতুন। এই খবর পেয়ে এগিয়ে আসে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন। সেই সংগঠন তাঁকে একটি আধপাকা ঘর বানিয়ে দিয়েছে।
রোববার বিকেলে সংগঠনের দায়িত্বশীল সদস্যরা নরসিংদী বেলাব উপজেলার মর্তুজা খাতুনের কাছে ঘর বুঝিয়ে দিয়েছেন। চার চালা বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর, একটি বাথরুম, একটি টিউবওয়েল ও একটি রান্না ঘর পেয়েছেন তিনি।
মর্তুজা খাতুনের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মুগায়। তাঁর বাবার মৃত মানিক চান এবং মা আবেদা খাতুন। প্রায় পনেরো বছর আগে বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছামতী গ্রামের নুরে আলমের সঙ্গে। তাঁদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান হয়। কিন্তু সংসার বেশি দিন টিকেনি। এক পর্যায় বিয়ে ভেঙে যায়। স্থায়ীভাবে বাবার বাড়ি চলে আসেন মর্তুজা খাতুন। এসে ৮০ বছরের বেশি বয়সী মাকে নিয়ে সংসারের ঘানি টানতে থাকেন। টিনের একচালা ছাপড়া ঘরে থাকেন তাঁরা। বৃষ্টি এলেই ভিজে যায় ঘরের সব জিনিসপত্র।
মর্তুজা খাতুন জানান, বাবা দুই শতাংশ জমি রেখে যান। অন্যের বাড়িতে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় ও একটি ঘর নির্মাণের জন্য টাকা জমাতে থাকেন তিনি। সেই টাকা রেখেছিলেন ঘরের মেঝে গর্ত করে। একদিন জমানো ৭০ হাজার টাকা গর্ত থেকে বের করতে গিয়ে দেখেন ইঁদুরে সব টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেছে। মর্তুজা খাতুনের আহাজারিতে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাঁরা সমবেদনা জানান। সেখানে সাইলেন্ট হ্যান্ডস সাপোর্ট সোসাইটির স্থানীয় প্রতিনিধি মঞ্জু আহম্মেদও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তাঁর সংগঠনের ঊর্ধ্বতনকে ঘটনা জানালে তাঁরা ওই নারীর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। উদ্যোগ নেন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার। দীর্ঘ দিন কাজ শেষে আজ মর্তুজাকে চার চালা বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর, একটি বাথরুম, একটি টিউবওয়েল ও একটি রান্না ঘর বুঝিয়ে দেন।
নতুন ঘর পেয়ে অত্যন্ত খুশি মর্তুজা খাতুন। তিনি বলেন, সঞ্চয়ের টাকা নষ্ট হওয়ার পর আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এমন সময় আমার পাশের বাড়ির মঞ্জু এসে আমাকে সহযোগিতার কথা বলে। তার সহযোগিতায় আজ আমি এ ঘর পেয়েছি। আমি দোয়া করি আল্লাহ তাদের যেন ভালো করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইরফানুল হক ভুইয়া জামান বলেন, উদ্যোগটি খুবই মহৎ এবং প্রশংসার যোগ্য। আমি দোয়া করি, তারা যেন সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে পরে।
সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাহিদ আহমেদ বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে দেশের অসহায় দরিদ্র ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করা। যার ধারাবাহিকতায় আজকের এ ঘর নির্মাণ।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শফিল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
২ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
২ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
২ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৩ ঘণ্টা আগে