সাইফুল মাসুম, ঢাকা
কেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু ইফতারির সমাহার নিয়ে সেখানে দোকান সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।
গতকাল বেইলি রোডে কথা হয় মালিবাগের বাসিন্দা রুম্পার সঙ্গে। তিনি ঘুরে ঘুরে নিজের পছন্দের ইফতারি কিনছিলেন। রুম্পা বলেন, ‘বেইলি রোডের খাবারের দামটা একটু বেশি, তবে মান ভালো। ইফতারের জন্য কিছু আইটেম কিনেছি, আরও কিনব।’
ইফতারের অন্যান্য আইটেমের সঙ্গে হালিম ও তেহারি কিনেছেন সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বেইলি রোডে ইফতারি ভালো। দাম কোনো ম্যাটার (ব্যাপার) না।’
ইফতারির স্পেশাল পসরা সাজিয়েছে বেইলি রোডের দোকান ‘এ ওয়ান ফুড’। সেখানে অন্য খাবারের সঙ্গে রেশমি জিলাপি ও শাহি জিলাপি কিনতে ভিড় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। দোকানের ম্যানেজার আখতার পারভেজ বলেন, ‘ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু আইটেমের দাম বেশি থাকার কারণে ক্রেতা তুলনামূলক কম।’
বিকেল ৪টার সময় হঠাৎ কয়েক বিক্রয়কর্মী সমস্বরে ডাকতে থাকেন, ‘স্পেশাল পিঠা এই দিকে, স্পেশাল হালিম এই দিকে।’ আওয়াজ অনুসরণ করে দেখা যায়, বেইলি পিঠাঘর ও জ্যাগেরী রেস্টুরেন্টের কর্মীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এমন হাঁকডাক দিচ্ছিলেন। জ্যাগেরী রেস্টুরেন্ট সাধারণ ইফতারি আইটেমের পাশাপাশি ইফতারের চারটি প্যাকেজ বিক্রি করে। প্যাকেজ মূল্য ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা। প্যাকেজে আছে ছোলা, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, মুড়ি, জালি কাবাব, খেজুর, মাল্টা ও আপেল।
বেইলি রোডে সবচেয়ে জমজমাট ইফতার বাজার বসেছে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে। সেখানে শতাধিক ইফতারি আইটেমের পসরা সাজানো হয়েছে। ক্রেতাদের ঘুরে ঘুরে পছন্দের ইফতারি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে ইফতারি কিনতে এসেছেন বাসাবোর বাসিন্দা মাজেদুর রহমান। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন দুই শিশুকন্যা ওয়ালিদা ও ওয়ানিয়াকে। বাচ্চাদের পছন্দের খাবার বেছে বেছে কিনছিলেন তিনি। মাজেদুর জানান, খাবারগুলো বেশ মানসম্পন্ন, তাই প্রতিবছর ইফতারি কিনতে বেইলি রোডেই আসি।
ক্যাপিটাল ইফতার বাজারের আরেক আকর্ষণ ছিল প্রতিগ্রাম ৯৯ পয়সা দামের বুফে খাবার। বুফে খাবারের তালিকায় রয়েছে তন্দুরি চিকেন, ফ্রুট সালাদ, চিকেন, ভেজিটেবল, মাশরুম। বিক্রয়কর্মী আনোয়ার বলেন, আলাদা করে ৯টি আইটেমের পণ্য নিয়ে বুফের আয়োজন করা হয়েছে। ক্রেতারা খুব আগ্রহ নিয়ে বুফের খাবার কেনেন। মেহেদী হাসান নামের এক ক্রেতা ২০০ গ্রাম ওজনের বুফের খাবার কিনে ১৯৮ টাকা মূল্য পরিশোধ করেছেন।
নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁতেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। সেখানে হালিম, ঘি ও জাফরানে ভাজা নবাবী স্পেশাল বোম্বে জিলাপি, শাহি ও রেশমি জিলাপি, বুন্দিয়াসহ বিভিন্ন পদের ইফতারি পাওয়া যাচ্ছে। সুস্বাদু মিষ্টান্ন আইটেমের ইফতারি বিক্রি করছে হক ব্রেড অ্যান্ড কনফেকশনারি, হক রেস্টুরেন্ট, মীনা সুইটস। এ ছাড়া বিভিন্ন রকমের ফলের জুস পাওয়া যাচ্ছে হ্যালো জুস আর জাফরানি জুস কর্নারে।
বেইলি রোডে ইফতারির অভিজাত দোকানের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফুটপাতে টেবিল পেতে বিভিন্ন ইফতারি পণ্য সাজিয়েছেন কেউ কেউ। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ গেটের সামনে টেবিল পেতে কয়েক আইটেমের ইফতারি বিক্রি করছেন ফারুক আহমেদ। এই দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ইফতার সারতে পারবেন। ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় লোকেরা বেইলি রোডের হাইফাই দোকানে যায়। আমাদের সীমিত ব্যবসা। দিনমজুর, রিকশাচালকসহ গরিব শ্রেণির লোক এই দোকানের মূল ক্রেতা।’
কেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু ইফতারির সমাহার নিয়ে সেখানে দোকান সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।
গতকাল বেইলি রোডে কথা হয় মালিবাগের বাসিন্দা রুম্পার সঙ্গে। তিনি ঘুরে ঘুরে নিজের পছন্দের ইফতারি কিনছিলেন। রুম্পা বলেন, ‘বেইলি রোডের খাবারের দামটা একটু বেশি, তবে মান ভালো। ইফতারের জন্য কিছু আইটেম কিনেছি, আরও কিনব।’
ইফতারের অন্যান্য আইটেমের সঙ্গে হালিম ও তেহারি কিনেছেন সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বেইলি রোডে ইফতারি ভালো। দাম কোনো ম্যাটার (ব্যাপার) না।’
ইফতারির স্পেশাল পসরা সাজিয়েছে বেইলি রোডের দোকান ‘এ ওয়ান ফুড’। সেখানে অন্য খাবারের সঙ্গে রেশমি জিলাপি ও শাহি জিলাপি কিনতে ভিড় করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। দোকানের ম্যানেজার আখতার পারভেজ বলেন, ‘ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু আইটেমের দাম বেশি থাকার কারণে ক্রেতা তুলনামূলক কম।’
বিকেল ৪টার সময় হঠাৎ কয়েক বিক্রয়কর্মী সমস্বরে ডাকতে থাকেন, ‘স্পেশাল পিঠা এই দিকে, স্পেশাল হালিম এই দিকে।’ আওয়াজ অনুসরণ করে দেখা যায়, বেইলি পিঠাঘর ও জ্যাগেরী রেস্টুরেন্টের কর্মীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এমন হাঁকডাক দিচ্ছিলেন। জ্যাগেরী রেস্টুরেন্ট সাধারণ ইফতারি আইটেমের পাশাপাশি ইফতারের চারটি প্যাকেজ বিক্রি করে। প্যাকেজ মূল্য ৩৫০ থেকে ৬৫০ টাকা। প্যাকেজে আছে ছোলা, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, মুড়ি, জালি কাবাব, খেজুর, মাল্টা ও আপেল।
বেইলি রোডে সবচেয়ে জমজমাট ইফতার বাজার বসেছে ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারের গ্রাউন্ড ফ্লোরে। সেখানে শতাধিক ইফতারি আইটেমের পসরা সাজানো হয়েছে। ক্রেতাদের ঘুরে ঘুরে পছন্দের ইফতারি সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টারে ইফতারি কিনতে এসেছেন বাসাবোর বাসিন্দা মাজেদুর রহমান। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন দুই শিশুকন্যা ওয়ালিদা ও ওয়ানিয়াকে। বাচ্চাদের পছন্দের খাবার বেছে বেছে কিনছিলেন তিনি। মাজেদুর জানান, খাবারগুলো বেশ মানসম্পন্ন, তাই প্রতিবছর ইফতারি কিনতে বেইলি রোডেই আসি।
ক্যাপিটাল ইফতার বাজারের আরেক আকর্ষণ ছিল প্রতিগ্রাম ৯৯ পয়সা দামের বুফে খাবার। বুফে খাবারের তালিকায় রয়েছে তন্দুরি চিকেন, ফ্রুট সালাদ, চিকেন, ভেজিটেবল, মাশরুম। বিক্রয়কর্মী আনোয়ার বলেন, আলাদা করে ৯টি আইটেমের পণ্য নিয়ে বুফের আয়োজন করা হয়েছে। ক্রেতারা খুব আগ্রহ নিয়ে বুফের খাবার কেনেন। মেহেদী হাসান নামের এক ক্রেতা ২০০ গ্রাম ওজনের বুফের খাবার কিনে ১৯৮ টাকা মূল্য পরিশোধ করেছেন।
নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁতেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। সেখানে হালিম, ঘি ও জাফরানে ভাজা নবাবী স্পেশাল বোম্বে জিলাপি, শাহি ও রেশমি জিলাপি, বুন্দিয়াসহ বিভিন্ন পদের ইফতারি পাওয়া যাচ্ছে। সুস্বাদু মিষ্টান্ন আইটেমের ইফতারি বিক্রি করছে হক ব্রেড অ্যান্ড কনফেকশনারি, হক রেস্টুরেন্ট, মীনা সুইটস। এ ছাড়া বিভিন্ন রকমের ফলের জুস পাওয়া যাচ্ছে হ্যালো জুস আর জাফরানি জুস কর্নারে।
বেইলি রোডে ইফতারির অভিজাত দোকানের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফুটপাতে টেবিল পেতে বিভিন্ন ইফতারি পণ্য সাজিয়েছেন কেউ কেউ। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ গেটের সামনে টেবিল পেতে কয়েক আইটেমের ইফতারি বিক্রি করছেন ফারুক আহমেদ। এই দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ইফতার সারতে পারবেন। ফারুক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বড় লোকেরা বেইলি রোডের হাইফাই দোকানে যায়। আমাদের সীমিত ব্যবসা। দিনমজুর, রিকশাচালকসহ গরিব শ্রেণির লোক এই দোকানের মূল ক্রেতা।’
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৩ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেজনগণের জানমালের রক্ষায় করণীয় সবকিছু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেছেন, খারাপ প্রকৃতির কোনো মানুষকেই ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩ ঘণ্টা আগে