Ajker Patrika

শেষ দিনেও দাম মিলছে না ক্রেতা-বিক্রেতার

মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
শেষ দিনেও দাম মিলছে না ক্রেতা-বিক্রেতার

রাজধানীতে একদিন হাতে রেখে কোরবানির পশু কেনার চিত্রটা বেশ পুরনো। এদিন পশু বিক্রি যেমন বাড়ে, তেমনি বিক্রেতারা দরদাম কিছুটা ছেড়ে দেন। তাই সবার দৃষ্টি থাকে সেই দিনটার দিকে। 

এ জন্য গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই যেন হাহুতাশ দেখা যায় ক্রেতাদের মধ্যে। কারণ চাহিদার তুলনায় হাটে পর্যাপ্ত পশু ছিল না। আর যা ছিল ক্রেতার বাজেটের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। কেউ কেউ হাজার খানেক গরু দেখেও কিনতে পারছিলেন না। এ চিত্র রাজধানীর আফতাব নগর কোরবানির পশুর হাটের। 
 
এই হাটে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। একই অবস্থা আজ শনিবারেরও। ক্রেতাদের অভিযোগ, গরু পছন্দ হলেও বেপারিরা দাম ছাড়ছেন না। সে সঙ্গে একরোখা আচরণও করার অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রেতা। 

বাড্ডা থেকে আসা মাহবুবে কিবরিয়া বলেন, ‘ছয় ঘণ্টা ধরে হাটে ঘুরছি। দাম ছাড়ছে না। যে গরুটা ৬৫ হাজার হলে ঠিক আছে সেটি ৯৫ হাজারের নিচে দেবে না। আর দাম কম বললেই বেপারিদের মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।’ 

রাজু নামের আরেক ক্রেতার দাবি, ‘হাটে গরুর সংকট আছে। যে কারণে বেপারিরা চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, সাধারণত ঈদের একদিন আগে দাম কমে যায়। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে বেপারিরা সিন্ডিকেট গড়েছেন। তাদের সঙ্গে কথাই বলা যায় না। 

লিংকন নামের এক ক্রেতা এসেছেন বাড্ডা সাতারকুল থেকে। তিনি বলেন, ‘সাঈদনগর হাট ঘুরেছি। সেখানেও চড়া দাম। ছোট গরুতে হাত দিলেও সেটা ৯০ হাজার দাম চায়। আর এখানে তো তিনঘণ্টা ঘুরে গরুই পাচ্ছি না।’ 

এসব অভিযোগ অবশ্য বেপারিরা মানছেন না। তাঁরা বলছেন, এবার পশুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা দাম বেশি। 

ঝিনাইদহ থেকে আসা বেপারি শাহিন বলেন, ‘আমার ২২টা গরু মাঝারি সাইজের। গরুর দাম বেশি ধরি না। বেশি ধরলে তো বেচা যাবে না। এবার খাবারের দাম বেশি। আর ট্রাকের ভাড়াও বেশি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত