নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহতদের অনেকেই আমাদের এখানে এসেছে। এখন পর্যন্ত ৩২ জন রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে। ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।’
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজ সকালে আমরা রোগীদের দেখেছি। ডাক্তারসহ আমরা একটা মেডিকেল বোর্ড বসেছিলাম। ৫০ ভাগের বেশি বার্নের রোগী আছে ১৬ জন। ৮০ ভাগের বেশি পুড়ে যাওয়া রোগী ১০ জনের বেশি। রোগীগুলোর অবস্থা এতটা খারাপ যে সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।’
সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। বাকিটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ৬ জন ইতিমধ্যে আইসিইউতে আছেন। তাঁদের ৯০ ভাগের বেশি বার্ন।
অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। তাঁদের অবস্থার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাদের ১০ ভাগের বেশি বার্ন হলেই আশঙ্কাজনক হয়ে যায়। সেখানে বাচ্চাদের অনেকেরই ৩০ ভাগের বেশি বার্ন। ১০ বছর বয়সের মধ্যে ৭ জন এবং ১১-১৮ বছর বয়সের মধ্যে ৬ জন রোগী রয়েছে। এই ১৩ জনের সবাই ১০ ভাগের বেশি পুড়ে যাওয়া।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকাংশের অবস্থাই খারাপ। যেকোনো বার্নের রোগী যতক্ষণ বাসায় না যায় ততক্ষণ তাঁদের আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না।’
এদিকে দগ্ধদের স্বজনেরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। দগ্ধ সোলেমান মিয়ার স্ত্রী শাপলা বলেন, তাঁর স্বামী শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। তাঁর অবস্থা ভালো না। তিনি বলেন, মানুষটার এক পা খাটো। আগুনে পুইরা হেইডা আরও খাটো হয়া গেছে। দেহার মতো অবস্থা নাই।
২২ বছর বয়সী লাদেনের শরীরের ৮৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর খালাতো ভাই মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘রোগীর অবস্থা তেমন ভালো না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দগ্ধ হন। তিন বছরের একটা ছোট ছেলে সন্তান আছে। যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে পরিবারের কী হবে।’
ওয়ার্ডের সামনে পাথর হয়ে বসেছিলেন নাজমা বেগম। ভেতরে তাঁর স্বামী কুদ্দুস চিকিৎসাধীন, পুড়েছে শরীরের ৮০ শতাংশ। খুব বেশি কিছু বলেননি এই নারী। শুধু বললেন, ‘আমার স্বামীর পোড়া শরীর দেইখা আমি অজ্ঞান হয়া গেছিলাম।’
আরও পড়ুন:
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ রোগীদের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গুরুতর আহতদের অনেকেই আমাদের এখানে এসেছে। এখন পর্যন্ত ৩২ জন রোগী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছে। ৩২ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।’
সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজ সকালে আমরা রোগীদের দেখেছি। ডাক্তারসহ আমরা একটা মেডিকেল বোর্ড বসেছিলাম। ৫০ ভাগের বেশি বার্নের রোগী আছে ১৬ জন। ৮০ ভাগের বেশি পুড়ে যাওয়া রোগী ১০ জনের বেশি। রোগীগুলোর অবস্থা এতটা খারাপ যে সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।’
সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। বাকিটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ৬ জন ইতিমধ্যে আইসিইউতে আছেন। তাঁদের ৯০ ভাগের বেশি বার্ন।
অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। তাঁদের অবস্থার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাদের ১০ ভাগের বেশি বার্ন হলেই আশঙ্কাজনক হয়ে যায়। সেখানে বাচ্চাদের অনেকেরই ৩০ ভাগের বেশি বার্ন। ১০ বছর বয়সের মধ্যে ৭ জন এবং ১১-১৮ বছর বয়সের মধ্যে ৬ জন রোগী রয়েছে। এই ১৩ জনের সবাই ১০ ভাগের বেশি পুড়ে যাওয়া।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকাংশের অবস্থাই খারাপ। যেকোনো বার্নের রোগী যতক্ষণ বাসায় না যায় ততক্ষণ তাঁদের আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না।’
এদিকে দগ্ধদের স্বজনেরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। দগ্ধ সোলেমান মিয়ার স্ত্রী শাপলা বলেন, তাঁর স্বামী শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। তাঁর অবস্থা ভালো না। তিনি বলেন, মানুষটার এক পা খাটো। আগুনে পুইরা হেইডা আরও খাটো হয়া গেছে। দেহার মতো অবস্থা নাই।
২২ বছর বয়সী লাদেনের শরীরের ৮৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর খালাতো ভাই মো. সবুজ মিয়া বলেন, ‘রোগীর অবস্থা তেমন ভালো না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দগ্ধ হন। তিন বছরের একটা ছোট ছেলে সন্তান আছে। যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে পরিবারের কী হবে।’
ওয়ার্ডের সামনে পাথর হয়ে বসেছিলেন নাজমা বেগম। ভেতরে তাঁর স্বামী কুদ্দুস চিকিৎসাধীন, পুড়েছে শরীরের ৮০ শতাংশ। খুব বেশি কিছু বলেননি এই নারী। শুধু বললেন, ‘আমার স্বামীর পোড়া শরীর দেইখা আমি অজ্ঞান হয়া গেছিলাম।’
আরও পড়ুন:
মাদারীপুরের ডাসারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আজিজুল হাওলাদার (৬০) নামের এক চায়ের দোকানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ধামুসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৫ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পথের উভয় প্রান্তে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাসসহ দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
৩১ মিনিট আগেরংপুরে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই স্থানে একে একে ছয়টি পরিবহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে প্রাণহানির কোনো ঘটনা না ঘটলেও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনগুলোর মধ্যে তিনটি যাত্রীবাহী বাসসহ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। গাড়িগুলো ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে...
৩২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে বাসে-ট্রাকে করে মানুষ মাহফিলে আসতে থাকে। বিকেল ৪টা নাগাদ প্যারেড ময়দানের আশপাশের রাস্তাঘাট লোকারণ্য হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। প্যারেড ময়দানসংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে এক্সেস রোড, অলিখাঁ মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে