Ajker Patrika

ঈদযাত্রায় প্রস্তুত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট, জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের দাবি

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, ২০: ১৩
ঈদযাত্রায় প্রস্তুত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট, জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের দাবি

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই রুট ব্যবহার করে থাকেন। ঈদের ছুটিতে এই সংখ্যা বাড়ে কয়েক গুন। ঈদের ছুটিতে লক্ষাধিক যাত্রী এই রুট ব্যবহার করে বাড়ি ফিরবেন। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত লঞ্চ-স্পিডবোট ও ফেরিঘাটে যাত্রীদের ঢল নামবে।

ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঈদে যাত্রী চাপ মোকাবিলায় ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট থাকছে। লঞ্চগুলোর মধ্যে বড় লঞ্চের সংখ্যাই বেশি। যা দুই শতাধিক যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। বর্তমানে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পাঁচটি ফেরি চলছে। অন্যদিকে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলছে দুইটি ফেরি। মোট সাতটি ফেরি চলছে দুই রুটে। তবে ঈদের আগে আরও তিনটি ফেরি যুক্ত হবে নৌরুটে। ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি নৌরুটে যানবাহন পারাপার করবে। তবে ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস থাকবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের সময় মোট ১০টি ফেরি চলবে। ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’ 

বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাট সূত্র জানিয়েছে, ঈদের আগেই সবগুলো লঞ্চের রুট পারমিট, সার্ভেসনদসহ টুকটাক মেরামত সম্পন্ন করে নিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘ঈদের চাপ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ৮৭টি লঞ্চ চলবে নৌরুটে। যেহেতু ঝড়ের মৌসুম, সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই লঞ্চ চলাচল করবে। ধারণক্ষমতার বাইরে কোনো যাত্রী বহন করা হবে না।’ 

এদিকে নৌরুটে পারাপার হওয়া যাত্রীরা বলেছেন, ‘কোনো কোনো লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী বয়া বেশি থাকলেও অধিকাংশ লঞ্চে তা পর্যাপ্ত নেই। তাছাড়া লাইফ জ্যাকেটও দেখা যায় না অনেক লঞ্চে। লঞ্চের ভেতরে-ওপরে ও নিচে পর্যাপ্ত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেট রাখা উচিত। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পারাপার করে থাকে। এসব সার্বিক বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তদারকি করা উচিত।’ 

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী মো. হাসান বলেন, ‘ঝড়ের মৌসুম এখন। হঠাৎ করেই কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় ঈদ যাত্রায় লঞ্চ স্পিডবোটের দিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার। নৌযানে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, বয়া রাখা এবং অতিরিক্ত যাত্রী যাতে বহন না করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ 

আরেক যাত্রী মো. ইমরান বলেন, ‘ঈদ এলেই স্পিডবোটের ভাড়া বেড়ে যায়। দেড় শ টাকার ভাড়া ২০০-৩০০ টাকা হয়। অযৌক্তিকভাবে ভাড়া যাতে না বাড়ে সেদিকে নজরদারি প্রয়োজন।’ 

মো. আব্বাস আলী বলেন, ‘গত বছর ফেরিতে প্রচণ্ড গরমে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিল শতাধিক মানুষ। এই দুর্ভোগ আমরা চাই না। নৌরুটে যেন শৃঙ্খলার সঙ্গে যাত্রী পারাপার করা হয়। ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ২৪ ঘণ্টা চলাচলের দাবি জানাচ্ছি। ঘরমুখো মানুষের সঙ্গে প্রহসন করা চলবে না।’ 

মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের আগের ৭ দিন ও পরের ৭ দিন ঘাট এলাকায় আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এরই মধ্যে আমরা লঞ্চ মালিক সমিতি, স্পিডবোট মালিক সমিতি, বাস মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত