Ajker Patrika

কিশোরগঞ্জে ভাইবোনকে হত্যা: ৭ জনের নামে থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, ২২: ০৮
কিশোরগঞ্জে ভাইবোনকে হত্যা: ৭ জনের নামে থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

জমির সীমানায় গাছের চারা লাগানোকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আপন দুই ভাইবোনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহতদের বাবা শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। 

মামলার আসামিরা হলেন মোহাম্মদ আবদুল কাদির (৪৪), মো. ইমরান (২৬), এমরান মিয়া (২৩), আরমান মিয়া (২২), মুসলিম (৫০), মাসুম মিয়া (২২) ও ফরিদা ইয়াসমিন (৪১)। 

আসামিরা সবাই হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের পূর্ব কুড়িমারা গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে আসামি ফরিদা ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

কিশোরগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে বাদী শামসুল ইসলাম তাঁর জমিতে গাছের চারা লাগাতে যান। এ সময় তাঁর ভাই আবদুল কাদির ও দুই ভাতিজা এমরান ও আরমান জমিতে এসে চারা উপড়ে ফেলেন। শামসুল ইসলাম এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। 

এরই জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আসামিরা চায়নিজ কুড়াল, লোহার তৈরি খুনতি, দা, শাবল, ছুরি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে বাড়ির সামনে এসে বাদীকে ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। 

পরে শামসুল ইসলাম, বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর, স্ত্রী শাহিদা, মেয়ে নাদিরা, মেজো ছেলে হুমায়ন কবির ও ছোট ছেলে সালমান ঘর থেকে বের হয়ে তাঁদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। 

এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামি আবদুল কাদির ভাতিজা আলমগীরের ঘাড়ে লোহার খুনতি দিয়ে ঘাই মারে। আলমগীর মাটিতে পরে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে চাচাতো ভাই ইমরান পিঠে শাবল দিয়ে ঘাই মারে। আলমগীরকে বাঁচাতে তার মা ও ভাইবোনেরা এগিয়ে গেলে আসামি মুসলিম নাদিরার পেটে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলে আলমগীর মারা যান। উপর্যুপরি হামলায় আলমগীরের মা, ভাই ও বোন গুরুতর আহত হন। 

স্থানীয়রা গুরুতর আহত শাহিদা, ভাই হুমায়ুন কবির, সালমান ও বোন নাদিরাকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদিরাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতরা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

বাদী শামসুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। আমার দুটি সন্তানকে একসাথে মেরে ফেলছে। আমার সন্তানদের হত্যার বিচার চাই।’ 

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতদের বাবা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত