Ajker Patrika

নারায়ণগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৮৬ হাজার পশু

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার ৪২৬ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। শেষ সময়ে খামারিরা গরু হৃষ্টপুষ্ট ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার ৪২৬ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। শেষ সময়ে খামারিরা গরু হৃষ্টপুষ্ট ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার ৪২৬ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। শেষ সময়ে খামারিরা গরু হৃষ্টপুষ্ট ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। খামারিদের দাবি, প্রাকৃতিক উপায়ে, দেশীয় খাবার খাইয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানিযোগ্য পশু। চাহিদার শীর্ষে থাকা দেশি জাতের গরুর পাশাপাশি বিদেশি ও সংকর জাতের গরুও প্রস্তুত রয়েছে বিক্রির জন্য।

জেলার পাঁচটি উপজেলার ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে চার হাজার খামারি এবার গবাদিপশু কেনা বেচা করবেন। ইতোমধ্যে অনেক খামারেই পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতাদের সুবিধা প্রদানের জন্য অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধা রেখে ঈদের আগে হোম ডেলিভারির সুবিধা দিচ্ছেন খামারিরা। ফলে বিভিন্ন হাটে ঘুরে পশু কেনার ঝামেলা এড়াতে সরাসরি খামার থেকেই পশু কিনছেন অনেকে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বছর নারায়ণগঞ্জ জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৯ হাজার ২৫২ টি। এর বিপরীতে জেলায় কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার ৪২৬টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ষাড় ৪৮ হাজার ২৭৩টি, বলদ ৬ হাজার ৪৬৫ টি, মহিষ ৯১০টি, ছাগল ১০ হাজার ৪৪০ টি, ভেড়া ৩৩৮৪ টি, অন্যান্য পশু ১৬১টি। চাহিদার তুলনায় ১২ হাজার ৮২৬ টি পশুর ঘাটতি আছে। তবে এই পশুর চাহিদা কোরবানির আগে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পশুর মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে ১০টি গরু মোটা-তাজা করেছেন সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের খামারি হানিফ মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঔষধ ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছি। ভারত অথবা মিয়ানমার থেকে গরু না আসলে এবার ভালো দাম পাবো। তবে হাট বসার আগেই প্রতিদিন মানুষ গরু দেখতে আমার ফার্মে আসছে।’

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার ৪২৬ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। শেষ সময়ে খামারিরা গরু হৃষ্টপুষ্ট ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জে কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার ৪২৬ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। শেষ সময়ে খামারিরা গরু হৃষ্টপুষ্ট ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্দরের খামারী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার খামারে সংকর জাতের গরু প্রস্তুত করেছি কোরবানির জন্য। এগুলো দেখতে সুন্দর, দাম কিছুটা বেশি। আড়াই লাখ থেকে বারো লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে আমার ফার্মে। গরুগুলো ক্রেতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আগ্রহ নিয়ে দেখতে আসে প্রতিদিন। হাটে ওঠানোর পরিকল্পনা আছে। তবে খামার থেকে সরাসরি কেনারও সুযোগ রেখেছে ক্রেতাদের জন্য।’

জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, খামারে মোটাতাজা গরুর কদর থাকলেও ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা গেলে নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুরো পশুর চাহিদা যদি নারায়ণগঞ্জের অভ্যন্তরেই পূরন করা যেত তাহলে নারায়ণগঞ্জ অর্থনৈতিকভাবে অনেকবেশি লাভবান ও কর্মসংস্থানের দিকে ভালো ভূমিকা রাখতে পারতো।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মান্নান মিয়া বলেন, `আমরা সারা বছর খামারিদের গরু ও অন্যান্য পশু কিভাবে পালন করা হবে এনিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজা করছে এই জেলার অধিকাংশ খামারি। খড়, গম ও ডালের ভূষি, ঘাস, খৈইল, কুড়া খাইয়ে পশু পালন করেছে। পাম ট্যাবলেট, স্টেরয়েড ও ডেক্সামেথাসন পশু ও মানুষের জন্য কতটা ক্ষতির এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে। এসব ঔষধ অল্পদিনে পশু মোটাতাজা করলেও এর মাংশ খেয়ে মানুষের লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তেমনি গরুও যেকোন মুহূর্তে মারা যেতে পারে। কেউ এসব ঔষধ ব্যবহার করছে তা জানতে পারলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ভিসায় ছয় দেশ

এর জবাব দেশে দিইনি, জাপানে দিলে বিপদ হবে: পদত্যাগ প্রশ্নে ড. ইউনূস

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের কোনো লাভ হবে না’

বাজে হারের পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত