নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী না দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এস কে সুর, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে একটি নন সাবমিশন মামলা করেছিল দুদক।
সাবেক এই ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হিসেবে এস কে সুর চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার ১০১ টাকা, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং ১ হাজার ৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসকে সুর নিজের ছদ্মাবরণে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় উত্তোলন করে অবৈধ সম্পদের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান ও মালিকানা গোপন করেছেন।
এস কে সুর চৌধুরীর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সহযোগিতায় ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ৪ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ও তা ভোগদখলে রেখেছেন।
এছাড়া নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি পিতার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংক হিসাবে ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৭৭ টাকার অবৈধ লেনদেন করেছেন। এই মামলায় এস কে সুরকেও আসামি করা হয়েছে।
পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর নাম আসায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় এনবিআর। সে বছর ১৫ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে এস কে সুর চৌধুরীকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না জানতে চান। ২০২২ সালে সুরের বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
২০২৪ সালের আগস্টে এস কে সুর ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় দুদক।
গত ১৯ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে সুরের ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে দুদক টিম। সে সময় তাঁরা বাসা থেকে সঞ্চয়পত্র ও বিমার প্রায় চার কোটি টাকার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযানে তাঁর তিনটি ফ্ল্যাটের সন্ধান ও বিপুলসংখ্যক ব্যাংক হিসাবের চেক পাওয়া যায়।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তায় সংস্থাটির উপপরিচালক নাজমুল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে গত ২৩ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর এসকে সুরকে আদালতে হাজির করা হয়।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী না দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এস কে সুর, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে একটি নন সাবমিশন মামলা করেছিল দুদক।
সাবেক এই ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী হিসেবে এস কে সুর চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার ১০১ টাকা, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং ১ হাজার ৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসকে সুর নিজের ছদ্মাবরণে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় উত্তোলন করে অবৈধ সম্পদের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান ও মালিকানা গোপন করেছেন।
এস কে সুর চৌধুরীর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সহযোগিতায় ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ৪ কোটি ১০ লাখ ১৪ হাজার ৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ও তা ভোগদখলে রেখেছেন।
এছাড়া নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি পিতার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংক হিসাবে ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ৪৭৭ টাকার অবৈধ লেনদেন করেছেন। এই মামলায় এস কে সুরকেও আসামি করা হয়েছে।
পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর নাম আসায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে এস কে সুর ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় এনবিআর। সে বছর ১৫ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে এস কে সুর চৌধুরীকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না জানতে চান। ২০২২ সালে সুরের বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
২০২৪ সালের আগস্টে এস কে সুর ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয় দুদক।
গত ১৯ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে সুরের ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে দুদক টিম। সে সময় তাঁরা বাসা থেকে সঞ্চয়পত্র ও বিমার প্রায় চার কোটি টাকার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযানে তাঁর তিনটি ফ্ল্যাটের সন্ধান ও বিপুলসংখ্যক ব্যাংক হিসাবের চেক পাওয়া যায়।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তায় সংস্থাটির উপপরিচালক নাজমুল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে গত ২৩ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর এসকে সুরকে আদালতে হাজির করা হয়।
বগুড়ায় আদালতে সঠিক সাক্ষ্য না দেওয়া, সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়া এবং সরকারি আইন কর্মকর্তাদের দুর্বলতার কারণে গত এক বছরে ৬ শতাধিক মাদক মামলায় প্রায় ১ হাজার আসামি খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে ২২টি মামলায় ৪৪ জন পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। এ কারণে ৪৪ পুলিশ কর্মকর্তার ...
২ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের দুলাল হোসেন পেশায় রংমিস্ত্রি। কাজের সন্ধানে তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। জুটেছিল কাজও। তবে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর উত্তরায় মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এখন ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটেন। তবে যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন, তা এখন ফিকে...
২ ঘণ্টা আগে২০২০ সালে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন আবুল বাশার সুজন। এর আগে ছিলেন পশুর হাটের ইজারাদার। অল্প সময়ের মধ্যেই ফারুকের ডান হাত হন। কিছুদিন পর তানোর পৌরসভার মেয়র হওয়ারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন সুজন। সেখানে বাড়ি করেন...
২ ঘণ্টা আগেদরিদ্র পরিবারের সন্তান নুর আলী (৪৭)। করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ। জমিজমা তেমন ছিল না, বাবাও ছিলেন দিনমজুর। বাড়ি বলতে ছিল আধা পাকা টিনের ঘর। অথচ ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ব্যক্তি কোটিপতি বনে গেছেন। শুধু তা-ই নয়। আধা পাকা টিনের ঘরের জায়গায় এখন বিশাল তিনতলা আলিশান বাড়ি। যার মূল্য কোটি টাকা।
২ ঘণ্টা আগে