Ajker Patrika

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২ কোটি টাকা দেবে ডিএসসিসি: তাপস 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১৪: ৫১
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২ কোটি টাকা দেবে ডিএসসিসি: তাপস 

রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হবে। আজ বুধবার দুপুরে চৌকি পেতে বঙ্গবাজারে ব্যবসা কার্যক্রম উদ্বোধন করতে এসে এমন ঘোষণা দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ফজলে নূর তাপস। 

মেয়র বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে সহায়তা ছাড়াও ঢাকা সিটি করপোরেশন মানবিকভাবে ২ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা দেবে। ঢাকা শহরকে আমরা ব্যবসাবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। নিছক একটি দুর্ঘটনার জন্য যে ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গেল, সেটা যেন আর কোনো দিন না হয়। ভবিষ্যতে দুর্যোগ-পরবর্তী সময় মোকাবিলা করার জন্য আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটি গঠন করে দিয়েছি।’ 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, ‘আপাতত খোলা আকাশের নিচে দোকানিরা বসছেন। পর্যায়ক্রমে ত্রিপল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থাও হবে। ব্যবসায়ীরা রাতেও বসতে পারবেন। ঈদের আগে সাময়িকভাবে ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ঈদের পরে পূর্ণাঙ্গভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে।’ 

ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘আজ থেকে পূর্ণ উদ্যমে এখানে ব্যবসা পরিচালনা হবে। আমাদের এখানে পাঁচটি পরিত্যক্ত ভবন ছিল, সেগুলো আমরা সরিয়ে ফেলেছি। আরও একটি বাকি আছে, সেটিও আজকের মধ্যে হয়ে যাবে। আগে এখানে দোকানমালিকেরা যেভাবে ব্যবসা করতেন, তাঁদের সেভাবেই জায়গা দেওয়া হয়েছে। আমরা তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তাঁদের স্ব-স্ব জায়গায় বসিয়ে দিতে পারছি। আমরা ঈদের আগে যদিও পূর্ণভাবে তাদের ক্ষতি পূরণ করতে পারব না, কিন্তু ঈদের পরে তাদের পূর্ণভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করব। সেটা কীভাবে করর তা ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এভারকেয়ারে নেওয়া হচ্ছে হাদিকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৪
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক সার্জারির পর এভারকেয়ারে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘উনার (হাদির) মাথায় বুলেটের আঘাত আছে। বুকে এবং পায়েও আঘাত আছে। ধারণা করা হচ্ছে, পায়ের আঘাতটা রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে হতে পারে।’

রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় আজ দুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে বলা হয়, হাদিকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান তখন বলেছিলেন, হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক)। তাঁকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে। বুলেটটি (গুলিটি) তাঁর মাথার ভেতরে রয়েছে।

পরে সন্ধ্যার দিকে হাদির শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‎আমরা ঢাকা মেডিকেলে তাঁর একটা প্রাথমিক সার্জারি করেছি। এখন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। পরিবারের সম্মতিতেই তাঁকে এভারকেয়ারে নেওয়া হচ্ছে। পরিবার প্রথম দিকে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এভারকেয়ারে নেওয়ার কথা বলেছে। আমরা তাঁদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা প্রস্তুত রয়েছে। এখনই তাঁকে সেখানে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

আজ শুক্রবার বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কলেজ মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড দিয়ে এ অবরোধ সৃষ্টি করেন তাঁরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মহাসড়ক ব্লকেড। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম সাগর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা বলেন, শরীফ ওসমান বিন হাদীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে। না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, শরীফ ওসমান বিন হাদী ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকার বাসিন্দা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে: বদিউল আলম মজুমদার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন হবে কি না সেই আশঙ্কা বহুলাংশে দূরীভূত হলেও সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশ আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রসঙ্গে’ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।

সভায় আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার মনে হয়, নির্বাচন হবে না—এই আশঙ্কাটা বহুলাংশে দূরীভূত হয়েছে। পুরোপুরি দূরীভূত হয় নাই। কিন্তু আমার এবং অনেকের মনে দুটো প্রশ্ন। একটা হলো—নির্বাচনটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কি না। আরেকটা প্রশ্ন হলো—গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটবে কি না।’

নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া এবং এর অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে ফলাফল ঘোষণা এবং নির্বাচনী বিরোধ মীমাংসা পর্যন্ত, এই পুরো প্রক্রিয়া কারসাজিমুক্ত, স্বচ্ছ, পক্ষপাতিত্বমুক্ত হবে কি না—এর ওপর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নির্ভর করবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গভীর সংস্কার দরকার বলে জানান নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় লিপ্ত হলে নির্বাচন নিয়ে আবার অনিশ্চয়তা দেখা দেবে। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য গভীর সংস্কার দরকার।’

গণভোটের ওপর গণতান্ত্রিক উত্তরণ নির্ভর করবে বলে মনে করেন ঐকমত্য কমিশনের এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘গণভোট পাশের ওপর নির্ভর করবে আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হয়েছে কি না। গণতন্ত্রের যে সকল ঘাটতি এবং শাসন প্রক্রিয়ার যে সকল দুর্বলতা সেগুলো দূরীভূত হবে কি না তা বহুলাংশে নির্ভর করবে আমাদের এই গণভোটের ওপর।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন লেখক-গবেষক আলতাফ পারভেজ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমসহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৮ হাজার টাকা চুরি করতেই সস্ত্রীক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা: পুলিশ

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫০
পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আজ বেলা ১১টায় তারাগঞ্জের রহিমাপুর গ্রামে।  ছবি: আজকের পত্রিকা
পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আজ বেলা ১১টায় তারাগঞ্জের রহিমাপুর গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে (৬০) হত্যার পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দেনার টাকা শোধের চাপ। গ্রেপ্তার টাইলস মিস্ত্রি মোরছালিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, দেনা পরিশোধের জন্য টাকা চুরির উদ্দেশ্যেই সে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে যোগেশ চন্দ্রের ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।

আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে মোরছালিনকে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বেলা ১১টায় তাঁকে যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যোগেশ চন্দ্রের বাড়ি থেকে একটি দা ও পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কুড়ালের হাতল উদ্ধার করা হয়।

মোরছালিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খুনের আগে মোরছালিন যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে তিন দিন কাজ করেন। এ কারণে যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা থাকার বিষয়টি জানতেন। তিনি আট হাজার টাকা ঋণী ছিলেন। তিনি যোগেশের বাড়িতে কাজ করার সময় তাঁর মনে হয়েছিল ওই বাড়িতে টাকাপয়সা আছে। ঋণ পরিশোধের জন্য তিনি চাপে পড়েন। কোনো উপায় না পেয়ে তাঁর বাড়িতে থাকা কুড়াল নিয়ে রহিমাপুর গ্রামে যান এবং যোগেশ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেন। এরপর তাঁদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে আলমারি ভাঙে। কিন্তু সেখানে টাকা না পেয়ে বাড়িতে থাকা আমগাছ বেয়ে বাথরুমের ছাদে উঠে নেমে পাশে থাকা পুকুরে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। যোগেশ চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কোনো শত্রুতা ছিল না।

সরেজমিন দেখা যায়, অস্ত্র উদ্ধারের খবরে এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমেছে। মোরছালিন পুলিশকে দেখাচ্ছিল—কীভাবে তিনি হত্যার পর পালিয়ে যান।

যোগেশ চন্দ্রের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমার বাবার খুনিকে ধরা হয়েছে। আমি তৃপ্তি ভরে নিশ্বাস নিতে পারছি। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। এটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমার বাবার হত্যাকারীর ফাঁসি যেন কার্যকর হয়—এটাই আমার চাওয়া।’

রংপুরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর মোরছালিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রথমে সুবর্ণা রায়কে, পরে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্রকে হত্যা করে। এরপর তাদের বাড়িতে থাকা একটি দা দিয়ে স্টিলের আলমারি খুলে। সেখানে দেখে টাকা আছে কি না। তার ভাষ্যমতে সে টাকা পায়নি। বাড়ির ভেতরে থাকা আমগাছ দিয়ে উঠে পেছনে থাকা কাঁঠালগাছ দিয়ে নেমে পাশে থাকা পুকুরে কুড়াল ফেলে দিয়ে চলে যায়। পুকুর থেকে কুড়ালের হাতল উদ্ধার হয়েছে। সেখানে রক্ত লেগে আছে। লোহার অংশও উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। শ্যালো দিয়ে পুকুরের পানি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

এদিকে বেলা ৩টার দিকে আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া গ্রামে মোরছালিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবাকে পাওয়া যায়নি। তাঁর বোন রিমি আক্তার জানান, মোরছালিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রানীকে হত্যা করা হয়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত