Ajker Patrika

শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় আরও এক আসামি কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্রেপ্তার হৃদয় মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার হৃদয় মিয়াজি। ছবি: সংগৃহীত

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় হৃদয় মিয়াজি (২৩) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হৃদয় মিয়াজী (২৩) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব ও তিতাস উপজেলার দূরলব্দী গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। এই নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) এ কে এম মঈন উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর বনানী থানায় হৃদয় মিয়াজীকে হস্তান্তর করেছে র‍্যাব। কুমিল্লা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাব সদস্যরা।

এর আগে গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাঁদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন–এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাক্‌বিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে ছুরিকাঘাতে খুন হন পারভেজ।

এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং ২৫–৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জর গিফারী পিয়াস (২০), মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজী (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)।

মামলার পর গত রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন—মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তাঁরা কেউই মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন। আদালত তাঁদের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কামালের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বিলদুড়িয়ার শেখপাড়ায়; আলভীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল দক্ষিণ জাহাঙ্গীরপুরে; আর আল আমিনের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন।

আরও পড়ুন:–

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত