Ajker Patrika

সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও গোলাপ ফের কারাগারে

মাদারীপুর প্রতিনিধি
হত্যা মামলায় শাজাহান খান আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে আজ আদালতে তোলা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
হত্যা মামলায় শাজাহান খান আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে আজ আদালতে তোলা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় মাদারীপুরে দায়ের করা দুটি হত্যা মামলায় সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাজিদ উল হাসান চৌধুরী এই আদেশ দেন। ব্যাপক পুলিশি পাহারায় মাদারীপুর কারাগার থেকে সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে আদালতে তোলা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সকালে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে আদালতে আনা হয়। পরে আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত তাওহীদ সন্ন্যামাত ও দীপ্ত দে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মাদারীপুর কারাগারে হস্তান্তর করা হয় সাবেক এই দুই সংসদ সদস্যকে। আজ রোববার মাদারীপুরের আদালতে তোলা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন আরমিন বলেন, দুটি হত্যা মামলা সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে আসামি করা হলেও তারা কেউই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। রাজনৈতিক ফায়দার উদ্দেশ্য এই মামলা করা হয়েছে। আদালতে শুনানি শেষে সাবেক দুই সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও আব্দুস সোবহান মিয়া গোলাপকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলার নথি ও আদেশের কপি সংগ্রহ করে জেলা জজ আদালতে জামিন চাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর গোলচত্বর থেকে নতুন বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে খাগদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাওহীদ সন্ন্যামাত ও রোমান বেপারী মারা যান।

তাওহীদ সন্ন্যামাত হত্যার ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব কামরুল হাসান বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় এই মামলাটি করেন।

এদিকে গত ১৮ জুলাই সকালে কোটাসংষ্কার আন্দোলনে শহরের শকুনী লেকপাড় এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দীপ্তকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে লেকের পানিতে পড়ে যায়। ওই দিন দুপুরে শকুনী লেক থেকে দীপ্তর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

এই ঘটনায় জড়িত থাকায় গত ৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ২৭ জনের নামে মামলা করেন শহরের পানিছত্র এলাকার বাসিন্দা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী (৩৮)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত