নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর শিবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই সিরাজ খন্দকারকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহীম খন্দকার (৬০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মোসলেমা বেগমও (৪০) গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মিয়ারগাঁও গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাঁরা সবাই ওই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকেই ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইব্রাহীম ও সিরাজেরা ৬ ভাই। তাঁদের বাবা আফসার উদ্দিন খন্দকার জীবদ্দশায় সিরাজকে দুই গণ্ডা জমি বেশি দিয়ে যান। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই জমি নিয়ে সিরাজের সঙ্গে ইব্রাহীমের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলাও আদালতে চলছে। এ ছাড়া বহুবার সামাজিকভাবে শালিস করেও এই বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা হয়। কিন্তু কিছুতেই সেই বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। সম্প্রতি ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও করেন সিরাজ।
ওই মামলার একটি কাগজ আজ বুধবার সকালে ইব্রাহীমের বাড়ি আসে। কাগজ হাতে পাওয়ার পরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন ইব্রাহীম। এ সময় তাঁর স্ত্রী ফিরোজা বেগম, মেয়ে মদিনা আক্তার, মেয়ের জামাই শামসুল মিয়া, ছেলে হোসেন খন্দকার ও শাহেদ খন্দকারও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তাঁরা সবাই হাতে শাবল ও বাঁশ নিয়ে সিরাজের মুরগির খামারে যান এবং তাঁকে সবাই মিলে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সিরাজ। এ সময় বাধা দিতে এলে সিরাজের স্ত্রী মোসলেমা বেগমকেও উপর্যুপরি পিটিয়ে আহত করা হয়। ওই অবস্থায় তাঁদের ফেলে রেখে হামলাকারীরা চলে যান।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজ ও মোসলেমাকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাদের দুজনকেই হাসপাতালটিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথেই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সিরাজকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। নেওয়া পরই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মোসলেমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লোপা চৌধুরী বলেন, ‘শিবপুর থেকে সিরাজ নামের ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর শরীরে অসংখ্য আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ এই হাসপাতালেরই মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
জানতে চাইলে শিবপুর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘মাত্র দুই গণ্ডা জমির বিরোধে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির স্ত্রীও রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক ব্যক্তিকে আমরা এরই মধ্যে আটক করেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
নরসিংদীর শিবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই সিরাজ খন্দকারকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহীম খন্দকার (৬০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মোসলেমা বেগমও (৪০) গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মিয়ারগাঁও গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাঁরা সবাই ওই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকেই ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইব্রাহীম ও সিরাজেরা ৬ ভাই। তাঁদের বাবা আফসার উদ্দিন খন্দকার জীবদ্দশায় সিরাজকে দুই গণ্ডা জমি বেশি দিয়ে যান। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই জমি নিয়ে সিরাজের সঙ্গে ইব্রাহীমের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলাও আদালতে চলছে। এ ছাড়া বহুবার সামাজিকভাবে শালিস করেও এই বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা হয়। কিন্তু কিছুতেই সেই বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। সম্প্রতি ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও করেন সিরাজ।
ওই মামলার একটি কাগজ আজ বুধবার সকালে ইব্রাহীমের বাড়ি আসে। কাগজ হাতে পাওয়ার পরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন ইব্রাহীম। এ সময় তাঁর স্ত্রী ফিরোজা বেগম, মেয়ে মদিনা আক্তার, মেয়ের জামাই শামসুল মিয়া, ছেলে হোসেন খন্দকার ও শাহেদ খন্দকারও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তাঁরা সবাই হাতে শাবল ও বাঁশ নিয়ে সিরাজের মুরগির খামারে যান এবং তাঁকে সবাই মিলে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন। এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সিরাজ। এ সময় বাধা দিতে এলে সিরাজের স্ত্রী মোসলেমা বেগমকেও উপর্যুপরি পিটিয়ে আহত করা হয়। ওই অবস্থায় তাঁদের ফেলে রেখে হামলাকারীরা চলে যান।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজ ও মোসলেমাকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাদের দুজনকেই হাসপাতালটিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথেই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সিরাজকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। নেওয়া পরই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মোসলেমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ নিয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লোপা চৌধুরী বলেন, ‘শিবপুর থেকে সিরাজ নামের ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর শরীরে অসংখ্য আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ এই হাসপাতালেরই মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
জানতে চাইলে শিবপুর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘মাত্র দুই গণ্ডা জমির বিরোধে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির স্ত্রীও রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক ব্যক্তিকে আমরা এরই মধ্যে আটক করেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় এর পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামকে। তখনো তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। প্যারাস্যুট না খোলায় পাইলট অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মূল দুর্ঘটনাস্থলের অদূরেই পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে ভয়াবহ..
২ ঘণ্টা আগেঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই কাজ শেষ না হতেই আবার অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ স্থানীয় যানবাহন।
২ ঘণ্টা আগেআসল দুধের সঙ্গে সোডা, পাম তেল, ডিটারজেন্ট, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো। সরবরাহ করা হতো স্থানীয় প্রাণ দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্রে। সেই দুধ চলে যেত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে।
২ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে মুরগির খামার। সেই খামারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বসতবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, মুরগির বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে গ্রামের খালে। এতে দুর্গন্ধ যেমন ছড়াচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে জলাধারের পরিবেশ। এলাকাবাসী অভিযোগ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরও থামছে না পরিবেশদূষণ।
৩ ঘণ্টা আগে