Ajker Patrika

দুই মাস আগে যোগদান করে এখনো অফিসে আসেননি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ০৫
দুই মাস আগে যোগদান করে এখনো অফিসে আসেননি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রায় দুই মাস আগে যোগদান করেও অফিস না করায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সামনে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে মহাবিপদে পড়েছে প্রধান শিক্ষকেরা। এদিকে অফিস না করায় ১৮ জন প্রধান শিক্ষক নতুন শিক্ষা কর্মকর্তা চেয়ে আবেদন করেছেন মহাপরিচালকের কাছে। অপরদিকে যোগদানকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রোববার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

সাটুরিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নায়ার সুলতানা নামে একজন কর্মকর্তা সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অফিসে আসেন না। ফলে ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজের তথ্য আদান-প্রদান ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় দুই মাস ধরে মাধ্যমিক শিক্ষাবিষয়ক সব কার্যক্রম, বিশেষ করে করোনাকালীন সব সরকারি আদেশ-নির্দেশসংক্রান্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে করা যাচ্ছে না। ফলে উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। 

সাটুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাটুরিয়া পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছানিহুর আক্তার বলেন, ‘সামনে এসএসসি পরীক্ষা। অনেক নথিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। এ ছাড়া কেন্দ্র কীভাবে হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করতে হয়। আবার করোনাকালে সরকারি অনেক আদেশ-নির্দেশ রয়েছে সেগুলো আমরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা পাই না।’ প্রায় দুই মাস ধরে এভাবে শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়া অফিস চলছে। তাই সাটুরিয়া উপজেলার সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা মিলে নতুন শিক্ষা অফিসার চেয়ে মহাপরিচালক বরাবর আবেদন হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এদিকে রোববার উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। দুই মাস আগে যোগদান করে অফিস ফাঁকি দেওয়ায় যোগদানকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নায়ার সুলতানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

ধূল্লা বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাজাহান মিয়া জানান, এই দুই মাসে ১৮টি স্কুলের যাবতীয় কাজ যোগদানকারী শিক্ষা কর্মকর্তার ধামরাইয়ের বাসায় গিয়ে আমাদের স্বাক্ষর আনতে হয়েছে। এ ছাড়া দুটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তিনি বলেন, যোগদানকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের নিয়ে এখন পর্যন্ত একটি সভাও করেননি, ফলে উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। 

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা বলেন, নায়ার সুলতানা নামে একজন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা যোগদান করার পর থেকেই অনুপস্থিত রয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভার রেজল্যুশনে বিষয়টি আনা হয়েছে। তিনি অসুস্থতার কারণে অফিস করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নায়ার সুলতানা বলেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে অফিস করতে পারছি না। সুস্থ হলে নিয়মিত অফিস করব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত