Ajker Patrika

লঞ্চে স্বস্তির ঈদযাত্রা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ৪৪
লঞ্চে স্বস্তির ঈদযাত্রা

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন ঘরমুখী মানুষ। ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রথম পছন্দ লঞ্চ যাতায়াত। তবে পদ্মা সেতুর প্রভাবে এবার প্রথম দিকে লেঞ্চে যাত্রীসংকটে পড়লেও শেষ সময়ে ঈদযাত্রায় লঞ্চেই স্বস্তি খুঁজে নিয়েছে যাত্রীরা। 

আজ সোমবার সকাল থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের পাঁচ-ছয় ঘণ্টা আগেই যাত্রীরা লঞ্চে উঠে ডেকে জায়গা নিয়ে বসে পড়েছেন। অন্যান্য ‍দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ একটু বেশি থাকলেও উপচে পড়া ভিড় হয়নি। কোনো কোনো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের শঙ্কা দেখা দিলেই সেই লঞ্চকে পল্টুন ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে নৌ পুলিশ। 

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভিড় তুলনামূলক বেশি হলেও স্বস্তিত বাড়ির উদ্দেশে রওনা হতে পেরেছেন তাঁরা। তবে লঞ্চমালিকদের দাবি, শেষ সময়ে একটু যাত্রী বেশি হবে—এটাই স্বভাবিক। তবে সেটা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। অন্যদিকে টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রীসেবা দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। 

চরফ্যাশনগামী তাসরিফ-৪ লঞ্চের যাত্রী আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাসে যাতায়াতে সময় কম লাগলেও ঝক্কি-ঝামেলা অনেক। তা ছাড়া একজন মানুষের পক্ষে পরিবারের পাঁচ-ছয়জন সদস্য ও মালপত্র নিয়ে রাস্তায় চলাচলও মুশকিল। কোনো রকমের কষ্ট করে পরিবারের লোকজনসহ মালামাল নিয়ে লঞ্চে উঠে বসতে পারলেই হলো। ভোর হলেই বাড়ির ঘাটে নেমে পড়ব। তাই পরিবার নিয়ে নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার জন্য লঞ্চই ভরসা।’ 

হাতিয়াগামী ফারহান-১০ লঞ্চের যাত্রী আকলিমা বেগম বলেন, ‘ডেকে জায়াগা পাওয়ার জন্য আমি দুপুর ১২টায় লঞ্চে উঠে বসে পরি। ভালো একটি জায়গাও পেয়েছি। এখন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারব।’ 

এত আগে লঞ্চে ওঠার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে লঞ্চে অনেক ভিড় হয়, তাই জায়গা পাওয়ার আশায় আগেই চলে এসেছি। তবে এবার আগের তুলনায় ভিড় কম। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীও নেই।’ 

বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম খান বলেন, ‘যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। শেষ সময়ে একটু ভিড় বাড়বেই। তবে সেটা আশানুরূপ নয়। অন্যবার এ সময়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে রোটেশন ভেঙে দিয়ে স্পেশাল লঞ্চ চলাচল করত। আর এ বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিডিউল লঞ্চই যাত্রী বোঝাই হচ্ছে না। আশা করছি, শেষ পর্যন্ত যাত্রীর চাপ আরেকটু বাড়বে।’ 

বিআইডব্লিউটিএ নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে সদরঘাটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। নিরাপদ যাত্রীসেবার লক্ষ্যে আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আমাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয় রয়েছে।’ 

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে ঢাকা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা নদী বন্দর থেকে ছেড়ে গেছে ৪৫টি লঞ্চ এবং ভিড়েছে ৫২টি। আজ ১০০টির অধিক লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের সদস্যরা প্রতিটি লঞ্চ নজরদারিতে রেখেছে। কোনো লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে যাওয়ার সুযোগ নেই। লঞ্চে নির্ধারিত যাত্রী হলেই পল্টুন ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত