Ajker Patrika

জাবিতে ধর্ষণের প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

জাবি প্রতিনিধি
Thumbnail image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল ও জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এ সময় সেখানে কবিতা আবৃত্তি ও ভুক্তভোগীদের বঞ্চনা তুলে ধরা হয়। 

অন্যদিকে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে মশাল মিছিল শুরু করে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের একাংশ। মিছিলটি মেয়েদের হল সংলগ্ন রাস্তা ঘুরে পরিবহন চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

বটতলায় জনসংযোগ কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র আরিফ সোহেল। 

এ সময় বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আহসান লাবীব বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি হচ্ছে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির হোসেনের পদত্যাগ, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির শাস্তি প্রদান, অছাত্রদের বের করা এবং ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। 

জনসংযোগ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর এলাহী প্রমুখ। 

এদিকে মশাল মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে চারটি দাবি পেশ করেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে আগামী রোববার বিকেলে পরিবহন চত্বরে ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এ সব দাবির মধ্যে আছে ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলায়নে সহযোগিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে হবে, মীর মশাররফ হোসেন হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট এবং হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে আসা পলায়নে সাহায্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, সকল আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের তাড়াতে হবে, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা শাখার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করা।  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকাএ সময় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোমা ডুমুরি বলেন, ‘এই ধর্ষণ এক দিনের ফসল নয়। ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাওয়া অছাত্র দ্বারা একজন নারী নিপীড়িত হয়েছে। এটা লজ্জ্বার। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। যে প্রশাসন নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারে না সে প্রশাসনের প্রতি ধিক্কার।’ 

এ ছাড়াও বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি নতুন রেজিস্ট্রার ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। 

সাক্ষাৎ শেষে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জামিনুর রহমান সাংবাদিকদের নিকট দাবি করেন, ‘আমরা তদন্ত করতে আসিনি। আমরা পরিদর্শক দল হিসেবে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ 
এ সময় সেখানে কমিটির অন্য সদস্য ইউজিসির উপপরিচালক মৌলি আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:–

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত