Ajker Patrika

দলবল নিয়ে জবির নতুন ক্যাম্পাসের সীমানাপ্রাচীর ভাঙলেন এক স্থানীয়

জবি প্রতিনিধি
দলবল নিয়ে জবির নতুন ক্যাম্পাসের সীমানাপ্রাচীর ভাঙলেন এক স্থানীয়

ঢাকার কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নির্মাণাধীন নতুন ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।

সোমবার (১৯ জুন) বেলা আড়াইটার দিকে ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে অবস্থিত মুজাহিদনগর মাদ্রাসার পাশে সীমানা প্রাচীর ভাঙার ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্র জানায়, নতুন ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর ভাঙা হচ্ছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান জবির প্রকৌশল দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও শিক্ষক সমিতি সভাপতিসহ অন্য কর্মকর্তারা।

সেখানে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখেন, স্থানীয় নূর আলম ওরফে বাবুল তাঁর ম্যানেজার বিলাস ও গাড়িচালক কামালকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ২০-২৫ জন শ্রমিককে দিয়ে নতুন ক্যাম্পাসের নির্মাণাধীন প্রাচীরের পিলার ভাঙছেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে পুলিশ এলে তাঁরা সটকে পড়েন। একটি পাজেরো গাড়ি রেখেই চলে যান তাঁরা। গাড়িটি জব্দ করে কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর সরকারি রাস্তার ওপর পড়েছে বলে দাবি নূর আলমের। স্থানীয়দের দোহাই দিয়ে তিনি রাস্তা বের করতে চান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির পাশে নূর আলমের জমি রয়েছে। সেই জমির জন্য রাস্তা বের করতে এই ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে অনেক আগেই লাল পতাকা দিয়ে ক্যাম্পাসের সীমানা দেখানো হয়েছে। আমরা সে অনুসারে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি। কিন্তু ক্যাম্পাসের পাশে এক জমির মালিক নূর আলম বলছেন, সরকারি রাস্তার ওপর দিয়ে সীমানা প্রাচীর গেছে। এমনটি হলে তাঁরা সেটি ডিসি অফিসকে জানাতে পারেন। সরকারি স্থাপনায় হামলা করবেন কেন? পরে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসিসহ পুলিশ এলে স্থানীয়রা পালিয়ে যায়। তাদের ফেলে যাওয়া পাজেরো গাড়ি ফেলে রেখে যান। পুলিশ গাড়ি নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জানান জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি পাজেরো গাড়ি থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল সেখানে জমির মালিকানা দাবি করেছেন। বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত